ব্যবহারকারী:মুস্তাফিজুর/আট কবর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন:
 
 
 
 
 
 
প্রবেশ
নিবন্ধন
প্রচ্ছদ
ব্লগ
শপিং
বই
ভ্রমণ
খাবার
সৌন্দর্য
লাইফস্টাইল
স্বাস্থ্য
প্রযুক্তি
খেলাধুলা
বিনোদন
Travel
Lifestyle
পছন্দের আয়না দিয়ে সাজিয়ে নিন আপনার শখের ঘর
গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির ঘরোয়া সমাধান
দাম্পত্য জীবনে সন্তান না আসলে করণীয়
Technology
স্যামসাং নিয়ে এলো গ্যালাক্সি ট্যাব এস২
শর্টকাট ভাইরাস থেকে চির মুক্তি নিয়ে নিন
তথ্য প্রযুক্তির অজানা কিছু তথ্য
Entertainment
৩ দিনেই ৬৫০ কোটি টাকা
বাংলা সিনেমার আইকন ‘পথের পাঁচালী’
কবির সুমন
Tweet Pin It
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত চুয়াডাঙ্গার আট কবর Nokkhotro Desk
 
 
চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থান হচ্ছে আটকবর।আমাদের প্রাণের, আমাদের আবেগের ইতিহাস জড়িত এখানে।এটা একটি ঐতিহাসিক স্থান।বলা চলে- রাজাকার কুবাদ খা’র মায়াবী প্রতারণার ফাঁদ হচ্ছে এই আটকবর।
 
১৯৭১ সালের ০৩ আগস্ট,গেরিলা কমান্ডার হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা দামুরহুদা’র সীমান্তবর্তী জপুর শেল্টার ক্যাম্পে অবস্থান নেন।এসময়ে পাকিস্থান মুসলিম লীগের দালাল কুবাদ খাঁ পরিকল্পিত প্রতারনার ফাঁদ পাতে।সে জপুর ক্যাম্পে মুক্তিবাহিনীকে খবর দেয় যে, রাজাকারেরা নাটুদা, জগন্নাথপুর ও এর আশেপাশের জমি থকে পাঁকা ধান কেটে নেয়ে গেছে।দেশপ্রেমের টানে যুবকদের রক্ত টগবগ করে ওঠে।রাজাকার ও পাক আর্মিদের শায়েস্তা করতে ০৫ আগস্ট মুক্তিযোদ্ধা’র দল দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে বাগোয়ান এলাকায়।এসু্যোগে নাটুদা ক্যাম্পের পাক আর্মি পরিকল্পিতভাবে চতুর্দিকে ঘিরে ফেলে।শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ।আটকা পড়ে বেশ কয়েকজন।আটজন মুক্তিযোদ্ধাকে তারা হত্যা করে।বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।অবশ্য এ সম্মুখ যুদ্ধে অনেক পাক আর্মিও হতাহত হয়।পাক আর্মির নির্দেশে রাজাকারেরা ০৮ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাকে পাশাপাশি দু’টি গর্ত করে কবর দেয়।পরবর্তীতে এর নামাকরন হয় ‘আট কবর’।আটজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণ হচ্ছেন-(১) হাসান জামান, গোকুলখালি,চুয়াডাঙ্গা (২) খালেদ সাইফুদ্দিন তারেক, পোড়াদহ, কুষ্টিয়া (৩) রওশন আলম, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা (৪) আলাউল ইসলাম খোকন,চুয়াডাঙ্গা শহর (৫) আবুল কাশেম, চুয়াডাঙ্গা শহর (৬)রবিউল ইসলাম, মোমিনপুর, চুয়াডাঙ্গা (৭) কিয়ামুদ্দিন, আলমডাঙ্গা (৮) আফাজ উদ্দিন চন্দ্রবাস, দামুরহুদা।
 
 
এখানে একটি মুক্ত মঞ্চ আছে।আছে সুরম্য মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালা। সুন্দর সুন্দর ফুল বাগান আর বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছ আপনাকে স্বাগত জানাবে।পাখি ডাকা এই নিরিবিলি পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই।এর সীমাবদ্ধতা হচ্ছে- এর পরিসর ছোট।চেষ্টা চলছে এর পরিসর বৃদ্ধির।মুজিবনগর পরিদর্শনে এলে এটা দেখতে ভুলবেন না আশা করি।এর খুব কাছেই রয়েছে জমিদার নফর পাল’র হাজার দুয়ারি ঘর আর তাঁর স্ত্রীর জন্য নির্মিত অপুরুপ ‘তালসারি সড়ক’।আর ৫-৬ কিমি দূরে তো প্রথম রাজধানী মুজিবনগর থাকলই।
 
যারা খুলনা-যশোর থেকে আসবেন তারা কালিগঞ্জ-দর্শনা ভায়া কার্পাসডাঙ্গা হয়ে আর যারা ঢাকা-মাগুরা থেকে আসবেন তারা ঝিনেদা-চুয়াডাঙ্গা ভায়া মেহেরপুর/কার্পাসডাঙ্গা দিয়ে এবং যারা উত্তরবংগ দিয়ে আসবেন তারা কুষ্টিয়া-মেহেরপুর হয়ে আটকবর/মুজিবনগর আসতে পারবেন।রাত্রিযাপন করতে হলে মেহেরপুর বা চুয়াডাঙ্গা’তে হোটেলে অবস্থান করলে ভাল হবে
 
 
 
[http://www.touristguide24.com/details.php?id=2353]
[http://www.nokkhotro.com/features/travel/historical-memories-of-the-war-chuadanga-eight-grave]