দিবর স্তম্ভ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Nahid.rajbd ব্যবহারকারী দিব্যক জয়স্তম্ভ পাতাটিকে দিব্যক জয় স্তম্ভ শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন:...
নিবন্ধ সম্প্রসারণ
১ নং লাইন:
{{Infobox building
[[File:Dibbak Stambha.jpg|thumb|ঐতিহাসিক দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত দিব্যক জয়স্তম্ভ]]
| name = দিব্যক জয় স্তম্ভ
| native_name =
| image = Dibbak Stambha.jpg
[[File:Dibbak Stambha.jpg|thumb| caption = ঐতিহাসিক দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত দিব্যক জয়স্তম্ভ]]
| building_type = স্তম্ভ
| architectural_style = প্রাচীন
| structural_system =
| address = [[পত্নীতলা উপজেলা|পত্নীতলা]], [[নওগাঁ জেলা]]
| location = [[রাজশাহী]], [[বাংলাদেশ]]
| architect =
| structural_engineer =
| services_engineer =
| coordinates =
| awards =
| references =
| status = সম্পূর্ণ
| height =
}}
 
'''দিব্যক জয়স্তম্ভজয় স্তম্ভ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] [[নওগাঁ জেলা|নওগাঁ জেলার]] [[পত্নীতলা উপজেলা|পত্নীতলা থানার]] দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক নিদর্শন। এ দীঘি স্থানীয় জনগনের কাছে কর্মকারের জলাশয় নামে পরিচিত। দীঘিটি ৪০/৫০ বিঘা বা ১/২ বর্গ মাইল জমির উপর অবস্থিত। দিবর দীঘির মধ্যস্থলে অবস্থিত আটকোণ বিশিষ্ট গ্রানাইট পাথরের এতবড় স্তম্ভ বাংলাদেশে বিরল। এ স্তম্ভের সর্বমোট উচ্চতা ৩১ ফুট ৮ ইঞ্চি। পানির নীচের অংশ ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি এবং পানির উপরের অংশ (পরিদর্শন কালে জরিপের সময়) ২৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। এ স্তম্ভে কোন লিপি নেই। স্তম্ভের উপরিভাগ খাঁজ কাটা অলঙ্করণ দ্বারা সুশোভিত।
 
==প্রতিষ্ঠা==
দিবর দীঘির মধ্যস্থিত জয়স্তম্ভ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে ৩টি পৃথক মত পাওয়া যায়:
* '''এক:''' দ্বিতীয় মহিপাল কে পরাজিত ও হত্যা করার সাফল্য কে স্মরণীয় করে রাখতে দিব্যক এ জয় স্তম্ভ নির্মান করেন ।দীনেশ চন্দ্র সেন “বৃহতৎ বঙ্গ” গ্রন্থে লিখেছেন – “কৈবর্তরাজ ভীমের খুল্ল পিতামহ দিব্বোক দ্বিতীয় মহিপাল কে যুদ্ধে পরাজিত ও নিহত করিয়া বিজয়োল্লাসে যে স্তম্ভ উথ্থাপিত করিয়াছিলেন তাহা এখনও রাজশাহী জেলার এক দীঘির উপরে মস্তক উত্তোলন করিয়া বিদ্যমান”। উল্লেখ্য পূর্বে নওগাঁ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
* '''দুই:''' দিব্যকের রাজত্ব কালে পাল যুবরাজ রামপাল বরেন্দ্র উদ্ধারের চেষ্টা করে দিব্যক এর নিকট পরাজিত হন।দিব্যক এ সাফল্যের স্মৃতি রক্ষার উদ্দেশ্যে দীঘি মধ্যস্থিত এ স্তম্ভ নির্মান করেন।সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিতের পরিচিতি পর্বে অনুবাদক বিজয় স্তম্ভ নির্মানের করন সম্পর্কে নিম্নলিখিত বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছেন : “ পূর্ববঙ্গের ভোজ বর্মার তাম্রশাসন হইতে জানা যায় দিব্যের বীরত্ব খ্যাতি তৎকালে উপমার বিষয় ছিল। অত্যল্পকালই বরেন্দ্রী দিব্যের রক্ষণাধীন থাকে। পূর্বোদ্ধৃত মনহলি লিপির ১৪শ শ্লোক ও রামচিরতের ১/২৯ শ্লোক একত্রে পাঠ করিলে জানা যায় দিব্যের রাজত্বকালে রামপাল ([[১০৮২]] - [[১১২৪]]) একবার পিতৃরাজ্য উদ্ধারে সচেষ্ট হইয়া ব্যর্থকাম হন। [[দিনাজপুর জেলা|দিনাজপুর জেলার]] ( বর্তমানে নওগাঁ) দিবর দীঘি নামক জলাশয় ও তন্মধ্যস্থিত শিলাস্তম্ভ আজিও তাহার স্মৃতি রক্ষা করিতেছে”।
* '''তিন:''' ভীম এ স্তম্ভটি নির্মান করেন এবং পিতৃব্য স্মৃতি রক্ষার্থে স্তম্ভটি তাঁর নামে উৎসর্গ করেন। অধ্যাপক শিরিন আখতারের বিবরনে তার সমর্থন পাওয়া যায়। যে উদ্দেশ্যেই এ স্তম্ভটি নির্মিত হোক না কেন, এই দিবর দীঘি নামক জলাশয় ও তন্মধ্যস্থিত শিলাস্তম্ভটি দিব্যকের স্মৃতি অম্লান করে রেখেছে।
 
==কাঠামো==