কোহিনূর হীরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
Pratik89Roy (আলোচনা | অবদান)
২৩ নং লাইন:
ষোড়শ শতাব্দীতে কোহিনূর মালওয়ার রাজাদের অধিকারে ছিল এবং পরবর্তীকালে তা [[মোগল]] সম্রাটদের হাতে আসে এবং সম্রাট শাহজাহান নির্মিত ময়ুর সিংহাসনের শোভা বর্ধন করে। মোগল সাম্রাজ্য যখন বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে তখন [[নাদির শাহ|নাদির শাহকে]] আমন্ত্রণ জানানো হয় মুসলিম শাসনের গৌরবোজ্জ্বল দিন ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করতে। কিন্তু তাকে প্রতিশ্রুত অর্থ না দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়। কৌশলে তিনি মোগলদের কাছ থেকে কোহিনূর উদ্ধার করে নিয়ে যান ইরানে। কোহিনূর নামটিও নাদির শাহের দেয়া। নাদির শাহ নিহত হবার পর কোহিনূর আসে [[আফগানিস্তান]] সম্রাট হুমায়ুনের পুত্রের কাছে।
===শিখ কর্তৃক অধিগ্রহণ===
পঞ্জাবের মহারাজা রঞ্জিত সিংহ আফগান শাসকের থেকে কোহিনুর হিরে পেয়েছিলেন। তিনি তা উইল করে পুরীর [[জগন্নাথ মন্দির, পুরী|জগন্নাথ মন্দিরকে]] দিয়ে যান। কিন্তু

দ্বিতীয় তাঁরব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধের পর শিখদের হারিয়ে ব্রিটিশরা শিখ সাম্রাজ্য দখল করে। তার জন্য [[লর্ড ডালহৌসি]] [[লাহোর|লাহৌরের]] শেষ চুক্তি তৈরি করেন। সেই চুক্তিতেই কোহিনুর-সহ মহারাজার যাবতীয় সম্পত্তি ইংল্যান্ডের মহারানি ভিক্টোরিয়াকে সমর্পণের কথা বলা হয়েছিল।

উত্তরসূরি দলীপ সিংহ ১৮৫০-এ [[ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি|ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির]] হাতে এ’টি তুলে দেন। শেষ পর্যন্ত রণজিত্‍ সিংএর পুত্র সেটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৮৫০ সালে তুলে দেন [[মহারাণীরাণী ভিক্টোরিয়া|রাণী ভিক্টোরিয়ার]] হাতে। ১০৮.৯৩ [[ক্যারট]] ওজনবিশিষ্ট কোহিনূর প্রথমে রাণী ভিক্টোরিয়া ব্যবহার করতেন তার হাতে। এরপর সেটি স্থান পায় বৃটিশ মুকূটে। উপমহাদেশের এক সময়ের অহংকার এখন বৃটেনে। কোহিনূরের মালিকানা নিয়ে আশির দশকেও বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। [[ইরান]], [[ভারত]], [[পাকিস্তান]], [[আফগানিস্তান]], এমনকি [[বাংলাদেশ]] পর্যন্ত এর সত্ত্ব দাবি করেছিল। তবে [[বৃটিশ]] সরকার সব দাবিই প্রত্যাখ্যান করেছে এবং এসকল দাবী অযৌক্তিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
 
==তথ্যসূত্র==