যৌক্তিক ইতিবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২ নং লাইন:
 
== যৌক্তিক ইতিবাদী দার্শনিক ==
যৌক্তিক ইতিবাদ ভিয়েনা চক্রীয় [[দার্শনিক আন্দোলন]] হিসেবেও খ্যাত। উনবিংশঊনবিংশ শতাব্দির শেষদিক থেকে বিংশ শতাব্দি পর্যন্ত এ-আন্দোলনের ব্যাপ্তিকাল। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও বিজ্ঞানে নিয়োজিত কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যৌক্তিক ইতিবাদী চিন্তার অগ্রনায়ক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরোহী বিজ্ঞানের দর্শনের অধ্যাপক [[মরিস শ্লিক]]কেই এ-দর্শনের উদ্গাতা বলে অভিহিত করা হয়।<ref name="দার্শনিক প্রবন্ধাবলি" /> তিনি ছাড়া আর যাদের নাম যৌক্তিক ইতিবাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয়: [[রুডলফ কারনাপ]], নিউরাথ, ফাইগল, ভাইজম্যান। [[এ. জে. এয়ার]] দর্শনের শিক্ষক ছিলেন। তিনি ১৯৩৩ সালে এ-চক্রের সদস্য হিসেবে যোগদান করেন।
 
== যৌক্তিক ইতিবাদের লক্ষ্য ==
১১ নং লাইন:
== যাচাইকরণ নীতি ==
;মরিস শ্লিক-এর মতবাদ
মরিস শ্লিক বাক্যের অর্থ নিরূপণের উপর অত্যাধিকঅত্যধিক গুরুত্ব প্রদান করেন, বাক্যের অর্থ তার যাচাই বা পরখ করার পদ্ধতিতেই নিহিত বলে তিনি মনে করেন। যাচাই করার অর্থ হচ্ছে যাচাই করার সম্ভাব্যতা। কোন বাক্য যদি নীতিগতভাবে অপরখযোগ্য হয়, তবে তা অর্থহীন হয়ে পড়ে। তিনি উল্লেখ করেন, অধিবিদ্যক বাক্যগুলো অর্থহীন, কারণ এইসব বাক্য প্রচলিত ভাষা প্রয়োগের নিয়ম ও যৌক্তিক নিয়মাবলি খণ্ডন করে। এইসব বাক্যের অর্থ প্রতিপাদন করা কোনোভাবেই যাচাই করার সম্ভাব্যতার আওতায় পড়ে না।
যাচাইকরণ নীতি সংকীর্ণ ও ব্যাপক অথবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ- এই দু’অর্থে ব্যবহৃত হয়। সংকীর্ণ অর্থে অর্থপূর্ণ উক্তিকে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সত্য বা মিথ্যা বলে প্রতিপাদনযোগ্য হতে হবে। শ্লিক প্রথমে অর্থপূর্ণ উক্তির এই "সংকীর্ণ অর্থের" উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। কিন্তু এটি কঠোরভাবে সমালোচিত হওয়ায় "ব্যাপক অর্থে" যাচাইকরণ নীতি অবলম্বন করেন। এই নীতি অবলম্বনকে "সংকীর্ণ অর্থের" সংশোধনও বলা হয়ে থাকে। "ব্যাপক অর্থে" তিনি বলেন, [[বাক্য]] ও [[শব্দ]] বাস্তবে (in practical) যাচাইযোগ্য না হলেও চলবে। তবে তিনি পাশাপাশি এও বলে রেখেছেন, বাস্তবে না হলেও এগুলোকে অবশ্যই নীতিগতভাবে (in theory of principle) প্রতিপাদনযোগ্য হতে হবে।