গণেশপুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
[[File:Ganesha (musée de Dahlem, Berlin) (3095871343).jpg|right|thumb|260px|[[বার্লিন|বার্লিনের]] সংগ্রহালয়ে সংরক্ষিত [[গণেশ|গণেশের]] মূর্তি। ''গণেশপুরাণ'' গ্রন্থে [[হিন্দুধর্ম|হিন্দু]] [[হিন্দু দেবদেবী|দেবতা]] [[গণেশ]]-সংক্রান্তগণেশের পৌরাণিক উপাখ্যান এবং গণেশেরগণেশ-কেন্দ্রিক ধর্মতত্ত্ব চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যদর্শনতত্ত্ব বর্ণিতআলোচিত হয়েছে।]]
{{হিন্দুশাস্ত্র}}
'''''গণেশপুরাণ''''' ([[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]]:{{lang|sa|गणेश पुराणम्}}; {{IAST|gaṇeśa purāṇam}}) হল [[সংস্কৃত ভাষা|সংস্কৃত]] ভাষায় রচিত একটি [[হিন্দুধর্ম|হিন্দু]] [[হিন্দুশাস্ত্র|ধর্মগ্রন্থ]]। এটি একটি [[পুরাণ#উপপুরাণ|উপপুরাণ]] (অপ্রধান পুরাণ)। এই গ্রন্থটিরপুরাণের উপজীব্য বিষয় হল হিন্দু [[হিন্দু দেবদেবী|দেবতা]] [[গণেশ|গণেশের]]-সংক্রান্ত পৌরাণিক উপাখ্যান এবং গণেশের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।{{Sfn|Brown|1991|p=95}} এটি একটি [[পুরাণ#উপপুরাণ|উপপুরাণ]] (অপ্রধান পুরাণ)। এতে পৌরাণিক উপাখ্যান ছাড়াওএছাড়া গণেশ-সংক্রান্ত [[সৃষ্টিতত্ত্ব]], রাজাবলি, রূপক-কাহিনি, [[যোগ (দর্শন)|যোগ]], ধর্মতত্ত্ব ও [[হিন্দু দর্শন|দর্শনতত্ত্ব]] আলোচিত হয়েছে।{{Sfn|Bailey|1995|pp=12, 52-53, 71-72, 89-91}}{{Sfn|Brown|1991|pp=88-92}}
 
''গণেশপুরাণ'' দুটি বৃহদায়তন ‘খণ্ড’ বা বিভাগে বিভক্ত। প্রথম খণ্ডটির নাম ''ক্রীড়া-খণ্ড''।‘উপাসনাখণ্ড’। এই খণ্ডে ১৬৫টি৯২টি অধ্যায়ে পৌরাণিক উপাখ্যানধর্মতত্ত্বরাজাবলি[[ভক্তিযোগ|ভক্তিতত্ত্ব]] বর্ণিতআলোচিত হয়েছে। অপরদ্বিতীয় খণ্ডটির নাম ''উপাসনা-খণ্ড''।‘ক্রীড়াখণ্ড’। এই১৬৫টি খণ্ডেঅধ্যায়ে ৯২টিবিন্যস্ত অধ্যায়েএই খণ্ডে বর্ণিত হয়েছে ধর্মতত্ত্বপৌরাণিক উপাখ্যান[[ভক্তিযোগ|ভক্তিতত্ত্ব]]।রাজাবলি।{{Sfn|Bailey|1995|p=ix, 115}}{{Sfn|Rocher|1986|p=174}} এই পুরাণের অনেকগুলি পাঠান্তর পাওয়া যায়।{{Sfn|Bailey|1995|pp=115-117}} সম্ভবত মধ্যযুগের শেষভাগেশেষ অর্থাৎপর্যায়ে (খ্রিস্টীয় ১৩শ থেকে ১৮শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে) [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ায়]] ইসলামি শাসনকালেশাসনকালটি ছিল এক রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলারসংঘর্ষের যুগেযুগ। ''গণেশপুরাণ''এই সময়েই এই পুরাণ রচিত ও পরিবর্ধিতপরিমার্জিত হয়।{{Sfn|Bailey|2008|pp=xi-xii, 70-78}}{{Sfn|Thapan|1997|pp=30-33}}{{Sfn|Brown|1991|pp=95-97}} এই পুরাণে সকল প্রধান [[পুরাণ|পুরাণের]] বৈশিষ্ট্য ও উপাখ্যানগুলি এই পুরাণে সন্নিবেশিত হয়েছে। বেইলির মতে, অন্যান্য সকল পুরাণের মতো রচনাকালের পরিবেশ অনুসারে এই পুরাণেও সাংস্কৃতিক বিষয়গুলিরবিষয় এবং সাংস্কৃতিক প্রয়োজন ও সভ্যতার প্রতিফলন ঘটেছে।{{Sfn|Bailey|1995|pp= 4, 116}}
 
''[[মুদ্গলপুরাণ]]'', ''[[ব্রহ্মপুরাণ]]'' ও ''[[ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ]]'' গ্রন্থ তিনটির মতো ''গণেশপুরাণ'' গ্রন্থটিও গণেশ-সংক্রান্ত একটি বিশ্বকোষতুল্য গ্রন্থ।{{Sfn|Brown|1991|p=95}} উল্লেখ্য, ''ব্রহ্মপুরাণ'' ও ''ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ'' হল [[পুরাণ#মহাপুরাণ|মহাপুরাণ]] এবং ''গণেশপুরাণ'' ও ''মুদ্গলপুরাণ'' হল উপপুরাণ। এই চার পুরাণগ্রন্থের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু পৃথক পৃথক। ''ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ'' গ্রন্থে গণেশকে বলা হয়েছে ‘সগুণ’ (সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণ সহিত এবং সাকার)। ''ব্রহ্মপুরাণ'' গ্রন্থে গণেশকে বলা হয়েছে ‘নির্গুণ’ (সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই ত্রিগুণ রহিত এবং নিরাকার)। ''গণেশপুরাণ'' গ্রন্থে গণেশকে একাধারে সগুণ ও নির্গুণ বলা হয়েছে এবং আরও বলা হয়েছে যে, সগুণ গণেশ নির্গুণ গণেশের আদি রূপ। ''মুদ্গলপুরাণ'' গ্রন্থে গণেশকে ‘সম্যোগ’ (পরম সত্য ও আত্মার বিমূর্ত সমন্বয়) রূপে বর্ণনা করা হয়েছে।{{Sfn|Brown|1991|pp=95-97}}
 
''গণেশপুরাণ'' হিন্দুধর্মের [[গাণপত্য ধর্ম|গাণ্যপত্য]] সম্প্রদায়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ। এই সম্প্রদায়ে গণেশকে প্রধান দেবতা রূপে পূজা করা হয়।{{Sfn|Thapan|1997|p=304}}{{Sfn|Bailey|1995|p=ix}}
 
''গণেশপুরাণ'' হিন্দুধর্মের [[গাণপত্য]] সম্প্রদায়ের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মগ্রন্থ। এই সম্প্রদায়ে গণেশকে প্রধান দেবতা রূপে পূজা করা হয়।{{Sfn|Thapan|1997|p=304}}{{Sfn|Bailey|1995|p=ix}}
 
== গুরুত্ব ==