গ্রিসের ইতিহাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Alonso de Mendoza (আলোচনা | অবদান)
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে, কোনো সমস্যায় তানভিরের আলাপ পাতায় বার্তা রাখুন
২৭ নং লাইন:
মাইসেনিয়ানরা এজিয়ান সাগরে আসতে শুরু করে ১৬০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দের দিকে, ১৪০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে তাঁরা মিনোয়ান সভ্যতার কেন্দ্র ক্রিটি দখল করে নেয়। আদি গ্রীক ভাষা লেখার জন্য তাঁরা ক্রিটির লিনিয়ার এ ভাষা ব্যাবহার করতো পরে নিজেদের লিনিয়ার বি (Linear B) ভাষার প্রচলন করে। মাইসেনিয়ানরা এসেছে মাইসেনিয়া নামক অঞ্চল থেকে, অন্যান্য মাইসেনিয়ান অঞ্চল হল এথেন্স, পিলস, থীব, টিরান ইত্যাদী।
 
মাইসেনিয়ানরা ছিল যোদ্ধা, তাঁদের কবরে মৃতদেহের সাথে যুদ্ধের সরঞ্জাম সমাহিত করার প্রমাণ পাওয়া যায়। ১১০০ খ্রীস্টপূর্বাব্দে মাইসেনিয়ান সভ্যতা ধংস প্রাপ্ত হয়। কোন কোন গভেষক এর জন্য ডোরিয়ান নামের আরেকটি গোষ্টীর আক্রমনআক্রমণ করাকে দায়ী করে থাকে কিন্তু তার কোন উল্লেখযোগ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মাইসেনিয়ান সভ্যতার পতনের পর গ্রীক একটা সাময়িক অন্ধকার যুগে প্রবেশ করে। এসময় গ্রীসের জনসংখ্যা এবং শিক্ষার হার আশঙ্খা জনক ভাবে হ্রুাস পায়।
 
=== আদি লৌহযুগ ===
৬২ নং লাইন:
প্রধান দুটি যুদ্ধ ধ্রুপদী গ্রীসকে আকার দিয়েছে, তার একটি পারসিক যুদ্ধ (৫০০ খ্রি: পূ: থেকে ৪৪৮ খ্রি: পূ:), এই যুদ্ধে আয়োনিয়ার গ্রীক নগরগুলো পারস্য সভ্যতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল আর গ্রীক মূল ভুখন্ডের কিছু নগর, যেমন এথেন্স তাতে সমর্থন যুগিয়েছিল।
 
যুদ্ধ পরিচালনা এবং পারসিক আক্রমনআক্রমণ প্রতিহত করতে এথেন্স ৪৪৭ খ্রীস্ট পূর্বাব্দে ডিলিয়ান লীগ নামে একটি নগর সমূহের একটি লীগ গঠন করে। লীগের সদস্য নগর গুলো একটা সর্বজনীন সেনাবাহিনী গঠন করে এবং প্রত্যেক সদস্য এই সর্বজনীন সেনাবাহিনীতে সৈনিক এবং নৌযান প্রদান করতো। এথেন্স প্রথম দিকে ছোট ছোট নগর রাস্ট্রগুলোকে লীগে অবদান রাখার সুযোগ করে দেয় পরে পরে অবদান রাখতে বাধ্য করে। লীগ থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদকে অপরাধ হিসেবে গন্য করতে শুরু করে। পারসিক যুদ্ধের পর লীগের কোষাগার ডেলস থেকে এথেন্সে সরিয়ে আনা হয় এবং লীগের উপর এথেন্সের নিয়ন্ত্রন আরো জোরালো করা হয়। এমন অবস্থা দাড়ায়যে ডিলিয়ান লীগকে এথেন্স সাম্রাজ্য বললে ভুল বলা হয়না।
 
৪৫৮ খ্রী: পূ: তে পারসীয়ান যুদ্ধের মধ্যেই ডিলিয়ান লীগ এবং স্পার্টার নেতৃত্বাধসি পেলোপনেসিয়ান লীগের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যায়। কিছু বছর ফলাফলহীন যুদ্ধের পর ৪৪৭ খ্রী: পূ: তে এ দুটি লীগ একটা ৩০ বছর মেয়াদী শান্তি চুক্তি করে, কিন্তু চুক্তি সত্ত্বেও ৪৩১ খ্রী: পূ: তে পেলোপনেসিয়ান যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
 
যুদ্ধে এথেন্সের সেনাপতি পেরিক্লিস আত্মরক্ষামূলক পদ্ধতি গ্রহন করে, ফলে দিনের পর দিন এথেন্স স্পার্টা কতৃককর্তৃক অবরুদ্ধ হয়ে থাকে। ৪৩০ খ্রি: পু: তে মহামারী প্লেগের খপ্পরে পড়ে এথেন্স, এর চার ভাগের এক ভাগ মানুষ মারা যায়। পেরিক্লিসও মারা যায় এ সময়। পেরিক্লিস এর মৃ্ত্যুর পর নতুন নেতৃত্ব আক্রমনাত্বকআক্রমণাত্বক ভুমিকা গ্রহন করে। ফিলোসের যুদ্ধে এথেন্স ৩০০ থেকে ৪০০ স্পার্টান যোদ্ধা বন্দী করতে সক্ষম হয়। এই যোদ্ধারা স্পার্টান সেনাবাহিনীর এত গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলে যে স্পার্টা এদের হাতছাড়া করতে চাইছিলো না। অন্য দিকে ডেলিয়াম এবং এমিপিফোলিস এর যুদ্ধে এথেন্স শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়। অবশেষে ৪২১ খ্রি: পু: তে শান্তিচুক্তি হয় যা [[Peace of Nicias]] নামে পরিচিত। এই চুক্তির ফলে স্পার্টা তার যুদ্ধবন্দী ফেরত পায় আর এথেন্স ফেরত পায় হারানো নগর এমপোফোলিস। যুদ্ধের এই প্রথম পর্বকে বলা হয় আর্কেমিডিয়ান যু্দ্ধ।
 
[[চিত্র:Map athenian empire 431 BC-en.svg|thumb|350px|Map of the [[Delian League]] ("Athenian Empire") ৪৩১ খ্রি: পূ: [[Peloponnesian War|পেলোপোনেসিয়ান যু্দ্ধ]] শুরুর ঠিক আগে আগে]]