রে টমলিনসন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
তথ্যসূত্র যোগ
Baadshahmintu (আলোচনা | অবদান)
২০ নং লাইন:
'''রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন''' ([[এপ্রিল ২৩]], [[১৯৪১]]-[[মার্চ ৫]], [[২০১৬]]) আমেরিকান [[কম্পিউটার বিজ্ঞানী]], বিশ্বে প্রথম [[ই-মেইল]] চালুকারী। ১৯৭১ সালে [[ইন্টারনেট|ইন্টারনেটের]] সূচনাকারী [[আরপানেট|আরপানেটে]](ARPANET) তিনি প্রথম ই-মেইল পাঠান। এর আগে একই কম্পিউটারের বিভিন্ন ব্যবহারকারীদের মধ্যে মেইল আদান প্রদান করা যেত।কিন্তু টমলিনসনের পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো আরপানেটে যুক্ত বিভিন্ন হোস্টের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান সম্ভব হয়। তিনিই প্রথম কম্পিউটার এবং এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে পার্থক্য বোঝানোর জন্য ব্যবহারকারীর নামের সামনে @ চিহ্নটি ব্যবহার শুরু করেন। সেই থেকে ইমেইলে এই চিহ্নটি ব্যবহার হযে আসছে।<ref>{{cite web|url=http://openmap.bbn.com/~tomlinso/ray/firstemailframe.html|title=The First Network Email|author1=Ray Tomlinson}}</ref> ইন্টারনেট হল অব ফেমে রে টমলিনসনের কাজ সম্পর্কে বলা হয়েছে, "টমলিনসনের ই-মেইল প্রোগ্রাম মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে একটি নতুন বিপ্লেবের সূচনা করে"।
==কর্মজীবন==
নিউইয়র্ক শহরের আমস্টার্ডাম শহরে জন্মের পরপরই টমলিনসন পরিবারের সঙ্গে ভেইল মিলস নামের একটি গ্রামে চরেচলে যান। সেখানেই তার পড়াশোনা শুরু। সেখানকার স্কুলে পড়াশোনা শুরু করে পরে নিউইয়র্কের ট্রয়ে অবস্থিত রেনসেলার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে তড়িৎকৌশলে বিএসসি ডিগ্রী পান ১৯৬৩ সালে। পড়ার সময় [[আইবিএম|আইবিএমের]] কো-অপ প্রোগ্রামে অংশ নেন।
স্নাতক হওয়ার পর তড়িৎকৌশলে পড়ালেখা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি [[ম্যাসাসুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিত|ম্যাসাসুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে]] চলে যান। সেখানে স্পীচ কমিউনিকেশন গ্রুপের সঙ্গে কাজ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। মাস্টার্সের অভিসন্দর্ভের জন্য তিনি একটি এনালগ-ডিজিটাল হাইব্রিড স্পীচ সিনথেসাইজার ডেভেলপ করেন। ১৯৬৭ সালে বোল্ট, বারানেক ও নিউম্যান নামে (বর্তমানে বিবিএন টেকনোলজিস) একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে তিনি TENEX-এর উদ্ভাবনে সহায়তা করেন যার মধ্যে ছিল আরপানেটের অপারেটিং সিস্টেম, নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রক প্রোগ্রাম এবং টেলনেট বাস্তবায়ন। এ সময় তিনি CPYNET নামে একটি একটি প্রোগ্রাম লেখেন যা আরপানেটের এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে নথি স্থানান্তর করতে পারতো।
সে সময় টাইম শেয়ারিং কম্পিউটারের একজন ব্যবহারকারী একই কম্পিউটারের আর একজন ব্যবহারকারীকে বার্তা পাঠানোর জন্য SNDMSG নামে একটি প্রোগ্রাম ব্যবহার করতো। টমলিনসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই প্রোগ্রামটিকে পরিবর্তন করে এক কম্পিউটারের ব্যবহারকারী যেন অন্য কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে বার্তা প্রেরণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে। তিনি তাঁর CPYNET প্রোঁগ্রাম থেকে কোডিং-এর অংশ বিশেষ SNDMSG-এ যুক্ত করলে সেটি এক কম্পিউটারের ব্যবহারকারীর বার্তা অন্য কম্পিউটারের ব্যবহারকারীকে পাঠানোর জন্য উপযুক্ত হয়। আর এভাবে বিশ্বের প্রথম ই-মেইল চালু হয়।