বাঙালি জাতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lalin Chakma (আলোচনা | অবদান)
পৃষ্ঠার সমস্ত বিষয়বস্তু মুছে ফেলা হল
১ নং লাইন:
{{তথ্যছক-উপজাতি|
|group='''বাঙালি'''
|image= Bengali people.jpg
|poptime=২৩০,০০০,০০০
|popplace='''~''' <small>''এই দেশগুলিতে বৃহত্তর জনসংখ্যা রয়েছে: [[বাংলাদেশ]] ও [[ভারতে]] ([[পশ্চিমবঙ্গ]])।''</small>
|region1 = {{flag|বাংলাদেশ}}
|pop1 = ১৫০,৫০০,০০০
|ref1 = <ref>https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/bg.html#People</ref>
|region2 = {{flag|ভারত}}
|pop2 = ১২৫,০০০,০০০
|ref2 = <ref>http://www.everyculture.com/wc/Afghanistan-to-Bosnia-Herzegovina/Bengalis.html</ref>
|region3 = {{flag|সৌদি আরব}}
|pop3 = ~ ১,০০০,০০০
|ref3 = <ref>[http://www.un.org/esa/population/meetings/EGM_Ittmig_Arab/P02_Kapiszewski.pdf]</ref>
|region4 = {{flag|সংযুক্ত আরব আমিরাত}}
|pop4 = ~ ৬০০,০০০
|ref4 = <ref>http://www.7days.ae/showstory.php?id=62077</ref>
|region5 = {{flag|যুক্তরাজ্য}}
|pop5 = ~ ৫০০,০০০
|ref5 = <ref>[http://www.chsuk.tv/]</ref>
|region6 = {{flag|মালয়েশিয়া}}
|pop6 = ~ ২৩০,০০০
|ref6 = <ref>[http://www.iom.org.bd/images/publications/Recruitment_and_Placement_of_Bangladeshi_Migrant_Workers.pdf]</ref>
|region7 = {{flag|কুয়েত}}
|pop7 = ~ ১৫০,০০০
|ref7 = <ref>[http://news.bbc.co.uk/2/hi/middle_east/4478723.stm]</ref>
|region8 = {{flag|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র}}
|pop8 = ~ ১৪৩,৬১৯
|ref8 = <ref>[http://factfinder.census.gov/servlet/DTTable?_bm=y&-context=dt&-ds_name=DEC_2000_SF3_U&-CONTEXT=dt&-mt_name=DEC_2000_SF3_U_PCT019&-tree_id=403&-redoLog=true&-all_geo_types=N&-geo_id=01000US&-search_results=01000US&-format=&-_lang=en US Census 2000 foreign born population by country]</ref>
|region9 = {{flag|দক্ষিণ কোরিয়া}}
|pop9 = ১,৩০,০০০
|ref9 = <ref name="Hasan">{{Citation|last=Hasan|first=Rafiq|title=4,000 Bangladeshis to return from Oman in December|journal=[[The Daily Star (Bangladesh)|The Daily Star]]|volume=4|issue=176|year=2003|date=November 20, 2003|url=http://www.thedailystar.net/2003/11/20/d3112001055.htm|accessdate=2008-12-19}}</ref>
|region10 = {{flag|বাহরাইন}}
|pop10 = ~ ১২০০০০
|region11 = {{flag|ওমান}}
|pop11 = ~ ১১৫০০০
|ref11 = <ref name="Hasan"/>
|region12 = {{flag|কানাডা}}
|pop12 = ~ 24,595
|ref12 = <ref>[http://www12.statcan.ca/english/census06/data/topics/RetrieveProductTable.cfm?TPL=RETR&ALEVEL=3&APATH=3&CATNO=&DETAIL=0&DIM=&DS=99&FL=0&FREE=0&GAL=0&GC=99&GK=NA&GRP=1&IPS=&METH=0&ORDER=1&PID=92333&PTYPE=88971,97154&RL=0&S=1&ShowAll=No&StartRow=1&SUB=0&Temporal=2006&Theme=80&VID=0&VNAMEE=&VNAMEF=]</ref>
|region13 = {{flag|ইতালি}}
|pop13 = ~ ১২৩০০০
|ref13 = <ref>[http://www.thedailystar.net/2004/05/19/d40519050548.htm]</ref>
|region14 = {{flag|নেপাল}}
|pop14 = ~ ২৩,০০০
|ref14 = <ref>[http://www.ethnologue.com/show_language.asp?code=ben]</ref>
|region15 = {{flag|অস্ট্রেলিয়া}}
|pop15 = ~ ১৬,০০০
|ref15 = <ref>[http://www.censusdata.abs.gov.au/ABSNavigation/prenav/LocationList?newgeography=State+Suburb&level1=1&level2=SSC11503&submitbutton=View+QuickStats+%3E&mapdisplay=on&collection=Census&period=2006&areacode=1~SSC11503&geography=State+Suburb&method=&productlabel=&producttype=QuickStats&topic=&navmapdisplayed=true&javascript=true&breadcrumb=PL&topholder=0&leftholder=0&currentaction=102&action=401&textversion=false&subaction=2]</ref>
|region16 = {{flag|জাপান}}
|pop16 = ~ ১১,০০০
|ref16 = <ref>[国籍別外国人登録者数の推移]</ref>
|langs = [[Bengali language|Bengali]] <br /> (includes [[Sylheti language|Sylheti]], [[Chittagonian language|Chittagonian]] and [[Rohingya language|Rohingya]] [[Bengali dialects|dialects]])
 
এই ভারতীয় রাজ্যগুলিতে যথেষ্ট জনসংখ্যা রয়েছে: [[অরুণাচল প্রদেশ]], [[অসম]], [[মণিপুর]], [[মেঘালয়]], [[মিজোরাম]], [[নাগাল্যান্ড]], [[ওড়িশা]] ও [[ত্রিপুরা]]।
 
এই দেশগুলিতে যথেষ্ট জনসংখ্যা: [[মালয়েশিয়া]], [[মিয়ানমার]], [[পাকিস্তান]], [[কুয়েত]], [[সৌদি আরব]], [[যুক্তরাজ্য]], [[কানাডা]], [[সংযুক্ত আরব আমিরাত]] ও [[যুক্তরাষ্ট্র]]।
|rels=[[ইসলাম ধর্ম|ইসলাম]], [[হিন্দু ধর্ম]], [[বৌদ্ধ ধর্ম]], [[খ্রিস্ট ধর্ম]]
|langs=[[বাংলা ভাষা|বাংলা]]
|related=[[ইন্দো ইউরোপীয় জাতি|ইন্দো ইউরোপীয়]], [[ইন্দো-ইরানীয় জাতি|ইন্দো-ইরানীয়]], [[ইন্দো-আর্য জাতি|ইন্দো-আর্য]], [[অস্ট্রো-এশীয় জাতি|অস্ট্রো-এশীয়]], [[তিব্বতীয়-বার্মা জাতি|তিব্বতীয়-বার্মা]], [[প্রোটো অস্ট্রালয়ড জাতি|প্রোটো অস্ট্রালয়ড]], [[অসমীয় জাতি|অসমীয়]], [[বিহারি জাতি|বিহারি]], [[দ্রাবিড়ীয় জাতি|দ্রাবিড়ীয়]], [[উড়িয়া জাতি|উড়িয়া]], [[ত্রিপুরি জাতি|ত্রিপুরি]]
}}
'''বাঙালি জাতি''' হল [[বঙ্গ|বঙ্গদেশ]] অর্থাৎ [[বাংলাদেশ]] ও ভারতের [[পশ্চিমবঙ্গ]], [[ত্রিপুরা]], [[অসম]] ও [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে]] বসবাসকারী মানব সম্প্রদায় যাদের ইতিহাস অন্ততঃ চার হাজার বছর পুরোনো। এদের মাতৃভাষা [[বাংলা ভাষা|বাংলা]]। এই নৃগোষ্ঠীর সর্বাধিক ঘনত্ব দেখা যায় অধুনা [[বাংলাদেশ]] ও [[ভারতবর্ষ|ভারতবর্ষের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যে। তবে এছাড়াও অনেক বাঙালি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভারতের আরো নানা রাজ্যে, যেমনঃ [[ত্রিপুরা]], [[অসম]], [[ঝাড়খণ্ড]], [[বিহার]], [[ওড়িশা]], [[উত্তর প্রদেশ]], [[মহারাষ্ট্র]], [[দিল্লী]], [[কর্ণাটক]] এবং ভারতের উত্তরপূর্ব সীমান্তের রাজ্যগুলিতে ([[অরুণাচল প্রদেশ]], [[মণিপুর]], [[মেঘালয়]], [[মিজোরাম]], [[নাগাল্যান্ড]])। এছাড়াও [[মধ্যপ্রাচ্য]], [[জাপান]], [[মালয়েশিয়া]], [[মায়ানমার]], [[যুক্তরাজ্য]], [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র]] ইত্যাদি দেশে অনেক বাঙালি আছেন।
 
== ইতিহাস ==
বাঙালি জাতির ইতিহাসকে আদি বা প্রাচীন, মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগে ভাগ করা যায়।
=== প্রাচীন ইতিহাস ===
আগে এদেশের সভ্যতাকে অনেকেই অর্বাচিন বলে মনে করলেও বঙ্গদেশে চার হাজারেরো বেশি প্রাচীন তাম্রাশ্ম (chalcolithik) যুগের সভ্যতার নির্দশন পাওয়া গেছে <ref name=bsahistory>{{cite web
| url = http://www.orgs.ttu.edu/saofbangladesh/history.htm
| title = History of Bangladesh
| accessdate = ২০০৬-১০-২৬
| publisher = বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন
}}</ref><ref>[http://news.xinhuanet.com/english/2006-03/12/content_4293312.htm বাংলাদেশে ৪০০০ বছর পুরোনো মানব বাসস্থানের প্রত্নতাত্বিক নিদর্শনের খনন, জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা, মার্চ ২০০৬]</ref> যেখানে দ্রাবিড়, তিব্বতী-বর্মী ও অস্ট্রো-এশীয় নরসম্প্রদায়ের বাস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। বঙ্গ বা বাংলা শব্দটির সঠিক ব্যুৎপত্তি জানা নেই তবে অনেকে মনে করেন এই নামটি এসে থাকতে পারে দ্রাবিড় ভাষী বং নামক একটি গোষ্ঠী থেকে যারা এই অঞ্চলে আনুমানিক ১০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে বসবাস করত। <ref>(১৯৮৯) প্রাচীন ইতিহাস, ১০০০ খ্রীঃপূঃ-১২০২ খ্রীঃ, জেমস হাইৎস্মান ও রবার্ট এল ওয়ার্ডেন: [http://memory.loc.gov/frd/cs/bdtoc.html বাংলাদেশ:এ কান্ট্রি স্টাডি.] লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস</ref> ডঃ অতুল সুরের মতে "বয়াংসি" অর্থাৎ পক্ষী এদের টোটেম ছিল। আর্যদের আগমনের পর বাংলা ও বিহার অঞ্চল জুড়ে মগধ রাজ্য সংগঠিত হয় খ্রীশষ্টপূর্ব সপ্তম শতকে। [[বুদ্ধ|বুদ্ধের]] সময় মগধ ছিল ভারত উপমহাদেশের চারটি মহাশক্তিশালী রজত্বের অন্যতম ও [[ষোড়শ মহাজনপদ|ষোড়শ মহাজনপদের]] একটি। [[মৌর্য বংশ|বংশের]] [[চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য|চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের]] রাজত্বের সময় মগধের বিস্তার হয় দক্ষিণ এশিয়ার এক বিশাল অঞ্চলে। খ্রীষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে সম্রাট অশোকের সময় [[আফগানিস্তান]] ও [[পারস্য|পারস্যের]] কিছু অংশও মগধের অধিকারভুক্ত ছিল। বৈদেশিক রচনায় বাংলার প্রথম উল্লেখ দেখা যায় গ্রিকদের লেখায় ১০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের কাছাকাছি। তাতে বর্ণিত আছে গাঙ্গেয় সমতলভুমিতে বাসকারী [[গঙ্গাঋদ্ধি]] নামে জাতির শৌর্যবীর্যের কথা যা শুনে মহাবীর [[আলেক্সান্ডার]] তাঁর বিশ্ববিজয় অসম্পূর্ণ রেখে বিপাশার পশ্চিম তীর থেকেই প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। গঙ্গারিডি শব্দটি হয়ত গ্রিক Gangahrd (গঙ্গাহৃৎ) থেকে এসে থাকবে— গঙ্গা-হৃৎ অর্থাৎ গঙ্গা হৃদয়ে যে ভুমির।<ref name=Gangaridai>{{cite web
| url = http://banglapedia.search.com.bd/HT/G_0019.htm
| title = Gangaridai
| accessdate = 2006-09-08
| last = চৌধুরী
| first = এ.এম.
| work = [[বাংলাপিডিয়া]]
| publisher = এশিয়াটিক সোসায়টি অফ বাংলাদেশ
}}</ref> খ্রীষ্টীয় তৃতীয় শতকে মগধে গুপ্ত রাজবংশের পত্তন হয়।
 
=== মধ্যযুগ ===
[[বঙ্গ|বাংলার]] প্রথম স্বাধীন রাজা বলা হয় [[শশাঙ্ক|শশাঙ্ককে]] যার রাজত্ব ছিল সাতশো শতকের গোড়ার দিকে।<ref name=shashankabanglaped>{{cite web
| url = http://banglapedia.search.com.bd/HT/S_0122.htm
| title = শশাঙ্ক
| accessdate = ২০০৬-১০-২৬
| work = [[বাংলাপিডিয়া]]
| publisher = এশিয়াটিক সোসায়টি অফ বাংলাদেশ
}}</ref> তারপর কিছুদিন অরাজকতার পর [[বৌদ্ধ]]ধর্মাবলম্বী [[পাল বংশ]] এখানে চারশো বছর রাজত্ব করে, তারপর অপেক্ষাকৃত কম সময় রাজত্ব করে ব্রাহ্মণ্য হিন্দু ধর্মী [[সেন বংশ]]। বাংলা অঞ্চলে প্রথম ইসলামের প্রচার হয় দ্বাদশ শতকে সুফী ধর্মপ্রচারকদের দ্বারা। পরবর্তীতে বাংলা ইসলামীয় রাজত্বের অধিকারভুক্ত হলে বাংলায় প্রায় সব অঞ্চলেই দ্রুত ইসলামের প্রসার ঘটে।<ref name=islambanglaped>{{cite web
| url = http://banglapedia.search.com.bd/HT/I_0103.htm
| title = Islam (in Bengal)
| accessdate = ২০০৬-১০-২৬
| work = [[বাংলাপিডিয়া]]
| publisher = এশিয়াটিক সোসায়টি অফ বাংলাদেশ
}}</ref> দিল্লীর দাস বংশের সুলতানীর একজন তুর্কী সেনাপতি [[ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী|বখতিয়ার খলজী]] সেন বংশের রাজা [[লক্ষ্মণ সেন|লক্ষ্মণ সেনকে]] পরাজিত করে বাংলার এক বিশাল অংশ দখল করেন। অতঃপর দিল্লীর বিভিন্ন সুলতান রাজবংশ ও বা তাদের অধীনস্থ স্থানীয় সামন্ত রাজারা বাংলায় রজত্ব করে। ষোড়শ শতকে মুঘল সেনাপতি [[ইসলাম খান]] বাংলা দখল করেন। কিন্তু ধীরে ধীরে দিল্লীর মুঘল সরকারের নিযুক্ত শাসকদের হাত ছাড়িয়ে আপাত-স্বাধীন [[মুর্শিদাবাদ|মুর্শিদাবাদের]] নবাবদের রাজত্ব শুরু হয়, যারা দিল্লীর মুঘল সরকারের শাসন কেবল নামে মাত্র মানত।
 
=== বাংলার নবজাগরণ ===
[[বাংলার নবজাগরণ]] বলতে বোঝায় ব্রিটিশ রাজত্বের সময় অবিভক্ত ভারতের [[বঙ্গ|বাংলা]] অঞ্চলে ঊনবিংশ ও বিংশ শতকে সমাজ সংস্কার আন্দলনের জোয়ার ও বহু কৃতি মনীষীর আবির্ভাবকে। মুলতঃ রাজা [[রামমোহন রায়|রামমোহন রায়ের]](১৭৭৫-১৮৩৩) সময় এই নব জাগরণের শুরু এবং এর শেষ ধরা হয় কবিগুরু [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] (১৮৬১-১৯৪১) সময়ে, যদিও এর পরেও বহু জ্ঞানীগুণী মানুষ এই সৃজনশীলতা ও শিক্ষাদীক্ষার জোয়ারের বিভিন্ন ধারার ধারক ও বাহক হিসাবে পরিচিত হয়েছেন।<ref>''History of the Bengali-speaking People'' নিতিশ সেনগুপ্ত, পৃ ২১১, ইউবিএস পাব্লিশার্স' ডিস্ট্রিবিউটার্স প্রাইভেট. লিমিটেড. ISBN 81-7476-355-4।</ref> ঊনবিংশ শতকের বাংলা ছিল সমাজ সংস্কার, ধর্মীয় দর্শনচিন্তা, সাহিত্য, সাংবাদিকতা, দেশপ্রেম, ও বিজ্ঞানের পথিকৃৎদের এক অন্যন্য সমাহার যা মধ্যয্যগের যুগান্ত ঘটিয়ে এদেশে আধুনিক যুগের সূচনা করে।<ref>''Calcutta and the Bengal Renaissance'' - সুমিত সরকার ''Calcutta, the Living City''-তে, সম্পাদকঃ সুকন্ত চৌধুরী, ভলিউম ১, পৃ ৯৫।</ref>
 
=== স্বাধীনতা আন্দোলন ===
বাঙালিরা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে খুবই মূল্যবান ভূমিকা পালন করে। বাঙ্গালি মুসলমানরা সর্বপ্রথম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সচূনা করে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজদৌল্লার পরাজয়ের ফলে শাসন ক্ষমতা যে এদেশীয়দের কাছ থেকে বিদেশিদের হাতে চলে গিয়েছিল, এটা বুঝতে এখানকার জনগণের বেশ সময় লেগেছিল। ১৭৬০ খৃস্টাব্দে চট্টগ্রামের এবং ১৭৬৫ খৃস্টাব্দে বাংলার দেওয়ানি লাভের সাথে শাসন ক্ষমতাও তারা কুক্ষিগত করতে অগ্রসর হয়। পলাশীর যুদ্ধের পর এই রাজনৈতিক পট পরিবর্তন জনমনে বিশেষ রেখাপাত করেনি।
 
দেরিতে হলেও এদেশীয়রা ইংরেজদের অভিসন্ধি যখন বুঝতে পারলো, তখনই তারা রাজস্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ইংরেজদের দেওয়ানি রাজস্ব দিতে প্রথম অস্বীকৃতি জানায় পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা জনগোষ্ঠী। ১৭৭২ সাল থেকে ১৭৯৮ সাল পর্যন্ত তারা ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে। অবশেষে ইংরেজরা তাদের সেনাবাহিনী দিয়ে প্রতিরোধ করে। তারপর দুর্জন সিংহের নেতৃত্বে চেয়ার বিদ্রোহ হয় ১৭৯৯ সালে, তাও সেনাবাহিনীর সাহায্যে দমন করা হয়।
 
মুসলিম জনগোষ্ঠীর ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের উজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা হয় ফকির সন্ন্যাসী বিদ্রোহ ১৭৬০-১৮০০। সময়মত খাজনা দিতে না পারায় জমি থেকে উৎখাতকৃত কৃষকেরা তাদের সাথে যোগ দিয়ে সন্ন্যাসী বিদ্রোহকে গণবিদ্রোহের রুপদান করেছিলেন। ইংরেজ কর্তৃপক্ষ ফকির সম্প্রদায়কে ডাকাত আখ্যায়িত করে তাদের সংগ্রামকে দমিয়ে দেয়। এই আন্দোলন প্রশমণ হওয়ার পূর্বেই সৈয়দ আহমদের নেতৃত্বে উত্তর পশ্চিম ভারতে দুর্নিবার ধর্মভিত্তিক ওয়াহাবি আন্দোলন শুরু হলে ইংরেজদের বেকাদায় পড়তে হয়। তাই ইংরেজরা কৌশল অবলম্বন করে মুসলমানদের সাথে শিখদের সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেয়। এতে করে এই আন্দোলন ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ওয়াহাবি আন্দোলনের পরপরই আরম্ভ হয় তিতুমীরের নেতৃত্বে মুসলিম সাধারণ সমাজ বিশেষ করে রায়তের অধিকার আদায়ের আন্দোলন ১৮৩০-৩২। মক্কায় তিতুমীর হজ্ব করতে গেলে সেখানে তিনি সৈয়দ আহমদের সংস্পর্শে আসেন। উত্তর চব্বিশ পরগনায় অবস্থিত নারকেল বেড়িয়ায় তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা নামে একটি দেশীয় দুর্গ নির্মাণ করেই ইংরেজদের আক্রমণ প্রতিরোধ করেছিলো। শেষ পর্যন্ত তিতুমীর নিহত হলে তাদের দলের প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। প্রায় একই সময়ে আরম্ভ হয়েছিল দক্ষিণ-মধ্য বঙ্গে ফরায়েজি আন্দোলন। এই আন্দোলনও ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামের রূপ পরিগ্রহ করেছিলো। হাজী শরিয়ত উল্লাহ এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পুত্র দুদু মিঞা পরবর্তীতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
 
১৭৯৩ সালে কর্নওয়ালিস প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কুফল ছিলো চাষিদের নিকট ভয়ংকর। জমিদারদের অন্যায় কর আদায়ের ব্যাপারে জমিদারদের পূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছিলো। বাংলার জমিদারদের অধিকাংশই ছিল হিন্দু আর চাষি বা রায়তদারের অধিকাংশই ছিল মুসলমান, যে কারণে সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব দেখা দেয়। ইংরেজ দ্বারা সৃষ্ট চিরস্থায়ী বন্দোবস্তই এই বাংলায় সাম্প্রদায়িকতার বীজ রোপন করেছিল তা অস্বীকার করা যায় না।
 
ব্রিটিশ আধিপত্য বিস্তারের বিরুদ্ধে সর্বশেষে এবং সর্বাপেক্ষা রক্তক্ষয়ী প্রয়াস ছিল সিপাহি বিদ্রোহ ১৮৫৭। উত্তর ভারতের প্রায় সমস্ত বড় বড় শহরে এই বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। বিদ্রোহের লক্ষ্য ছিল শ্রেতাঙ্গরা। সিপাহি বিদ্রোহ অনেকটা আকস্মিক ছিল, ভারতের বিশাল জনগোষ্ঠীর এই বিদ্রোহে অংশ গ্রহণের সুযোগ ছিল না। এই সীমাবদ্ধতা যদি না থাকতো, তবে নিঃসন্দেহে এর ফলাফল অন্যরূপ হতো।
 
সিপাহি বিদ্রোহের ১৮ বছর পর বাংলার মুসলিম সমাজের জাগরণের ইতিহাসে যে সকল কীর্তিমান ব্যক্তিত্বের জন্ম হয়েছিলো, তন্মধ্যে অন্যতম ছিলেন- মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। ১৮৭৫ সালে চন্দনাইশ সাবেক পটিয়া থানার আডালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৩ সালে তিনি হুগলি, মাদ্রাসা থেকে টাইটেল পাস করেন। ১৮৯৮ সালে তিনি বৃটিশ বিরোধী সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কয়েকটি সংগঠন মুসলিম সমাজে এক পরিবর্তনের সূচনা করে। এই সংগঠন সমূহ ছিল মো েম কনফারেন্স, ইসলাম মিশন, মো েম শিক্ষা সমিতি। ১৯০২ সালে কিংবা এর নিকটবর্তী সময় বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী এই সংগঠন সমূহের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কংগ্রেসের আহবানে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হলে মুসলিম জাতীয়তাবাদী শক্তি এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। মৌলানা জামাল উদ্দিন আফগানী প্রচারিত প্যান ইসলামিক আন্দোলন প্রগতিশীল মুসলিম সমাজে জাতীয় চেতনার সৃষ্টি করে। এই চেতনাকে ভিত্তি করেই মুসলিম জাতীয়তাবোধের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সামগ্রিক অর্থে বাঙালি জাতীয়তাবোধের দৃঢ় ভিত্তি রচনা হয় মুসলিম সমাজে তখন থেকে।
 
সত্য বার্তা পত্রিকা লিখে ছিলোণ্ড কর্মবীর মাওলানা সাহেব ১৯০৬ সালের বঙ্গভঙ্গ রহিত আন্দোলনে যোগ দিয়া উক্ত সাপ্তাহিক ছোলতানে আন্দোলনের বহু প্রবন্ধ ও ব্যক্তিগত মন্তব্য প্রকাশ করেন। সরকার প্রবর্তিত ভার্নাকুলার প্রেস আইনের কারণে নির্ভীক কোন রচনা প্রকাশ করা যেত না। এতদসত্ত্বেও জনমত সংগঠনে ‘ছোলতান’ পত্রিকার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। উপমহাদেশে মুসলিম সমাজ তুরস্কে খলিফার পক্ষ নিয়ে অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলন শুরু করার পরিকল্পনায় মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ছিলেন প্রধান সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম। ১৯২০ সালের প্রথম দিকে বঙ্গীয় প্রাদেশিক খিলাফত কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি ছিলেন-মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী। চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ছিলেন শেখ-এ-চাট্‌গাম কাজেম আলী মাস্টার। ১৯২০ সালের ৩ মার্চ ঢাকার আহসান মঞ্জিলের খেলাফত কনফারেন্সে মৌলানা ইসলামাবাদী বলেছিলেন পাশ্চাত্যের দেশসমূহের ষড়যন্ত্রের ফলে তুরস্কের স্বাধীনতা লোপ পেলে এশিয়ার অন্যান্য মুসলিম দেশসমূহের স্বাধীনতাও বিপন্ন হয়ে পড়বে। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামও অর্থহীন হয়ে পড়বে। এ বছরেই তিনি চট্টগ্রামের জে. এম. সেন হলের খিলাফত জনসভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন।
 
মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী মনে করতেন খিলাফত ও অসহযোগ উভয়েই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়া অন্যটি দিয়ে লক্ষ অর্জন সম্ভব হবে না। আর আল ইসলাম পত্রিকায় একটি প্রবন্ধে তিনি লিখেছিলেন- “খেলাফত লইয়া আজ এছলাম জগৎ যুদ্ধ ও বিচলিত, কিন্তু প্রতিকারের উপায় একমাত্র অসহযোগিতা। এই অসহযোগ আন্দোলনের উদ্দেশ্যে দুইটি (১) খেলাফত সমস্যার সমাধান, তুরস্কের সোলতান-এর হৃতরাজ্য সমূহের পুনরুদ্ধার। এছলাম জগতের খলিফার পদমর্যাদা রক্ষা করা (২) ভারতে স্বরাজ লাভ”। আল এছলাম পত্রিকায় খিলাফত শীর্ষক আর এক প্রবন্ধে মুসলিম সমাজের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেছিলেন “এছলাম রক্ষা করিতে হইলে-মোছলমান নামে অভিহিত হইতে হইলে, শেষ প্রেরিত মহাপুরুষ হযরত মোহাম্মদের উম্মতের মধ্যে গণ্য হইয়া থাকিতে হইলে, খলিফাকে রক্ষা করা, খলিফার রাজ্য, তাহার ক্ষমতা ও পদমর্যাদা রক্ষা করা প্রত্যেক মোছলমানের ফরজ।” খিলাফত আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল মুসলিম আন্দোলনকারীরা হিন্দু আন্দোলনকারীদের সাথে একতাবদ্ধ হয়ে বিদেশি শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন পরিচালনা করা। প্রকৃতপক্ষে উভয় সম্প্রদায়ের লক্ষ্য ছিল অভিন্ন। ড. অমলেশ ত্রিপাটি এ বিষয়ের উপর বলেছিলেন-জামাল উদ্দীন আফগানি ইসলাম ও ইহুদীদের মৈত্রীর উপর জোর দিয়েছিলেন, তেমনি মৌলানা আজাদ, মৌলানা মোহাম্মদ আলী, শওকত আলী, মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী হিন্দু মুসলিম মৈত্রীর উপর। ত্রিপাটি আরও লিখেছিলেন, মৌলানা মুহাম্মদ আলীরা মনে করতেন, ভারত স্বাধীন হলে তুরস্কের স্বাধীনতা আনতে সাহায্য করবে।
 
স্বাধীনতা সংগ্রামকে মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ধর্মীয় কর্তব্য বলে মনে করতেন “কুরআন স্বাধীনতাকে কত উচ্চে স্থান দিয়েছেন এবং কাপুরুষতা ও পরাধীনতাকে কিরূপ ঘৃণিত পদার্থ ও অভিশপ্ত বস্তু রূপে ব্যাখ্যা করিয়াছে, তাহা সুষ্ঠুভাবে চিন্তা করিয়া দেখিলে রাজনৈতিক জগতেও স্বাধীনতার ইতিহাসে ইহা এক অমূল্য সম্পত্তি বলিয়া নির্দিষ্ট হইবে।” মৌলানা ইসলামাবাদী “পরাধীনতাকে আল্লাহর অভিসম্পাত বলে মনে করেন”। তিনি লিখেছে যে, “স্বাধীনতা আল্লাহর দান ও পরাধীনতাকে আল্লাহর কঠিন আজাব ও গজব বলিয়া কুরআন পুনঃ পুনঃ ঘোষণা করিয়াছেন। সেই অভিশাপ হইতে উদ্ধার চাওয়ার চেষ্টা করা কি অনিবার্য কর্তব্য নহে? এই কর্তব্য পালনে শৈথিল্য করিলে যে তজ্জন্য শুধু পরকালে নহে, ইহকালেও আল্লাহর গজবে পড়িতে হয়”।
 
মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদীরা ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামে মুসলিম জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবোধের দৃঢ় ভিত্তি রচনা করেছিলেন। মৌলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ৭৫ বছর বয়সে ২৪ অক্টোবর ১৯৫০ সালে ইন্তেকাল করেন।
 
ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রথম সূত্রপাত করেন কিছু শিক্ষিত বাঙালি বুদ্ধিজীবী, যাঁদের পুরোধা ছিলেন [[চিত্তরঞ্জন দাস]], [[সত্যেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়]] ইত্যাদি নরমপন্থীরা, এবং পরবর্তীতে বিপ্লবাত্মক ভূমিকায় ঋষি [[অরবিন্দ ঘোষ]], নেতাজী [[সুভাষ চন্দ্র বসু]], [[রাসবিহারী বসু]], [[ক্ষুদিরাম বসু]], [[প্রফুল্ল চাকী]], [[সূর্য সেন]] প্রমুখ বীর বিপ্লবীবর্গ।
 
=== বঙ্গভঙ্গ ===
বঙ্গভঙ্গ ইতিহাসে ঘটে দুবার: ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ রাজত্বকালে বঙ্গভঙ্গ, যাতে উদবেলিত বাঙালির প্রবল প্রতিবাদস্বরূপ বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন হলে ১৯১১ সালে এই বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। দ্বিতীয়বার বাংলা ভাগ হয় ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হবার সময়— বাংলার মুসলিমপ্রধান পূর্ব ভাগ [[পুর্ব পাকিস্তান]] হিসাবে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] অংশগত হয় ও হিন্দু প্রধান পশ্চিম ভাগ [[পশ্চিমবঙ্গ]] নামে [[ভারত|ভারতের]] অংশ থাকে। [[পুর্ব পাকিস্তান]] এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর হয় অধুনা স্বাধীন [[বাংলাদেশ]]।
 
=== বাংলাদেশের জন্ম ===
''এই বিষয়ের জন্য দেখুন [[বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ]] ও [[ভাষা আন্দোলন]] নিবন্ধ গুলি।''
 
== বাঙালির লোকাচার ==
বাঙালিরা শিল্প-সংস্কৃতিতে কৃতিত্বের জন্য বিখ্যাত। নানা বাঙালি লেখক, নাট্যকার, সুরকার, চিত্রকর, এবং চলচ্ছিত্রকাররা ভারতে শিল্প ও কলাচর্চার উন্মেষ ও বিকাশে মুখ্য ভুমিকা রাখেন। ঊনবিংশ শতকের [[বাংলার নবজাগরণ]] মূলে ছিল কিছু ব্রিটিশদের দ্বারা এদেশে পাশ্চাত্যের শিক্ষার ও পাশ্চাত্যীয় আধুনিকমনস্কতার অনুপ্রবেশ। অন্যান্য ভারতীয়দের তুলনায় বাঙালিরা অপেক্ষাকৃত দ্রুত ব্রিটিশদের প্রথা শিখে ফেলেছিল ও ব্রিটিশদের-ই নিজেদের দেশে ব্যবহৃত প্রশাসনব্যবস্থা ও আইনকানুন ইত্যাদির জ্ঞান পরবর্তী স্বাধীনতা আন্দলনে কাজে লাগিয়েছিল। বাংলার নবজাগরণের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল জায়মান রাজনৈতিক ভারতীয় জাতীয়তার বীজ ও আধুনিক ভারতের কলা ও সংস্কৃতির প্রথম উন্মোচন।বাঙালি কবি ও ঔপন্যাসিক [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]] ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার জয় করে এশিয়ায় সাহত্যে প্রথম নোবেল বিজয়ী হন।
 
== আরো দেখুন ==
* [[বাংলাদেশী]]
* [[বাংলা ভাষা]]
 
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist}}
{{বাংলাদেশের জাতিগোষ্ঠী}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাঙালি জাতি]]
[[বিষয়শ্রেণী:জাতি]]