বরেন্দ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎তথ্যসূত্র: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
১৬ নং লাইন:
প্রাপ্ত বিশিষ্ট প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন এবং তথ্যের প্রেক্ষিতে নীহাররঞ্জন আরো বলেছেনÑ “ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পুন্ড্র পঞ্চম-ষষ্ঠ শতকে পুন্ড্রবর্ধনে রুপান্তরিত হইয়াছে,এবং গুপ্ত রাষ্ট্রের একটি প্রধান ভূক্তিতে পরিণত হইয়াছে। ধনাইদহ, বৈগ্রাম, পাহাড়পুর এবং দামোদরপুর তাম্রপট্টোলী কয়টিতে এবং য়ুয়ান চোয়াঙের বিবরণে এই পুন্ড্রবর্ধন নামই পাওয়া যাইতেছে। উপরোক্ত পট্টোলীগুলিতে উল্লিখিত বিভিন্ন স্থানের নাম হইতে এ তথ্য আজ নিঃসংশয় যে,ত দানীন্তন পুন্ড্রবর্ধনভূক্তি অন্ততঃ বগুড়া দিনাজপুর এবং রাজশাহী জেলা জুড়িয়া বিস্তৃত ছিল। মোটামুটি সমগ্র উত্তরবঙ্গই বোধহয় ছিল পুন্ড্রবর্ধনের অধীন, একেবারে রাজমহল-গঙ্গা-ভাগিরথী তীর হইতে আরম্ভ করিয়া করতোয়া পর্যন্ত, কারণ য়ুয়ান চোয়াঙ কজংগল হইতে আসিয়াছিলেন পুন্ডবর্ধনে এবং করতোয়া পার হইয়া গিয়াছিলেন কামরুপ। কজঙ্গল এবং করতোয়া মধ্যবর্তী ভূভাগই তাহা হইলে পুন্ড্রবর্ধন; উত্তরে হিমবচ্ছিখর; দক্ষিণে সীমা কালে কালে বিভিন্ন।পরবর্তী কালে পৌন্ড্রভূক্তি, পুন্ড্র বা পৌন্ড্রবর্ধনভূক্তির রাষ্ট্রসীমা উত্তরোত্তর বাড়িয়াই গিয়াছে। ধর্মপালের (অষ্টম শতক) খালিমপুর লিপিতেই দেখিতেছি পুন্ড্রবর্ধনার্ন্তগত বাঘ্রতটিমন্ডলের উল্লেখ। এই বাঘ্রতটিমন্ডল যে দক্ষিণ-সমুদ্রতীরবর্তী ব্যাঘ্রাধ্যুষিত বনময় প্রদেশ হওয়া অসম্ভব নয়, সে কথা আগেই বলিয়াছি।সেন আমলে দেখিতেছি পুন্ড্রবর্ধনের দক্ষিণতম সীমা পশ্চিম দিকে খাড়িবিষয়-খাড়িমন্ডল(বর্তমান খাড়ি পরগণা, ২৪ পরগণা) অন্যদিকে ঢাকা-বাখরগঞ্জের সীমা পর্যন্ত। বঙ্গের নাক্ষ্য এবং বিক্রমপুর ভাগও তখন পুন্ড্রবর্ধনের অর্ন্তগত। <ref>নীহাররঞ্জন রায়,বাঙ্গালীর ইতিহাস।পৃঃ-১১৫</ref>
 
নীহাররঞ্জনের মতামতকে সমর্থন করে আর এক প্রাজ্ঞ ইংরেজ পন্ডিত আলেকজান্ডার কানিংহামও একই মত প্রকাশ করে বলেছেন যে “প্রাচীনকালে হিমালয়ের পাদদেশ থেকে আরম্ভ করে বঙ্গোপসাগরের উপকুলউপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত ভূখন্ড পুন্ড্রদেশ নামে অভিহিত হত।” <ref name="ReferenceA">এ,কে এম, ইয়াকুব আলী।(ব, অ, ই, )পৃঃ-১৮৪</ref>
তিনি আরো অভিমত প্রকাশ করেছেন যে “পরবর্তী কোন এক সময় হতে পুন্ড্রবর্ধনের স্থলে তার একটি মন্ডল বা প্রশাসনিক দ্বিভাগ ‘বরেন্দ্রী’ জনগণের নিকট অধিক পরিচিত হয়ে ওঠে। <ref name="ReferenceA"/>