বাঘা যতীন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎সশস্ত্র আন্দোলনে: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৪০ নং লাইন:
জননী শরৎশশীর অসুস্থতার সংবাদে যতীন কয়াগ্রামে এসে দেখেন এক কলেরা রোগীর সেবা করতে করতে তার সংক্রমণে যতীনের মা মৃত্যুবরণ করেছেন। দিদি বিনোদবালার কাছে যতীন জানতে পারেন, তাঁর প্রয়াত মা কুমারখালীর উমাপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে ইন্দুবালার সাথে যতীনের বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন। ১৯০০ সালে যতীন ইন্দুবালাকে বিয়ে করেন। তাঁদের ৪টি সন্তান হয় - অতীন্দ্র (১৯০৩-০৬), আশালতা (১৯০৭-৭৬), তেজেন্দ্র (১৯০৯-৮৯) এবং বীরেন্দ্র (১৯১৩-৯১)।
 
যতীন মজঃফরপুরে আর ফিরবেন না - এই খবর পেয়ে কেনেডি একটি সুপারিশ দেন তাঁর বন্ধু হেনরি হুইলারের নামে, যিনি তখন বাংলা সরকারের অর্থসচিব। যতীনকে হুইলার নিজের স্ট্যানোগ্রাফার হিসাবে নিয়োগ করেন। যতীনের পেশাগত নৈপুণ্যের সংগে তাঁর আত্মসম্মানবোধ ও দেশপ্রেম মুগ্ধ করে হুইলারকে। ভারতীয় প্রজাদের উপরে ইংরেজ অফিসারদের অবর্ণনীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে তখন [[বিপিন চন্দ্র পাল]] ''New India'' পত্রিকায় প্রতিবাদ ছাপছেন; তারই প্রতিধ্বনি তুলে ''বংগদর্শনের'' পৃষ্ঠায় [[রবীন্দ্রনাথ]] লিখছেন মুষ্টিযোগের উপযোগিতা বিষয়ে - ব্যক্তিগতভাবে আক্রান্ত ইংরেজের পক্ষ নিয়ে সরকার যেভাবে তার বদলা নেয়, সেবিষয়ে হুঁশিয়ার করে রবীন্দ্রনাথ ইংগিতইঙ্গিত দিচ্ছেন ভারতীয়দের সংঘবদ্ধ হতে। এর পিছনে প্রচ্ছন্ন আছে বিপ্লবীদের '''গুপ্ত সমিতি''' গঠনের পরিকল্পনা।
 
== সশস্ত্র আন্দোলনে ==
৬৩ নং লাইন:
 
== দৃঢ়চেতা মনোভাবী ও সমাজ সংস্কারক ==
[[১৯০৬]] সাল থেকে [[স্যার ডেনিয়েল হ্যামিলটন|স্যার ডেনিয়েল হ্যামিলটনের]] সহযোগিতায় যতীন একাধিক মেধাবী ছাত্রকে [[বৃত্তি]] দিয়ে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। শুরু হয় [[তারকনাথ দাস|তারকনাথ দাসকে]] দিয়ে; পরপর তাঁর পিছু পিছু রওনা হন [[গুরনদিৎ কুমার]], [[শ্রীশ সেন]], [[অধর লস্কর]], [[সত্যেন সেন]], [[জিতেন লাহিড়ি]], [[শৈলেন ঘোষ]]। ...... এদের কাছে নির্দেশ ছিল, উচ্চশিক্ষার সংগে সংগে আধুনিক লড়াইয়ের কায়দা ও [[বিস্ফোরক]] প্রস্তুতের তালিম নিয়ে আসতে এবং বিদেশের সর্বত্র ভারতের [[স্বাধীনতা]] সংগ্রামের প্রতি সহানুভূতি সৃষ্টি করতে। [[১৯০৮]] সালে বারীণ ঘোষের প্রথম প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে সবাই যখন হাল ছেড়ে দিয়েছে, তখন গোপনে [[শ্রীঅরবিন্দ|শ্রী অরবিন্দের]] ঘনিষ্ঠ দুই প্রধান বিপ্লবী কানে কানে রটিয়ে দিলেন: "ওরে, হতাশ হস্‌নে! যতীন মুখার্জি হাল ধরে আছে!" এই দু'জনের নাম [[অন্নদা কবিরাজ]] ও [[মুন্সেফ অবিনাশ চক্রবর্তী]]। বাস্তবিক সভা-সমিতি যখন বেআইনি, সারাদেশ যখন ধড়-পাকড়ের আতংকেআতঙ্কে বিহ্বল, যতীন তখন স্যার ডেনিয়েলের কাছ থেকে জমি লীজ নিয়ে গোসাবা অঞ্চলে পত্তন করলেন Young Bengal Zamindari Cooperative : পলাতক কর্মীদের গ্রাসাচ্ছাদনের সংগে তিনি সোদপুরের [[শশীভূষণ রায় চৌধুরী|শশীভূষণ রায় চৌধুরী'র]] দৃষ্টান্ত অনুযায়ী শুরু করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য নৈশ বিদ্যালয়, ছোট ছোট কুটির শিল্পের প্রতিষ্ঠান, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। গ্রামাঞ্চলের সংগে বিপ্লবীদের এই প্রথম প্রত্যক্ষ পরিচয় অত্যন্ত সুফল আসলো।<ref>First Spark of Revolution, Arun Chandra Guha, 1971, p. 161</ref>
 
== বিপ্লবীদেরকে অস্ত্র শিক্ষা ও ইংরেজ সরকার ==