ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ইফাজ (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Al-mahmudbd (আলোচনা | অবদান)
২২ নং লাইন:
 
==ইতিহাস==
১৯৭১ সালে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। দেশের সর্বসত্মরের মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকলেও একটি ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ‘ইসলামি সংহতি’ ও ‘মুসলিম ভ্রাতৃত্ব’ অটুট রাখার অজুহাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে এবং তৎকালীন পাকিসত্মানি স্বৈরশাসক গোষ্ঠী ও হানাদার বাহিনীর সাথে হাত মেলায়। ইসলামের ভুল-ব্যাখ্যা করে তারা সরলপ্রাণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে এবং মুক্তিযুদ্ধকে ইসলাম-বিরোধী কাজ ও মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিকামী জনগণকে ইসলামের শত্রু বলে আখ্যায়িত করে। শুধু প্রচার-প্রচারণা নয়, ইসলামের অপব্যাখ্যা করে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হত্যা-লুণ্ঠনসহ মানবতাবিরোধী সকল অনৈসলামিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। তাদের এই তৎপরতা ছিলো সম্পূর্ণ অন্যায় ও ইসলামি আদর্শের পরিপন্থি। মুক্তিযুদ্ধ ছিলো হানাদার জালিমের বিরুদ্ধে মজলুম জনগণের ইসলাম সম্মত এক সর্বাত্মক ন্যায়যুদ্ধ। ওই সময় স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর ইসলাম-বিরোধী কর্মকান্ডের কারণে দেশ-বিদেশে শামিত্মর ধর্ম ইসলামের ভাব-মর্যাদা দারুণভাবে ক্ষুণ্ণ হয়।
[[File:Bayt al Mukarram.jpg|thumb|left|[[বায়তুল মোকাররম|জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম]] ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সদর দপ্তর]]
১৯৫৯ সালে, বাংলাদেশের ঢাকায় ইসলামের শিক্ষার প্রচার ও প্রসারে দুটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়। বায়তুল মোকাররম সোসইটি নির্মাণ করেন [[বায়তুল মোকাররম|বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ]] ({{lang-ar|بيت المكرّم}}) এবং ওলামাগণ, ইসলামী দর্শন, সংষ্কৃতি ও জীবন ব্যবস্থাকে মানুষের কাছে সহজে পৌছে দেওয়ার জন্য এবং তা নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করেন দারুল উলুম।<ref name="BangIFB"/> ১৯৬০ সালে দারুল উলুমকে ইসলামিক একাডেমী নামে নামকরণ করা হয় এবং করাচিভিত্তিক সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অব ইসলামিক রিসার্চ এর একটি শাখা হিসেবে রুপান্তর করা হয়।<ref name="BangIFB"/>
 
এই তিক্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষাপটে স্বাধীন বাংলাদেশে ইসলামের যথার্থ শিক্ষা ও মর্মাবাণী সঠিকভাবে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রচার-প্রসারের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এরই ফলশ্রম্নতিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২২ মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামি আদর্শের যথাযথ প্রকাশ তথা ইসলামের উদার মানবতাবাদী চেতনা বিকাশের লক্ষ্যে একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠা ছিলো জাতির জনকের সুদূরপ্রসারী চিন্তার এক অমিত সম্ভাবনাময় স্বর্ণফসল।
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে, ইসলামিক একাডেমীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে স্বঘোষিত সমর্থন ও সহায়তার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।<ref name="SAAGI">{{cite web | last = Raman| first = B.| date = 2006-08-29| url = http://www.saag.org/papers3/paper232.html| title = Mujib and Islam| format = PHP | accessdate = 2006-08-29}}</ref> একাডেমীটিকে সে সময় রাজনীতিকে ইসলামীকরণের জন্য দোষারোপ করা হয়েছিল।<ref name="SAAGI"/> ১৯৭৮ সালের ২০-২২শে মার্চ ফাউন্ডেশনটি ও.আই.সি.'র সৌজন্যে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে, যেখানে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।<ref name="BangIFB"/> ১৯৭৯-৮০ সালে ফাউন্ডেশনটির উন্নয়ন নতুন করে গতিবেগ লাভ করে।<ref name="BangIFB"/>
 
 
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
 
১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ প্রণীত হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশন অ্যাক্ট। এই অ্যাক্ট অনুযায়ী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিম্নরূপ:
 
মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র, একাডেমী , ইন্স্টিটিউট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণ বা সেগুলোকে আর্থিক সাহায্য প্রদান-যাতে সেগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে ইসলামের প্রচার-প্রসার সম্ভব হয়;
 
সংস্কৃতি, মনন, বিজ্ঞান ও সভ্যতার ক্ষেত্রে ইসলাম ও মুসলিম অবদান সম্পর্কে গবেষণার ব্যবস্থা;
 
সর্বজনীন ভ্রাতৃত্ব, সহনশীলতা ও ন্যায় বিচার সংক্রামত্ম ইসলামের মৌলিক আদর্শের প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা;
 
ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার ব্যবস্থা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি সম্পর্কে অধ্যয়ন ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য বৃত্তি প্রদান, গবেষণাক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ আবদানের জন্য পুরস্কার এবং পদক প্রবর্তন ও প্রদান, এ সমসত্ম বিষয়ে আলোচনা, বক্তৃতা, বিতর্ক-সভা, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন, গবেষণা ও আলোচনাপ্রসূত গ্রন্থ, প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশ, অনুবাদ, সংকলন, সাময়িকী এবং পুসিত্মকা প্রকাশ ইত্যাদি;
 
উপরিউক্ত কর্মসূচি সংক্রামত্ম প্রকল্প রচনা, সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রকল্প প্রণয়ন ও বাসত্মবায়নে সাহায্য-সহায়তা দান এবং ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের অনুকূল অন্য যে-কোনো কর্মসূচি গ্রহণ।
 
==আরও দেখুন==