টনি লক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
অবসর - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
৬৫ নং লাইন:
| best bowling3 = 3/20
| catches/stumpings3 = 3/–
| date = ১৯২৬ ফেব্রুয়ারি
| year = ২০১৬
| source = http://content-uk.cricinfo.com/england/content/player/16331.html ক্রিকইনফো
৭৫ নং লাইন:
১৯৪৬ সালে সতের বছর বয়সে সারে ক্লাবের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। কিন্তু, ১৯৪৯ সালের পূর্ব পর্যন্ত দলে তিনি নিয়মিতভাবে খেলতে পারেননি। ১৯৫১ সালে ১০৫ উইকেট পান। এরপর ১৯৬২ সাল পর্যন্ত নিয়মিতভাবে শত উইকেটের প্রাপ্তি ঘটতো তাঁর। তন্মধ্যে, ১৯৫৫ ও ১৯৫৭ সালে দুই শতাধিক উইকেট পেয়েছেন।
 
১৯৬২-৬৩ মৌসুমের অ্যাশেজ থেকে বাদ পড়ে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্যাপক সাফল্য পান। খেলা থেকে অবসরের পূর্ব-পর্যন্ত ঐ রাজ্যদলের সাথে প্রত্যেক শীত মৌসুমেই খেলতেন তিনি। ১৯৬৫ সালে লিচেস্টারশায়ারে খেলেন ও পরবর্তী দুই মৌসুমে দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৬৭ সালে দলকে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের দ্বিতীয় স্থানে নিয়ে যান। অস্ট্রেলীয় টেস্ট খেলোয়াড় পল শিহানের উইকেটটি তাঁর সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর উইকেট প্রাপ্তি ছিল।
 
== টেস্ট ক্রিকেট ==
১৯৫২ সালে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাঁর অভিষেক ঘটে।<ref name="Cap"/> পরের গ্রীষ্মে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। ইংল্যান্ড অ্যাশেজ পুণরুদ্ধার করে। ১৯৫৬ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ডে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে [[জিম লেকার|জিম লেকারের]] ১৯/৯০ বিশ্বরেকর্ডের বিপরীতে বাকী একটি উইকেট নিয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। দুই বছর পর অসাধারণ গ্রীষ্মকাল অতিবাহিত করেন। দূর্বল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭.৪৭ গড়ে ৩৪ উইকেট পান। কিন্তু, ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে পুরোপুরি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে পড়ে তাঁর বোলিং। কিন্তু একই মৌসুমের শীতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পুণরায় বিধ্বংসী বোলিং করেন। নয় রানেরও কম গড়ে ১৩ উইকেট নেন ও নিউজিল্যান্ডেই পুণরাবৃত্তি ঘটান। ১৯৬১ সালে পুণরায় দলে ফিরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে নামেন। ১৯৬২-৬৩ মৌসুমের অ্যাশেজ থেকে বাদ পড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে যান। ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে [[ফ্রেডFred তিতমাসTitmus|ফ্রেড তিতমাসের]] আঘাতপ্রাপ্তিতে আকস্মিকভাবে ইংল্যান্ড দলে খেলার সুযোগ পান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্ট খেলেন। সর্বশেষ খেলোয়াড় হিসেবে প্রথম-শ্রেণীর কাউন্টিতে না খেলেও ইংল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন। বল হাতে তেমন সফলতা না পেলেও গায়ানার জর্জটাউনে চূড়ান্ত টেস্টের প্রথম ইনিংসে প্রথম-শ্রেণীর নিজস্ব সর্বোচ্চ ৮৯ করেন। ছয়দিনের ঐ টেস্টে নবম উইকেট পতনের পর তিনি মাঠে নামেন।<ref name="Cap"/> এরফলে দল ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।
 
== অর্জনসমূহ ==
৮৪ নং লাইন:
 
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ২,৮৪৪ উইকেট লাভ করেছেন। এরফলে সর্বকালের সেরাদের তালিকায় তিনি নবম স্থান অধিকার করে আছেন। একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে তিনি দশ সহস্রাধিক রান করা স্বত্ত্বেও কোন সেঞ্চুরির সন্ধান পাননি। তবে, ২৭বার অর্ধ-শতক করেন ও গায়ানার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান তোলেন। [[ডব্লিউ.জি. গ্রেস]] ও [[ফ্রাঙ্ক ওলি|ফ্রাঙ্ক ওলি'র]] পর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বাধিক ৮৩১ ক্যাচ নেন, যার অধিকাংশই ছিল শর্ট লেগ অঞ্চলে।
 
== অবসর ==
ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর পার্থ ও লন্ডনে কোচিংয়ের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। কিন্তু শেষ জীবনে দুইটি পৃথক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসে তাঁর নামে। ১৯৮৭ সালে পনের বছর বয়সী কিশোরীকে বোলিং শিক্ষা প্রদানকল্পে বাড়ীতে আমন্ত্রণ জানান।<ref>''Cricket Sport in brief'', [[The Guardian]], 1 December 1993</ref> পরদিনই তেরো বছর বয়সী কিশোরী তাঁর বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ করে।<ref>''Tony Lock faces new sex assault charges'', [[The Times]], 2 December 1993</ref> ডিসেম্বর, ১৯৯৩ সালে ১০-২ ভোটে তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মানসিক অবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। গৃহীত নিজ শহর পার্থে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৬৫ বছর বয়সে তাঁর দেহাবসান ঘটে।
 
== তথ্যসূত্র ==