উইকিপিডিয়া আলোচনা:ব্যবহারকারীর পাতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Dasharbarta-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Aftabuzzaman-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
Kamrul Islam bd seo (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
আমি সর্বপ্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করি 2010 এর শেষের দিকে। ঠিক সেখান থেকেই আমার ইন্টারনেটের মাধ্যমে উপার্জনের চেষ্টা শুরু। সঠিক পথটি পাওয়ার জন্যে হন্নে হয়ে ঘুরেছি এক্সপার্টদের দ্বারে দ্বারে।
{{আলাপ পাতা}}
উত্তরার একটি ট্রেনিং সেন্টারেও ভর্তি হয়েছিলাম- কিন্তু সঠিক রাস্তা না দেখিয়ে করেছে প্রতারণা। যাইহোক, হয়তো বা সেদিনের প্রতারণা থেকে শিক্ষা নিয়েই আজ আমি সঠিক পথের সন্ধান পেয়েছি।
 
আমি কামরুল ইসলাম। আমি 2005 সালে ইছরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি পাশ করেছি। তারপর টঙ্গী সরকারি কলেজ থেকে 2007 সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেছি।
এরপর ঢাকায় এসে একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হই এবং 2012 সালে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করি। বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এম.এস.সি অধ্যয়নরত আছি।
 
শিক্ষাজীবন শেষ করার পূর্বেই কর্মজীবনে প্রবেশ করেছি একটি প্রকাশনীর হাত ধরে। প্রথমদিকে বাসায় বসে কম্পিউটারে কম্পোজ করতাম। পরবর্তীতে সেই প্রকাশনীর অফিসে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে ছিলাম 2 বছরের মতো। পাশাপাশি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম
অনলাইনে আয়ের কলাকৌশল শেখার জন্য। অনলাইনে কাজের নামে অনেক ধরনের ভুয়া কোম্পানীর মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছি বেশ কয়েক বার। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ডুল্যান্সার, ক্লিকসেন্স, স্কাইল্যান্সার ইত্যাদি।
 
পরবর্তীতে এক ভাইয়ের পরামর্শে উত্তরার এ্যাপটেক নামের একটি ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হই 8000 টাকা দিয়ে এস.ই.ও নামক কোর্সে। সত্যি বলতে তখন এস.ই.ও সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না। তাদের মনগলানো স্লোগান দেখে- “প্রতিমাসে 25 থেকে 50 হাজার টাকা পর্যন্ত আয়”
সত্যি মিথ্যা যাচাই না করেই ভর্তি হই। ভর্তি হওয়ার পর দেখি শুধু আমি না আমার মতো অনেকেই না জেনে না বুঝে শুধুমাত্র টাকার লোভে এই ফাঁদে পা দিয়েছিল। এখন ভাবি আমি যদি কোর্সে ভর্তি না হতাম তবে হয়তো বিশাল এই ইন্টাননেট জগতটা সম্পর্কে অজ্ঞই থেকে যেতাম।
তো যাইহোক, কোর্স শেষ হতে না হতেই আমি ছিটকে পড়ে যাই জন্ডিস নামক একটি রোগের আক্রমণে। প্রায় মাস দুই পরে আবার চেষ্টা করি পরবর্তী ব্যাচের সাথে কোর্স চালাতে, কিন্তু না আগের মতো আর হয়ে উঠে না। এবার হতাশ!! সত্যিই টাকা উপার্জনের কোন সহজ রাস্তা নাই, টাকা উপার্জন করতে হলে
বেশী না হলেও একটু কষ্ট করাই লাগবে সেই সাথে কাজও জানা লাগবে। এবার দৌড়ালাম চাকুরী নামক সোনার হরিণের পেছনে।
 
না, বেশী দৌড়াতে হয় নাই। পাঁচ টাকা দিয়ে একটি চাকুরীর বিঞ্জাপন কিনলাম। দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম 20 জন লোক নিয়োগ দেয়া হবে- ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় তে, তাও আবার 1 বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক মাসে 20 হাজার টাকা বেতনে।
আবেদন করলাম, পরীক্ষা দিলাম এবং সবশেষে ভাইবা হলো। 20 জনের মধ্যে আমি আমার একটি স্থান খুজে পেলাম। যোগদান করলাম। বছর খানেক অতিবাহিত হবার পর আবার সেই পুরানো পাগলামিটা দেখা দিলো। অনলাইনে টাকা উপার্জনের সঠিক রাস্তা খুঁজে পাবার।
 
জ্বী, এবার আমি সফল। প্রচুর ব্লগ সাইট, ফোরাম সাইট এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল সাইট থেকে শেখা শুরু করলাম। যেহেতু বেসিক শিখেছিলাম ট্রেনিং সেন্টার থেকেই তাই অতো বেশী কষ্ট হয় নাই। তবে ইচ্ছাশক্তি আর ধৈর্য সাথে পরিশ্রম থাকতেই হবে।
এরপর মাইক্রোওয়ার্কার্স থেকে সর্বপ্রথম প্রায় 220 ইউ.এস. ডলার আর্ন করি ছোট ছোট কিছু এস.ই.ও এর কাজ করে। চট্টগ্রাম আউটসোর্সিং ট্রেনিং ইন্সটিটিউট থেকে 6000 টাকা দিয়ে এস.ই.ও এর সিডি কিনি। পরবর্তীতে সরকারি স্কলারশীপে বেসিস এ এস.ই.ও এর 1 মাসের একটি কোর্সে বিনামূল্যে অংশগ্রহনের সুযোগ পাই, সাথে 3200 টাকা সম্মানী ভাতা।
 
 
আমি একটি ওয়েব সাইট তৈরি করেছি যেখানে যে কেউ এস.ই.ও এর কাজ গুলো পরিপূর্নভাবে শিখতে পারবে, আমাদের সাথে সাব-কন্ট্রাকে কাজ করতে পারবে। আমার একটি ভিডিও চ্যানেলও আছে যেখান থেকে অনপেজ এবং অফপেজ এস.ই.ও এর বেসিক থেকে এডভান্সড পর্যন্ত প্র্যাকটিক্যালী শেখানো হয়েছে।
 
আমার সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে কিংবা আমার সাথে কাজ করতে চাইলে আপনারা ভিজিট করতে পারেন :
 
 
আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।।
"ব্যবহারকারীর পাতা" প্রকল্প পাতায় ফিরুন।