পাতিশিয়াল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Golden_jackal_small.jpg কে চিত্র:Golden_wolf_small.jpg দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, কারণ: File renamed: File renaming criterion #3
তথ্যসূত্র প্রদান ও পরিবর্ধন করা হলো
১৯ নং লাইন:
| range_map_caption = পাতিশিয়ালের বসবাসের এলাকা
}}
'''পাতিশিয়াল''' ({{lang-en|Golden Jackal}}) এক প্রকার বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম ''Canis aureus''। বাংলাদেশের [[বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২|২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের]] তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।<ref name="আইন">বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৯৬</ref>
'''পাতিশিয়াল''' ({{lang-en|Golden Jackal}}) এক প্রকার বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Canis aureus। [[শিয়াল]] নিশাচর। তবে কখনো খুব সকালেও দেখা যায়। পেটে ক্ষুধা থাকলে দিনের বেলায়ও বের হয়। সন্ধ্যায় শিয়াল ডেকে ওঠে। দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোপের ভেতর, মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়ে। সাধারণত দলে চলে, একাকীও ঘুরতে দেখা যায়। এরা সর্বভূক। প্রধান খাবার পোকামাকড়, [[পাখি]], ছোট আকারের মেরুদণ্ডী প্রাণী, [[টিকটিকি]], মৃতদেহ, শাকসবজি, [[আখ|আখের]] রস, ভুট্টা ইত্যাদি। খাবারের অভাব দেখা দিলে লোকালয়ে হানা দেয় [[হাঁস]]-[[মুরগি]] ধরতে। তবে খাদ্যের অভাব যখন প্রবল হয়েছে, তখনই শিয়াল লোকালয়ে এসে পোষা হাঁস-মুরগির ওপর হানা দিয়েছে। তাই আজও গাঁয়ের মানুষ শিয়াল দেখলে যে করেই হোক মারার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। পাতিশিয়ালের আকার আমাদের পোষা [[কুকুর|কুকুরের]] মতোই। লেজটি গুটিয়ে রাখে অর্থাৎ নিচের দিকে নামানো থাকে। গায়ের রং বাদামি, পেছনের অংশে কালো লোম থাকে। [[সিলেট|সিলেটের]] মৌলভীবাজার ও বড়লেখায় শিয়ালের ভালোই ডাক শোনা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, [[বর্ষা|বর্ষার]] সময় মানুষের হাতে শিয়াল মারা পড়ে বেশি। খাবারের জন্য তখন লোকালয়ে আসতেই হয় এদের। আর তখনই [[মানুষ|মানুষের]] হাতে নিরীহ এই প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।
 
==বৈশিষ্ট্য==
'''পাতিশিয়াল''' ({{lang-en|Golden Jackal}}) এক প্রকার বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। বৈজ্ঞানিক নাম Canis aureus। [[শিয়াল]] নিশাচর। তবে কখনো খুব সকালেও দেখা যায়। পেটে ক্ষুধা থাকলে দিনের বেলায়ও বের হয়। সন্ধ্যায় শিয়াল ডেকে ওঠে। দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝোপের ভেতর, মাটির গর্তে লুকিয়ে পড়ে। সাধারণত দলে চলে, একাকীও ঘুরতে দেখা যায়। এরা সর্বভূক। প্রধান খাবার পোকামাকড়, [[পাখি]], ছোট আকারের মেরুদণ্ডী প্রাণী, [[টিকটিকি]], মৃতদেহ, শাকসবজি, [[আখ|আখের]] রস, ভুট্টা ইত্যাদি। খাবারের অভাব দেখা দিলে লোকালয়ে হানা দেয় [[হাঁস]]-[[মুরগি]] ধরতে। তবে খাদ্যের অভাব যখন প্রবল হয়েছে, তখনই শিয়াল লোকালয়ে এসে পোষা হাঁস-মুরগির ওপর হানা দিয়েছে। তাই আজও গাঁয়ের মানুষ শিয়াল দেখলে যে করেই হোক মারার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। পাতিশিয়ালের আকার আমাদের পোষা [[কুকুর|কুকুরের]] মতোই। লেজটি গুটিয়ে রাখে অর্থাৎ নিচের দিকে নামানো থাকে। গায়ের রং বাদামি, পেছনের অংশে কালো লোম থাকে। [[সিলেট|সিলেটের]] মৌলভীবাজার ও বড়লেখায় শিয়ালের ভালোই ডাক শোনা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, [[বর্ষা|বর্ষার]] সময় মানুষের হাতে শিয়াল মারা পড়ে বেশি। খাবারের জন্য তখন লোকালয়ে আসতেই হয় এদের। আর তখনই [[মানুষ|মানুষের]] হাতে নিরীহ এই প্রাণীর মৃত্যু ঘটে।
 
[[আফ্রিকা|আফ্রিকার]] বাইরে এটিই শিয়ালের একমাত্র প্রজাতি। পাতিশিয়ালের ১৩টি উপপ্রজাতি রয়েছে।<ref name=MSW3>{{MSW3 Wozencraft | pages = 574 | id=14000704}}</ref> আইইউসিএন এটিকে সবচেয়ে কম বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় রেখেছে, কারণ বিভিন্ন স্থানে এর বিস্তার রয়েছে। <ref name=iucn>{{IUCN2008|assessors=Jhala, Y.V. & Moehlman, P.D.|year=2008|id=3744|title=Canis aureus|downloaded=22 March 2009}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{সূত্র তালিকা}}
{{reflist|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==