বংশাণুসমগ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tanvir Antorr (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন:
[[জীববিজ্ঞান|জীববিজ্ঞানে]] কোন জীবের '''জিনোম''' ({{lang-en|Genome}}) বলতে সেটির সমস্ত বংশগতিক তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা সেটির [[ডিএনএ]] (কোন কোন ভাইরাসের ক্ষেত্রে [[আরএনএ]])-তে সংকেতাবদ্ধ থাকে। জিনোমে [[জিন]] এবং [[জাংক ডিএনএ]] দুই-ই থাকে। [[১৯২০]] সালে জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক [[হান্স ভিংক্লার]] জিন ও ক্রোমোজোম শব্দদুইটির অংশবিশেষ জোড়া লাগিয়ে জিনোম শব্দটি উদ্ভাবন করেন। <ref>{{cite journal |author = Joshua Lederberg and Alexa T. McCray | title='Ome Sweet 'Omics -- A Genealogical Treasury of Words | journal=The Scientist | volume=15 | issue=7 | year=2001 | url=http://lhncbc.nlm.nih.gov/lhc/docs/published/2001/pub2001047.pdf}}</ref> জেনোম সিকোয়েন্স হলো কোষের সম্পুর্ন ডিএনএ বিন্যাসের ক্রম। জিনোম যত দীর্ঘ হবে, তার ধারন করা তথ্যের পরিমানও তত বেশি হবে। তবে সেই সম্পুর্ন তথ্যের মর্মার্থ উদ্ধার করা এখনো সম্ভব নয়। জীবদেহে বহুসংখ্যক কোষ থাকে। প্রতিটি কোষ সেই জীবের বিকাশ এবং গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা বহন করে। এই সকল নির্দেশনার সমন্বয়ই হলো জিনোম যা ডিএনএ কিংবা আরএনএ দিয়ে গঠিত। প্রতিটি কোষ তা ত্বকেরই হোক কিংবা হৃদপিন্ডেরই হোক, একই জিনোম বহন করলেও ওই কোষের জন্য প্রয়োজনীয় জিনগুলোই কার্যকর হয়ে থাকে।
==পর্যালোচনা==
মানুষের জিনোমকে যদি একটি বইয়ের সাথে তুলনা করা হয় তবে-
*এই বই(জিনোম)-এ ২৩টি অধ্যায় আছে।
*প্রতিটি অধ্যায়ে ৪৮ থেকে ২৫কোটি অক্ষর আছে। অক্ষরগুলো A, T, G এবং C।
*এভাবে প্রতিটি বই ৩.২ বিলিয়নের উপর অক্ষর বহন করে।
*পুরো বইটি একটি নিউক্লিয়াসে এটে যায় সুচাগ্র পরিমাণ জায়গার চেয়েও কম জায়গায়।
*এই বইয়ের অন্তত একটি কপি দেহের প্রায় প্রতিটি কোষেই আছে।
== দীর্ঘতম জিনোম বিন্যাস ==
''প্যারিস জাপোনিকা'' নামের একটি ফুলের জিনোম জীবজগতে দীর্ঘতম বলে আবিষ্কৃত হয়েছে। ফুলটি আকারে ছোট, শুভ্র বর্ণ। পাহাড়ী এ ফুলটির বিকাশের গতি অত্যন্ত ধীর। জাপানের হনশু দ্বীপের স্থানীয় উদ্ভিদ। সচরাচর অন্য কোথাও দেখা যায় না। তবে ব্রিটেনের কিউ গার্ডেনস্-এ এই ফুলের চাষ করা হয়েছে। কিউই গার্ডেনস্-এ কর্মরত গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে এই ফুলের জিনোম বিন্যাস মানুষে তুলনায় ৫০ গুন দীর্ঘতর। এই ফুলের জিনোমে ১৫ হাজার কোটি বেস পেয়ার রয়েছে। এর তুলনায় মানুষের জিনোমে রয়েছে মাত্র তিনশত কোটি বেস পেয়ার। প্যারিস জাপোনিকার একটি মাত্র কোষের জেনেটিক তথ্য যদি এক লাইনে জোড়া লাগানো হয় তাহলে ৩২৮ ফুট লম্বা হবে। অপরদিকে মানুষের একটি কোষের জেনেটিক তথ্য জোড়া লাগালে হবে মাত্র সাড়ে ছয় ফুট। অদ্যাবধি ''প্রোটোপটিরাস ইথিওপিকাস'' (marbled lungfish) নামক আফ্রিকান মাছ ছিল সর্বাধিক দৈর্ঘ্য সম্বলিত জীব।<ref>[http://www.huffingtonpost.com/2010/10/07/paris-japonica-researcher_n_754557.html হাফিংটনপোস্ট পত্রিকায় ৭ অক্টোবর ২০১০ তারিখে প্রকাশিত প্রতিবেদন]</ref>
|