ধর্মঠাকুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
৫ নং লাইন:
একাধিক হিন্দু দেবদেবীকে ধর্মঠাকুর ধারণার উৎস মনে করা হয়। এঁরা হলেন [[সূর্য (দেবতা)|সূর্য]], [[বরুণ]], [[বিষ্ণু]], [[যম]] ও [[শিব]]। এমনকি [[বৌদ্ধধর্ম|বৌদ্ধধর্মের]] সঙ্গেও ধর্মঠাকুরের সংযোগ অনুমিত হয়। প্রাগৈতিহাসিক যুগে কৃষিকাজ-সংক্রান্ত অলৌকিক বিশ্বাস এই ধারণার আদি উৎস। পরবর্তীকালে আর্যীকরণের যুগে সেই মূল ধারণার সঙ্গে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধারণা এসে মিলিত হয়। বর্তমানে সঠিকভাবে মূল ধারণাটির উৎস অনুসন্ধান তাই দুঃসাধ্য কাজ।<ref name=Mitra1>Mitra, Dr. Amalendu, ''Rarher Sanskriti O Dharmathakur'', (in Bengali), first published 1972, 2001 edition, pp. 109-117, Subarnarekha, 73 Mahatma Gandhi Road, Kolkata</ref>
 
[[সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়]] লিখেছেন, "লোকবিশ্বাসে ধর্মঠাকুর হলেন সর্বোচ্চ দেবতা। তিনিই মহাবিশ্বের স্রষ্টা ও ধারক। তাঁর স্থান ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবেরও উর্ধ্বে।ঊর্ধ্বে। কোথাও কোথাও তিনিই এই তিন দেবতার সমতুল্য। তবে বৌদ্ধ ধর্মদেবতার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।" তিনি আরও বলেছেন যে, ধর্মের গাজন উৎসবের গান ও নাচগুলি স্পষ্টতই অনার্য সংস্কৃতি থেকে উৎসারিত। সম্ভবত এগুলি [[দ্রাবিড় জাতি|দ্রাবিড়]] বা [[সিনো-তিব্বতীয় ভাষা|তিব্বতি-চীনা]] উৎস থেকে আগত।<ref name=Mitra1/>
 
[[সুকুমার সেন (ভাষাতাত্ত্বিক)|সুকুমার সেনের]] মতে, ধর্মঠাকুর তথাকথিত নিম্নবর্গীয় মানুষদের দেবতা। অতীতে কোনো এক কালে তাঁরাই ছিল সমাজের সংখ্যাগুরু অংশ। [[ব্রাহ্মণ্য হিন্দুধর্ম|ব্রাহ্মণ্যধর্মে]] তাঁদের অধিকার ছিল না। [[গুপ্ত সাম্রাজ্য|গুপ্তযুগে]] ব্রাহ্মণরা দলে দলে বাংলায় আসতে শুরু করেন। কিন্তু তাঁরা যেহেতু বাংলার আদি বাসিন্দা ছিলেন না, সেই হেতু ধর্মঠাকুরকেও ব্রাহ্মণ্য দেবতা বলা চলে না। তিনি ব্যক্তিগত দেবতা ছিলেন না, ছিলেন গণদেবতা। লোকে দল বেঁধে তাঁর পূজা করত। হাড়ি, ডোম ও [[চণ্ডাল|চণ্ডালের]] মতো বৃহৎ সামাজিক গোষ্ঠীগুলি তাঁর পূজা করত।<ref name=Mitra1/>