ব্যবহারকারী:মুস্তাফিজুর/আট কবর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
 
[[চুয়াডাঙ্গা জেলা |চুয়াডাঙ্গা জেলার]] দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থান হচ্ছে আটকবর।এটা একটি ঐতিহাসিক স্থান।বলা চলে- রাজাকারস্থান।রাজাকার কুবাদ খা’র মায়াবী প্রতারণার ফাঁদ হচ্ছে এই আটকবর।
 
১৯৭১ সালের ০৩ আগস্ট,গেরিলা কমান্ডার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা দামুরহুদা’র সীমান্তবর্তী জপুর শেল্টার ক্যাম্পে অবস্থান নেন।এসময়ে পাকিস্থান মুসলিম লীগের দালাল কুবাদ খাঁ পরিকল্পিত প্রতারনার ফাঁদ পাতে।সে জপুর ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীকে খবর দেয় যে, রাজাকারেরা নাটুদা, জগন্নাথপুর ও এর আশেপাশের জমি থকে পাঁকা ধান কেটে নেয়ে গেছে।দেশপ্রেমের টানে যুবকদের রক্ত টগবগ করে ওঠে।রাজাকার ও পাক আর্মিদের শায়েস্তা করতে ০৫ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা’র দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাগোয়ান এলাকায়।এসু্যোগে নাটুদা ক্যাম্পের পাক আর্মি পরিকল্পিতভাবে চতুর্দিকে ঘিরে ফেলে।শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ।আটকা পড়ে বেশ কয়েকজন।আটজন মুক্তিযোদ্ধাকে তারা হত্যা করে।বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।অবশ্য এ সম্মুখ যুদ্ধে অনেক পাক আর্মিও হতাহত হয়।পাক আর্মির নির্দেশে রাজাকারেরা ০৮ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে পাশাপাশি দু’টি গর্ত করে কবর দেয়।পরবর্তীতে এর নামাকরন হয় ‘আট কবর’।আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণ হচ্ছেন-(১) হাসান জামান, গোকুলখালি,চুয়াডাঙ্গা (২) খালেদ সাইফুদ্দিন তারেক, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া (৩) রওশন আলম, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা (৪) আলাউল ইসলাম খোকন,চুয়াডাঙ্গা শহর (৫) আবুল কাশেম, চুয়াডাঙ্গা শহর (৬)রবিউল ইসলাম, মোমিনপুর, চুয়াডাঙ্গা (৭) কিয়ামুদ্দিন, আলমডাঙ্গা (৮) আফাজ উদ্দিন চন্দ্রবাস, দামুরহুদা।