রশিদ চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rahul amin roktim (আলোচনা | অবদান)
বানান ঠিক করা হল
Rahul amin roktim-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Rafaell Russell-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফে...
১ নং লাইন:
{{ভালো নিবন্ধ}}
{{Infobox person
| name = রশিদ চৌধুরী
| image = Rashid Choudhury (1932 – 1986) cropped.jpg
| image_size = 250px
| alt = সাদাকালো আবক্ষ ব্যক্তি প্রতিকৃতি
| caption = রশিদ চৌধুরীর আলোকচিত্র
| birth_name = রশিদ হোসেন চৌধুরী
| birth_date = {{Birth date|1932|04|01}}
| birth_place = [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর]] (বর্তমানে [[রাজবাড়ি]]), [[ব্রিটিশ ভারত]] (বর্তমানে [[বাংলাদেশ]])
| death_date = {{Death date and age|1986|12|12|1932|04|01}}
| death_place = [[ঢাকা]], বাংলাদেশ
| death_cause = [[ফুসফুসের ক্যান্সার|ফুসফুস ক্যান্সার]]
| resting_place = বাংলাদেশ
| resting_place_coordinates = <!-- {{Coord|LAT|LONG|type:landmark|display=inline}} -->
| nationality = {{Flat list|
* [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতীয়]] (১৯৩২-১৯৪৭)
* [[পাকিস্তান|পাকিস্তানি]] (১৯৪৭-১৯৭১)
* [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] (১৯৭১-১৯৮৬)
}}
| other_names = কনক
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| citizenship = {{Flat list|
* ব্রিটিশ ভারতীয় (১৯৩২-১৯৪৭)
* পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৭১)
* বাংলাদেশী (১৯৭১-১৯৮৬)
}}
| education = স্নাতোকোত্তর
| alma_mater = {{Flat list|
* [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]]
* [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]
}}
| occupation = {{Flat list|
* চিত্রশিল্পী
* ভাস্কর
৩৭ নং লাইন:
* অধ্যাপক
}}
| years_active = ১৯৬০&ndash;১৯৮৬
| known_for = [[তাপিশ্রী]] মাধ্যমে অনন্য অবদান
| notable_works = [[রশিদ চৌধুরী#শিল্পকর্ম|নিচে দেখুন]]
| style =
| influences = [[মার্ক শাগাল]]
| influenced =
| home_town = [[ফরিদপুর জেলা]]
| spouse = {{plainlist|
* {{marriage|অ্যানি|1962|1977|তালাকপ্রাপ্ত}}
* {{marriage|জান্নাত|1977|১৯৮৬|মৃত্যুপূর্ব}}
}}
| children = {{unbulleted list
| রোজা
| রীতা
}}
| parents = {{unbulleted list
| খানবাহাদুর ইউসুফ হোসেন চৌধুরী (পিতা)
| শিরিন নেসা চৌধুরানী (মাতা)
}}
| awards = {{awd|[[একুশে পদক]]|১৯৭৭}} ([[#পুরস্কার এবং সম্মাননা|আরও দেখুন]])
| signature =
| signature_alt =
| signature_size =
}}
 
'''রশিদ হোসেন চৌধুরী''', যিনি '''রশিদ চৌধুরী''' নামে পরিচিত, (এপ্রিল ১, ১৯৩২&ndash;ডিসেম্বর ১২, ১৯৮৬) ছিলেন একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] চিত্রশিল্পী,<ref name="সমসাময়িক চিত্রশিল্পী">{{cite book |author=বুরহানুদ্দিন খান জাহাঙ্গীর |title=Contemporary Painters, Bangladesh |trans_title=সমসাময়িক চিত্রশিল্পী, বাংলাদেশ |url=https://books.google.com.bd/books?id=q4cKAQAAIAAJ&q=Rashid+Choudhury&dq=Rashid+Choudhury&hl=en&ei=80fXTKTsDIq-sAOJ4O2MCw&sa=X&oi=book_result&ct=result |accessdate=মে ২৭, ২০১৫ |type= |edition= |publication-date=১৯৭৪ |publisher=[[বাংলা একাডেমীএকাডেমি]] |location=ঢাকা |language=ইংরেজি |isbn= |page=২৯ |chapter=রশিদ চৌধুরী }}</ref> [[ভাস্কর]], লেখক<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> এবং অধ্যাপক।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়">{{cite web|url=http://www.priyo.com/people/9301 |author= |title=রশিদ চৌধুরী |accessdate=জুন ১৯, ২০১৪ |date= |publisher=priyo.com}}</ref><ref name="রশিদ চৌধুরী">{{cite book|title=রশিদ চৌধুরী|year=২০০৩|publisher=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]]|page=১০, ১০১|url=http://books.google.com/books?ei=80fXTKTsDIq-sAOJ4O2MCw&ct=result&id=lfPVAAAAMAAJ&dq=Rashid+Choudhury&q=Rashid+Choudhury+born#search_anchor|author=আবুল মনসুর |accessdate=জুন ২০, ২০১৪}}</ref><ref>{{cite book|last=জাহাঙ্গীর |first=বুরহানুদ্দীন খান |title=সমসাময়িক চিত্রশিল্পী, বাংলাদেশ |year=১৯৭৪|publisher=[[বাংলা একাডেমী]] |pages=৭১|url=http://books.google.com/books?id=q4cKAQAAIAAJ&q=Rashid+Choudhury&dq=Rashid+Choudhury&hl=en&ei=80fXTKTsDIq-sAOJ4O2MCw&sa=X&oi=book_result&ct=result&resnum=2&ved=0CCwQ6AEwAQ|accessdate=জুন ২০, ২০১৪}}</ref> বাংলাদেশে শিল্পচর্চার ক্ষেত্রে শিল্পী [[জয়নুল আবেদীন]] প্রবর্তিত [[উত্তর উপনিবেশবাদ|উত্তর-উপনিবেশিক]] পর্বে সৃজনশীল ও মৌলিকত্বে তিনি ছিলেন সর্বজন প্রশংসিত ব্যক্তিত্ব।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যেও অন্যতম ছিলেন<ref name="৫ মিনিট নীরবতা">{{cite news |author=রফিকুল ইসলাম |date= |title=বইমেলার সময় বাড়ছে না আগুনের প্রতিবাদে ৫ মিনিট নীরবতা |url=http://www.djanata.com/index.php?ref=MjBfMDJfMjZfMTNfMV85XzFfMjA5MjM= |newspaper=djanata.com |location= |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> এবং পঞ্চাশের দশকে বাংলাদেশের আধুনিক শিল্প-আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবে স্বকীয় শিল্পচর্চার সূচনা করেছিলেন।<ref name="ট্যাপিস্ট্রির পথিকৃৎ">{{cite news |author=ফিরোজা তাসনিম |date=১২ ডিসেম্বর, ২০১৪ |title=ট্যাপিস্ট্রির পথিকৃৎ শিল্পী |url=http://www.alokitobangladesh.com/editorial/2014/12/12/111948 |newspaper=আলোকিত বাংলাদেশ |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref>
 
[[ভারত উপমহাদেশ|ভারত উপমহাদেশে]], বিংশ শতাব্দীর [[তাপিশ্রী]] শিল্পী হিসেবে তিনি অন্যতম অগ্রগামী।<ref name="৫ মিনিট নীরবতা"/><ref name="tapestry artist">{{cite news |date=ডিসেম্বর ১২, ২০১৩ |title=Rashid Chowdhury a ground-breaking tapestry artist |url=http://archive.thedailystar.net/beta2/news/rashid-chowdhury-a-ground-breaking-tapestry-artist/ |newspaper=[[দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ)]] |location=ঢাকা |accessdate=জুন ৫, ২০১৫}}</ref><ref name="pioneering">{{cite news |author= |date=ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪ |title=Rashid Chowdhury, a pioneering tapestry artist |url=http://www.observerbd.com/2014/12/15/60826.php |newspaper=[[দ্য ডেইলি অবজারভার]] |location=ঢাকা |accessdate=জুন ৪, ২০১৫}}</ref><ref name="Tapestry exhibition">{{cite news |author=Takir Hossain |date=জুলাই ২৭, ২০১১ |title=Tapestry exhibition |url=http://www.bangladesh2day.com/newsfinance/2011/July/27/Tapestry-exhibition.php |newspaper=বাংলাদেশ টুডে |location=ঢাকা |accessdate=জুন ৫, ২০১৫}}</ref><ref name="ট্যাপেষ্ট্রি প্রদর্শনী">{{cite news |author= |date=২৭, জুলাই ২০১১ |title=ট্যাপেষ্ট্রি প্রদর্শনী |url=http://news.priyo.com/entertainment/2011/07/27/tapestry-exhibition-32948.html |newspaper=প্রিয় নিউজ |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৮, ২০১৫}}</ref><ref name="ঢাকার চিত্রকলা"/> এ-মাধ্যমেই তিনি সর্বাধিক মৌলিক এবং আধুনিক শিল্পধারার চর্চাকারী হিসেবে অগ্রগণ্য।অগ্রগন্য। তাপিশ্রীর পাশাপাশি প্রচলিত [[তেল রঙ]] ছাড়াও তিনি কাজ করেছেন [[টেম্পেরা]], গোয়াশ এবং [[জলরঙ]] ইত্যাদি অপ্রচলিত মাধ্যমসমূহে।<ref name="রশিদ চৌধুরী"/><ref name="ঢাকার চিত্রকলা"/> দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি এবং রাষ্ট্রীয় ও সাধারণ ভবনসমূহে তাপিশ্রী মাধ্যমে বহুসংখ্যক কাজ করেছেন তিনি। এই তাপিশ্রী শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য [[একুশে পদক পুরস্কার (১৯৭৬–৭৯)#১৯৭৭|১৯৭৭ সালে]] তাকে [[বাংলাদেশ সরকার|বাংলাদেশের]] জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান [[একুশে পদক]]<ref name="একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান ১৯৭৭">{{Cite book|last= |first= |title=একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান |publisher=[[সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়]] |url=http://www.moca.gov.bd/en/images/pdf/Ekushe%20Padak%20Prapto%20List%201976-%202014%20.pdf |page=১৭ }}</ref> এবং ১৯৮০ সালে [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী|বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীএকাডেমি পুরস্কার]] প্রদান করা হয়।
 
রশিদ বিশ্বশিল্পের প্রাণকেন্দ্র [[মাদ্রিদ]]<ref name="সাক্ষাৎকার">{{cite news |editor=শেখ মেহেদী হাসান |date=০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ |title=সাক্ষাৎকার: মোহনীয় মনিরুল |url=http://www.bd-pratidin.com/various/2013/09/06/14777 |newspaper=বাংলাদেশ প্রতিদিন |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫ |quote=আমাদের দেশ থেকে একমাত্র শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্পেনে পড়তেন, পরে তিনি প্যারিস চলে যান।}}</ref> এবং [[প্যারিস|প্যারিসে]] শিল্প বিষয়ক শিক্ষা গ্রহণ করায় তার শিল্পকর্মে পশ্চিমা আধুনিক শিল্পের আঙ্গিক এবং প্রাচ্যের দেশজ ঐতিহাসিক শিল্পের অবয়ব ও বর্ণের উল্লেখযোগ্য সমন্বয় ঘটেছে।<ref name="tapestry artist"/><ref name="pioneering"/> তৎকালীন সময়ে ঢাকায় রঙের খুব আক্রা থাকলেও রঙের ব্যবহারে তার কার্পণ্য ছিল না।<ref name="রবীন্দ্রনাথ: কালি ও কলমে">{{Cite book |author= |editor=আবুল খায়ের |title=রবীন্দ্রনাথ: কালি ও কলমে |url=http://books.google.com.bd/books?id=AvBdAwAAQBAJ&pg=PA86&lpg=PA86&dq=রশিদ+চৌধুরী&source=bl&ots=9fhPT7duvr&sig=PM3ZE7ajrazfqZ23eTbnhssLMFQ&hl=en&sa=X&ei=XxgxVLynLMi0uASy3oCIAg&redir_esc=y#v=onepage&q=রশিদ&f=false |chapter= |publisher=[[বেঙ্গল পাবলিকেশন্স লিমিটেড]] |date=ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১২ |location=[[ঢাকা]] |isbn= |page=৮৬ |quote=}}</ref> তার শিল্পদর্শনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আধুনিক শিল্পের দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে শিল্প আন্দোলনের পাশাপাশি শিল্পশিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তোলার পেছনেও রয়েছে তার বিশেষ অবদান।<ref name="রশিদ চৌধুরী"/> তার অনেক শিল্পকর্ম বর্তমানে দেশে ও বিদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এবং ব্যক্তিগত সংগ্রহে সংরক্ষিত রয়েছে।
 
== জীবনী ==
=== প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা ===
রশিদ হোসেন চৌধুরী ১৯৩২ সালে তৎকালীন [[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] (বর্তমানে [[বাংলাদেশ]]) [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর জেলার]] (বর্তমানে [[রাজবাড়ি]]) রতনদিয়া গ্রামের একটি জমিদার পরিবারে জন্ম নেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া">{{cite book |author=মাহমুদ শাহ কোরেশী |editor=[[সিরাজুল ইসলাম]] |title=[[বাংলাপিডিয়া]] |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=চৌধুরী,_রশীদ |accessdate=জুন ৪, ২০১৫ |edition= |publication-date=জানুয়ারি ২০০৩ |publisher=[[এশীয়াটিকএশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |location=[[ঢাকা]] |language=[[বাংলা ভাষা|বাংলা]] |isbn=984-32-0576-6 |page= |chapter=চৌধুরী, রশীদ |quote= }}</ref><ref name="tapestry artist"/><ref name="pioneering"/><ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে">{{cite news |author=ইমরান রহমান |title=রশিদ চৌধুরী |url=http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/04/01/194626#.U_Mb3hbC8dU |date=এপ্রিল ০১, ২০১৩ |accessdate=আগস্ট ১৯, ২০১৪ |work=[[দৈনিক আমার দেশ]]}}</ref><ref name="quantummethod">{{cite web |author= |title=রশিদ চৌধুরী |url=http://quantummethod.org/obituary/person-id/13867 |date= |accessdate=আগস্ট ২০, ২০১৪ |publisher=quantummethod.org}}</ref><ref name="ফিরে দেখা">{{cite news |author=ইমরান রহমান |date=এপ্রিল ১৪, ২০১৪ |title=ফিরে দেখা: রশিদ চৌধুরী |url=http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/04/01/240235#.VWT2gkbD8dU |newspaper=[[দৈনিক আমার দেশ]] |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> তার পিতা খানবাহাদুর ইউসুফ হোসেন চৌধুরী এবং মাতা শিরিন নেসা চৌধুরানী। শৈশবেই তাদের পরিবার স্থানান্তরিত হয়ে নিকটবর্তী রতনদিয়া গ্রামে চলে যায়।<ref name="রশিদ চৌধুরী-৮">{{Cite book|author=[[আবুল মনসুর]] |editor=সুবীর চৌধুরী |title=রশিদ চৌধুরী |publisher=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] |date=জুন ২০০৩ |location=[[ঢাকা]] |url=http://www.docstoc.com/docs/17919475/RASHID-CHOUDHURY |isbn=984-555-034-7 |page=২ }}</ref> তার ডাকনাম কনক।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> তিনি নয় ভাই এবং চার বোনের একজন। তার বড় চাচা খান বাহাদুর আলীমুজ্জামান চৌধুরী তৎকালীন ফরিদপুর জেলা বোর্ডের সভাপতি ছিলেন এবং তার নামেই ফরিদপুরে আলীমুজ্জামান সেতু<ref name="আলীমুজ্জামান সেতু">{{cite web |url=http://www.dailyfaridpurkantho.com/?p=3334 |title=ফরিদপুরে নতুন আঙ্গিকে আলীমুজ্জামান সেতু খুলে দেওয়া হলো |author=বিজয় পোদ্দার |editor=ওয়াহিদুজ্জামান মিলটন |date=জানুয়ারি ২৩, ২০১৩ |website=dailyfaridpurkantho.com |publisher=দৈনিক ফরিদপুর কণ্ঠ |location=ফরিদপুর |language=বাংলা |accessdate=মে ২৪, ২০১৫}}</ref> এবং আলীমুজ্জামান হলের নামকরণ করা হয়।<ref name="বেলগাছি এস্টেট">{{cite web |url=http://www.rajbaricyber.com/index.php/2012-07-13-14-12-46?showall=&start=6 |title=বেলগাছি এস্টেট |date=জুলাই ১৩, ২০১২ |website=rajbaricyber.com |publisher=রাজবাড়ি সাইবার রিসার্চ ইনিষ্টিটিউট |location=রাজবাড়ি |language=বাংলা |accessdate=মে ২৫, ২০১৫}}</ref> তার দাদা ফয়েজবক্স ছিলেন জমিদার,<ref name="বেলগাছি এস্টেট"/> তবে সরকারি আইনে সেই জমিদারী প্রথার বিলুপ্তি ঘটলে তার পিতা ওকালতি পেশা বেছে নেন।
 
তার প্রাথমিক শিক্ষা জীবনের শুরু হয় গ্রামের পাঠশালায়। পরবর্তীকালে তিনি স্থানীয় রজনীকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়, আলীমুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় এবং [[কলকাতা|কলকাতার]] পার্ক সার্কাস হাই স্কুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ শেষে<ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/> ১৯৪৯ সালে প্রবেশিকা বা ম্যাট্রিকুলেশন (বর্তমানে [[এসএসসি]]) পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন।<ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/> সে সময়ে তাদের বাড়িতে যাতায়াত ছিল এনামুল হক চৌধুরীর, যার সাথে পরিচয় ছিল শিল্পী [[জয়নুল আবেদীন]] ও [[কামরুল হাসান|কামরুল হাসানের]]। রশিদের ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে তৎকালীন [[ঢাকা সরকারি আর্ট কলেজ|ঢাকা সরকারি আর্ট কলেজে]] (বর্তমানে চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তির পরামর্শ দেন তিনি। রশিদ ঢাকা সরকারি আর্ট কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন, কিন্তু অনুত্তীর্ণ হন। এরপর কিছু সময় তিনি শিল্পী জয়নুল আবেদীনের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এবং প্রায় ছয় মাস অপেক্ষার পর যোগ্যতা প্রমাণ করা সাপেক্ষে ১৯৪৯ সালে জয়নুল তাকে ঢাকা সরকারি আর্ট কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেন। রশিদ ছিলেন আর্ট কলেজের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী; তার সহপাঠীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন চিত্রশিল্পী [[আবদুর রাজ্জাক (চিত্রশিল্পী)|আবদুর রাজ্জাক]], [[কাইয়ুম চৌধুরী]], [[মুর্তজা বশীর]] প্রমুখ।<ref name="ইমদাদ হোসেন">{{cite web |url=http://ebanglalibrary.com/3773 |title=ইমদাদ হোসেন: একজন সমাজসচেতন শিল্পী – কাইয়ুম চৌধুরী |author=[[কাইয়ুম চৌধুরী]] |editor= |date=সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৪ |website=ebanglalibrary.com |publisher=ebanglalibrary |location=ঢাকা |language=বাংলা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref><ref name="বায়ান্নর প্রজন্ম">{{cite news |author=সৈয়দ আজিজুল হক |date=মার্চ ০৬, ২০১৫ |title=কাইয়ুম চৌধুরী : বায়ান্নর প্রজন্ম |url=http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/469354/কাইয়ুম-চৌধুরী-বায়ান্নর-প্রজন্ম |newspaper=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |location=ঢাকা |accessdate=জুন ৪, ২০১৫ |quote=চারুকলায় দ্বিতীয় ব্যাচের সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন মুর্তজা বশীর, রশিদ চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, ইমদাদ হোসেনসহ আরও অনেককে}}</ref> ১৯৫৪ সালে তিনি এই ইনিস্টিটিউট থেকে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।<ref name="tapestry artist"/><ref name="ফিরে দেখা"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/> একই বছর তিনি [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] আশুতোষ মিউজিয়ামে টিচার্স ট্রেনিং সার্টিফিকেট কোর্সের অর্ন্তভূক্ত শিল্প-সমঝদারি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।<ref name="tapestry artist"/><ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে"/> ১৯৫৬ থেকে ১৯৫৭ সালে এক বছরের বৃত্তি লাভের পর [[মাদ্রিদ|মাদ্রিদের]] সেনত্রাল এসকুয়েলা দেস বেলেস-আরতেস দে সান ফেরনান্দো থেকে ভাস্কর্য বিভাগে<ref name="বাংলাপিডিয়া"/><ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে"/> এবং ১৯৬০ থেকে ১৯৬৪ সালে চার বছরের বৃত্তি লাভের পর [[প্যারিস|প্যারিসের]] আকাদেমি অব জুলিয়ান অ্যান্ড বোজ আর্টস থেকে ফ্রেস্কো, ভাস্কর্য ও তাপিশ্রী বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন তিনি।<ref name="tapestry artist"/> এ-সময়ে তিনি বিখ্যাত শিল্পী জঁ ওজাম্ কর্তৃক শিক্ষা গ্রহণ করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>পরবর্তীকালে পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে, মার্কিন সরকার কর্তৃক প্রদত্ত লিডারশিপ গ্র্যান্ট পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় তিনি [[যুক্তরাষ্ট্র|যুক্তরাষ্ট্রে]] শিক্ষাসফরে যান।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়"/><ref name="ট্যাপিস্ট্রির পথিকৃৎ"/><ref name="quantummethod"/><ref name="ফিরে দেখা"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)">{{cite web|url=http://greaterfaridpur.info/index.php?option=content&value=313 |author=সফেদ ফরাজী |title=রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬) |accessdate=জুন ২০, ২০১৪ |date= |publisher=greaterfaridpur.info}}</ref><ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরী">{{cite web|url=http://arthonitiprotidin.com/2013/12/12/শিল্পী-রশিদ-চৌধুরী/ |author=লেনিন হাজরা |title=শিল্পী রশিদ চৌধুরী |accessdate=জুন ২০, ২০১৪ |date=ডিসেম্বর ১২, ২০১৩ |publisher=অর্থনীতি প্রতিদিন}}</ref>
 
=== ১৯৬০-এর দশকে ===
[[চিত্র:রশিদ চৌধুরী আঁকছেন.jpg|thumbnail|right|রশিদ চৌধুরী আঁকছেন]]
 
১৯৬০-এর দশকে, ফরাসি সরকারের নিকট থেকে স্নাতকোত্তর বৃত্তি লাভ করে চার বছরের জন্যে তিনি প্যারিসের আকাদেমি অব জুলিয়ান অ্যান্ড বোজ আর্টসে চলে যান। সেখানে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ফিরে এসে ১৯৬৪ সালে [[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে]] খণ্ডকালীন শিক্ষকতা শুরু করেন। একই বছর তিনিই সর্বপ্রথম [[ঢাকা|ঢাকায়]] স্থাপন করেন তাপিশ্রী কারখানা।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" />
 
=== ১৯৭০-এর দশকে ===
১৯৭০ সালে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] প্রথম প্রকাশিত পঞ্জীকায়পঞ্জিকায় ''জোবরা গ্রামের বটতলা থেকে দেখা বিশ্ববিদ্যালয়'' শিরোনামে রশিদ চৌধুরীর একটি স্কেচ প্রকাশিত হয়। স্কেচটি তৎকালীন প্রাকৃতিক আবহের ঐতিহাসিক এবং নান্দনিক স্বাক্ষ বহন করে।<ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্বপ্ন"/>
 
১৯৭১ সালে, [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ]] চলাকালীন সময়ে পারিবারিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় ৪ এপ্রিল রশিদ তার স্ত্রী অ্যানি এবং মেয়ে রোজা ও রীতাকে [[চট্টগ্রাম বন্দর]] থেকে একটি [[মার্কিন]] জাহাজে পাঠিয়ে দেন ফ্রান্সের [[প্যারিস|প্যারিসের]] উদ্দেশ্যে।<ref name="ট্যাপিস্ট্রির পথিকৃৎ"/> প্যারিসে অ্যানির পৈতৃক বাড়ি অবস্থিত। রশিদ এসময় চরম একাকীত্বের কারণে কাব্যচর্চা শুরু করেন। রঙ-তুলি ছেড়ে ব্যক্তিগত ডায়েরি ভরে তুললেন নানা ধরনের লেখাযোখায়। প্রায় ছয় মাস ধরে স্ত্রী ও কন্যাদের ত্যাগ করে যুদ্ধ শেষ হবার তিন মাস পূর্বে ১৯৭১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি প্যারিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। সেখানে পৌঁছানোর পর তিনি ফরাসি সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন।<ref name="ট্যাপিস্ট্রির পথিকৃৎ"/> এসময় [[পাকিস্তান সরকার]] কর্তৃক তাকে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" /> এ-বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে তখনকার অনুভূতি একটি টুকরো কাগজে ব্যক্ত করেন:
<blockquote>''সরকারি রেডিও ও কাগজের মাধ্যমে রক্তপিপাসু জেনারেল [[ইয়াহিয়া খান]] বাঙালি প্রীতির তুচ্ছ নিদর্শনস্বরূপ কয়েকজন বাঙালি কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিককে স্বর্ণপদকসহ পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। জেনে মর্মাহত হলাম আমার নামও সেখানে ছিল। অথচ, হয়তো ঐ সময় তাদেরই হাতে বাংলার কোন গ্রাম দাউদাউ করে জ্বলছে, নির্মম অত্যাচারের অসহ্য যন্ত্রণায় বাংলার মা-বোনেরা কান্নায় ভেঙে পড়ছে কিংবা জালিমদের মেশিনগানের মুখে হয়তো বাঙালির জীবন নিঃশেষ হচ্ছে। ... বাংলার শিল্পীর সম্মান, বাঙালির হাত থেকেই গ্রহণযোগ্য। তোমার কোনো অধিকার নেই সম্মাননার। তোমার স্বর্ণপদক তোমার মুখে ছুঁড়ে আজ একমাত্র তোমার ধ্বংস কামনা করে বাঙালি। সফল হোক জয় বাংলার।''<br/>–রশিদ চৌধুরী<ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/></blockquote>
 
[[চিত্র:Chattagram Kalabhaban nameplate from Zilla Shilpakala Academy, Chittagong (01).jpg|thumb|240px|[[চট্টগ্রাম কলাভবন|চট্টগ্রাম কলাভবনের]] (বর্তমানে [[জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চট্টগ্রাম|জেলা শিল্পকলা একাডেমীএকাডেমি]]) নামফলক উদ্বোধন করেন ফরাসি মনীষী [[মসিয় অঁদ্রে মাল্‌রো]]]]
 
১৯৭২ সালে যুদ্ধ শেষ হবার পর রশিদ চৌধুরী প্যারিস ত্যাগ করে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর সে বছরই বেসরকারি উদ্যোগে [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামে]] শিল্প-প্রদর্শনকেন্দ্র হিসেবে সর্বপ্রথম একটি 'কলাভবন' প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন তিনি যা বর্তমানে [[জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চট্টগ্রাম|জেলা শিল্পকলা একাডেমীএকাডেমি]] হিসেবে পরিচিত। একই বছর ফরাসি মনীষী [[আঁদ্রে মালরো]] চট্টগ্রামের দাম পাড়া, [[মোহাম্মদ আলী সড়ক|মোহাম্মদ আলী সড়কে]] অবস্থিত বর্তমান জেলা শিল্পকলা একাডেমীএকাডেমি চত্বরে এর উদ্বোধন করেন। এই কলাভবনই পরবর্তীকালেপরবর্তীতে [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] অধিভুক্ত ও নিয়ন্ত্রিত জেলাভিত্তিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হতে শুরু করে। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম চারুকলা মহাবিদ্যালয় (বর্তমানে [[চারুকলা অনুষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]]) প্রতিষ্ঠায় মুখ্য উদ্যোক্তা হিসেবে রশিদ চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অন্যতম। এরপর তিনি বিভিন্ন স্থাপনা-ভবনসমূহে তাপিশ্রী এবং ফ্রেস্কোর কাজ শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি গণভবনের সার্বিক সজ্জার কাজ শুরু করলেও তা অসমাপ্ত থেকে যায়। ১৯৭৫ সালে [[ফিলিপাইন|ফিলিপাইনের]] [[ম্যানিলা|ম্যানিলায়]] অবস্থিত [[এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক|এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের]] কার্যালয়ে এবং ১৯৭৬ সালে ঢাকায় অবস্থিত ৩২ তলা [[বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন|বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের]] প্রধান কার্যালয়ে তাপিশ্রীর কাজ করেন। ১৯৭৭ সালে চারুকলায় বিশেষ করে তাপিশ্রী শিল্পে সৃজনক্ষমতার জন্য [[বাংলাদেশ সরকার]] কর্তৃক তাকে জাতীয় এবং সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান [[একুশে পদক পুরস্কার (১৯৭৬–৭৯)#১৯৭৭|একুশে পদক]] প্রদান করা হয়। তিনি চারুকলা বিষয়ে একুশে পদক বিজয়ী সর্বপ্রথম চিত্রশিল্পী। ১৯৭৮ সালে [[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]], [[জেদ্দা|জেদ্দায়]] ইসলামিক ব্যাংক ভবনে তাপিশ্রীর কাজ করেন। ১৯৭৮ সালে ঢাকায় ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনালে তাপিশ্রী ও তৈলচিত্রের কাজ শুরু করেন তিনি, এবং ১৯৭৯ সালে একই ব্যাংকের চট্টগ্রাম ভবনে তাপিশ্রীর কাজ সম্পন্ন করেন।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" /><ref name="চট্টগ্রামে চারুকলা চর্চার চার দশক আধুনিকতা, স্বাতন্ত্র্য ও নান্দনিকতা">{{cite journal |author=সৈয়দ আবদুল ওয়াজেদ |title=চট্টগ্রামে চারুকলা চর্চার চার দশক আধুনিকতা, স্বাতন্ত্র্য ও নান্দনিকতা |url=http://www.shilpaoshilpi.com/?p=817 |journal= |publisher=[[শিল্প ও শিল্পী]] |volume= |issue= |location=[[ঢাকা]] |pages= |date=নভেম্বর ০৭, ২০১২ |accessdate=অক্টোবর ০৫, ২০১৪}}</ref>
 
== কর্মজীবন ==
১৯৫৮ সালে [[গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউটইনস্টিটিউট|গভর্নমেন্ট আর্ট ইন্সটিটিউটেইনস্টিটিউটে]] (বর্তমান [[চারুকলা অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|চারুকলা অনুষদ]], ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু হয়। দুই বছর পর, ১৯৬০ সালে, রশিদ চৌধুরী আর্ট ইন্সটিটিউটেইনস্টিটিউটে অধ্যাপনার চাকরি ত্যাগ করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে, [[বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে]] খণ্ডকালীন শিক্ষকতার মাধ্যমে পুনরায় তার কর্মজীবনের শুরু হয়। একই বছর, ১৯৬৪ সালে ঢাকায় তিনি ঢাকায় বাংলাদেশের সর্বপ্রথম তাপিশ্রী কারখানা স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালে ঢাকার সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রাচ্যকলা বিষয়ের প্রথম শিক্ষক হিসেবে তিনি যোগদান করেন। এ সময় ফরাসি ভাস্কর সুচরিতা অ্যানিকে বিয়ে করার কারণে ১৯৬৬ সালে তৎকালীন [[পূর্ব পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১)|পাকিস্তান সরকারের]] বিধান অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের বিদেশী স্ত্রী-গ্রহণ নিষিদ্ধ থাকায় তিনি অধ্যাপনার চাকরি থেকে বহিষ্কৃত হন। এদিকে ১৯৬৮ সালে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চারুকলা শিক্ষাদানের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগ চালু করা হয়। সে বছর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা বিভাগের প্রথম অধ্যাপক ও সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন তিনি।<ref name="দোলায় দোলে">{{cite news |author=বেলাল উদ্দীন |date=মে ২৬, ২০১৫ |title=ট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: শাটল ট্রেনের দোলায় দোলে |url=http://www.amardeshonline.com/pages/weekly_news/2015/05/26/12504 |newspaper=[[দৈনিক আমার দেশ]] |location=ট্টগ্রাম |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ (বর্তমানে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চারুকলা অনুষদ]], চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠায়ও তিনি ছিলেন প্রধান উদ্যোক্তা।<ref name="মনসুরের সাক্ষাৎকার">{{cite news |editor=আলম খোরশেদ, এহসানুল কবির |date=৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮ |title=নাজলী লায়লা মনসুর-এর সাক্ষাৎকার |url=http://arts.bdnews24.com/?p=1859 |newspaper=arts.bdnews24.com |location=চট্টগ্রাম |accessdate=মে ২৭, ২০১৫ |quote=...শিল্পী রশিদ চৌধুরী,... চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় মাস্টার্স চালু করেছেন।}}</ref> ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সালে, তিনি চিত্রকলা বিষয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক পদে অত্র ইনিষ্টিটিউটে যোগদান করেন।<ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্বপ্ন">{{cite web|url=http://www.suprobhat.com/?p=143782 |author=শামসুল হোসাইন |title=শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্বপ্ন ও উদ্যোগ |accessdate=জুন ২০, ২০১৪ |date=এপ্রিল ০৪, ২০১৪ |publisher=[[দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ]]}}</ref> এছাড়াও তিনি চারুকলা বিভাগের পাশাপাশি বাংলা বিভাগেও যুক্ত ছিলেন। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭০ সালে তিনি চারুকলা বিভাগের প্রথম প্রধান হিসেবে যোগ দেন।<ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্বপ্ন"/> পাশাপাশি [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর]] প্রতিষ্ঠাকালে প্রথম ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি ত্যাগ করার পর তিনি ঢাকায় স্থায়ীভাবে চলে আসেন এবং ঢাকার [[মিরপুর|মিরপুরে]] তাপিশ্রী কারখানা গড়ে তোলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি তাপিশ্রী পল্লীর খসড়া প্রণয়ন করেন।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="quantummethod"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" /><ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্বপ্ন"/>
 
== ব্যক্তিগত জীবন ==
রশিদ চৌধুরী ব্যক্তিগত জীবনে দুইটি বিয়ে করেন। প্রথমে ১৯৬২ সালে, প্যারিসের আকাডেমি অব জুলিয়ান অ্যান্ড বোজ আর্টসে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণকালীন সময়ে [[ফরাসি]] ভাস্কর সুচরিতা অ্যানির সাথে তার বিয়ে হয়।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> তাদের দুই মেয়ে, রোজা চৌধুরী এবং রীতা চৌধুরী। ১৯৭৭ সালে, সুচরিতা অ্যানির সাথে বিচ্ছেদের পর তিনি চট্টগ্রামের [[বাঙালি]] মেয়ে জান্নাতকে বিয়ে করেন।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" />
 
== মৃত্যু ==
মাদ্রিদে প্রবাসকালে রশিদ চৌধুরী [[যক্ষ্মা|যক্ষ্মায়]] আক্রান্ত হয়েছিলেন। ফলপ্রসূত ১৯৮৪ সালের দিকে তিনি [[ক্যান্সার|ফুসফুস ক্যান্সারে]] আক্রান্ত হন। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন চিকিৎসাা গ্রহণেরগ্রহনের পরও বিশেষ উন্নতি ঘটেনি তার। অবশেষে ১৯৮৬<ref name="tapestry artist"/> সালের ১২ ডিসেম্বর ৫৪ বছর বয়সে ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন শিল্পী রশিদ চৌধুরী৷<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> মৃত্যুঅব্দি তার জীবনদর্শন ছিল [[স্প্যানিশ]] চিত্রশিল্পী [[পাবলো পিকাসো|পাবলো পিকাসোর]] উক্তি ''শিল্পকর্ম হচ্ছে প্রেম''।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="quantummethod"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" />
 
== শৈলী ও প্রযুক্তি ==
{{multiple image
| align = right
| direction = horizontal
 
| image1 = স্ত্রী - রশিদ চৌধুরী.jpg
| width1 = 200
| caption1 = ''স্ত্রী''
 
| image2 = ফেরিওয়ালী - রশিদ চৌধুরী.jpg
| width2 = 212
| caption2 = ''ফেরিওয়ালী''
 
}}
 
ব্যক্তি জীবনে রশিদ চৌধুরী রোমান্টিক এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাবসম্পন্ন ছিলেন। তার প্রায় শিল্পকর্মে এই চলমান জীবনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। শিল্পীজীবনের প্রথমাবস্থায়, ছাত্রকালীন সময়ে তিনি এঁকেছেন প্রধানত জলরঙ এবং তেলরঙ মাধ্যমে সাধারণ মেহনতি জন-জীবন এবং শ্রমজীবীদের দৈনন্দিন ক্রিয়াকর্মচিত্র। সে সময়ে তার কাজ সম্পূর্ণরূপে একাডেমীকএকাডেমিক ছিল বলা যায়। আবহমান বাংলার [[লোকসংস্কৃতি|লোকসংস্কৃতির]] বহু উপাদান এবং বিষয়বস্তু যেমন যাত্রাগান, লাঠিখেলা, মুহররমের মাতমদৃশ্য, কৃষ্ণকীর্তন, সর্পপূজা, [[পুণ্যাহ|নববর্ষ উদ্যাপন]], রাজা-রানী, সাহেব-মেম, সোনাভানুর পালা ইত্যাদি তার কাজের প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> পাশাপাশি লোকচিত্রের বর্ণবৈশিষ্ট্য এবং দ্বিমাত্রিক বিন্যাস, আলোছায়ার উদ্ভাস ও কারিগরিকে একসঙ্গে মেলাবার চেষ্টা চালিয়েছেন।<ref name="ঢাকার চিত্রকলা">{{cite news |author=আবুল মনসুর |date=এপ্রিল ০৬, ২০১৫ |title=ঢাকার চিত্রকলা |url=http://amradhaka.com/culture/ঢাকার-চিত্রকলা.html |newspaper=amradhaka.com |location=ঢাকা |accessdate=জুন ১, ২০১৫}}</ref><ref name="চিত্রকলা">{{cite book |author=আবুল মনসুর |editor=[[সিরাজুল ইসলাম]] |title=বাংলাপিডিয়া |url=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=চিত্রকলা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫ |edition= |publication-date=জানুয়ারি ২০০৩ |publisher=[[এশীয়াটিকএশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ]] |location=[[ঢাকা]] |language=[[বাংলা ভাষা|বাংলা]] |isbn=984-32-0576-6 |page= |chapter=চিত্রকলা |quote= }}</ref> তার চিত্রকর্মে আকাশী নীল, বাদামি, সাদা, কালো, অগ্নিবর্ণ, সবুজ ইত্যাদি রঙের ব্যবহারের আধিক্য নজরে আসে। তিনি গভীরভাবে ফুল এবং গাছপালার মত বৈচিত্রময় জৈব গঠন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। ফলে তার চিত্রকর্মে রঙের সুসংগত উপস্থাপনের দুর্দান্ত চেষ্টা প্রকাশ পায়। তিনি তার কাজের মাধ্যমে একটি স্বতন্ত্র বার্তা প্রকাশ করতে মূলত প্রগাঢ় জাঁকজমক রঙের ব্যবহার করেছেন, যা বহু বছর ধরে দেশে-বিদেশে শিল্প ভক্তদের প্রভাবিত করে আসছে।<ref name="tapestry artist"/><ref name="pioneering"/> এক্ষেত্রে তার কাজের নামকরণও বিষয় ভিত্তিক ছিল: ''শাঁস সংগ্রহ'', ''নৌকা'', ''প্রতিকৃতি'', এবং পরবর্তীকালেপরবর্তীতে ''নবান্ন'', ''উৎসব'', ''মা'', ''বাংলার মুখ'' প্রভৃতি বিভিন্ন সময় পুনরাবৃত্তি হয়। ১৯৫১ সালে সম্পন্ন ''শাঁস সংগ্রহ'' তেলচিত্রে পাশ্চাত্যের একাডেমীকএকাডেমিক শৈলী অনুসারে রঙ এবং রচনার ব্যবহার দেখা যায়। তার কাজের আরেকটি বৈশিষ্ট হল সময় ধারণার অনুপস্থিতি। সেখানে বর্তমান বা অতীত নেই, তার দৃঢ় স্বপ্ন তার স্মৃতির মধ্যে অতিক্রম করে। তার কাজ সময়বিহীন চিত্রের ধারণা প্রদান করে, যা প্রাকৃতিক, ভালোবাসার পূর্ণ এবং দেশীয়। তিনি শিল্পের উৎস খুঁজতে প্রত্যাবর্তন করেছেন বাংলার লৌক ঐতিহ্যে।
 
[[চিত্র:কম্পোজিশান ১১ (১৯৮০).jpg|thumb|300px|right|''কম্পোজিশান ১১'', ১৯৮০, তাপিশ্রী, ৪৭ X ১১৮ ইঞ্চি]]
 
দ্বিতীয় পর্যায়ে, ১৯৬৫ সালে সরকারি চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন সময়কে তার শিল্পী জীবনের শিক্ষানবিশকাল ও পূর্ণতাপ্রাপ্তির মধ্যবর্তী সোপান বা ক্রান্তিলগ্নরূপে নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ সময়ে তার কৃতচিত্রকর্মে পশ্চিমা আধুনিকতার প্রতি অকর্ষণ এবং দেশীয় বিষয়াদি থেকে প্রেরণা গ্রহণের অভীপ্রায় লক্ষ্য করা যায়। পাশাপাশি পাশ্চাত্যের সর্বাধুনিক কৌশলসমূহ প্রয়োগের মাধ্যমে একদিকে যেমন বিমূর্ত চিত্রকলা সৃষ্টি করেছেন, অন্যদিকে পাট-রেশমের সমাহারে তাপিশ্রী (বুনন শিল্প) মাধ্যমে নির্মাণ করেছেন তার উল্লেখযোগ্য সব কৃতিত্বপূর্ণ চিত্রকলা।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> কারণেইকারনেই তাকে মূলত একজন তাপিশ্রী শিল্পী বিবেচনা করা যায়। যেহেতু শিল্পের এই শাখায় তিনি গোটা [[ভারতীয় উপমহাদেশ|ভারতীয় উপমহাদেশে]] অন্যতম। এই মাধ্যমেই তিনি সবচেয়ে মৌলিক এবং আধুনিক শিল্পধারার সৃজনশীলতা বজায় রাখতে পেরেছেন। পরবর্তীকালেপরবর্তীতে যখন ইউরোপীয় শিল্পীদের কাজের সঙ্গে তার পরিচিতি ঘটে, তার ধারণায় কিছু পরিবর্তন আসে। ফলে তিনি প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়ে ওঠেন শিল্পী [[মার্ক শাগাল|মার্ক শাগালের]] প্রতি। এ পর্যায়ে থেকেই তিনি তাপিশ্রী বা বয়নশিল্পকে তাঁর প্রধান প্রকাশ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেন।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" />
 
পাশাপাশি তিনি জলরঙে, তেলরঙে, টেম্পারায় এবং গোয়াশে বৃহৎসংখ্যক চিত্র রচনা করেন। স্বল্পসংখ্যক পোড়ামাটির ভাস্কর্য এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ছাপাই চিত্রও রচনা করেছেন।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" /> জীবনের শেষ দশ বছর তার শিল্পকর্মে রূপায়িত হতে দেখা যায় [[ইসলামি ক্যালিগ্রাফি]] এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক প্রভাব।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
== শিল্পকর্ম ==
{{multiple image
| align = left
| direction = horizontal
| header =
| header_align = left/right/center
| header_background =
| footer =
| footer_align = left/right/center
| footer_background =
| width =
| image1 = কম্পোজিশান ০১ (১৯৭৯) - রশিদ চৌধুরী.jpg
| width1 = 150
| caption1 = ''কম্পোজিশান ১'', ১৯৭৯, তাপিশ্রী, ৫৯ X ৩৯ ইঞ্চি
| alt1 =
| image2 = কম্পোজিশান ০২ (১৯৭৯) - রশিদ চৌধুরী.jpg
| width2 = 170
| caption2 = ''কম্পোজিশান ২'', ১৯৭৯, তাপিশ্রী, ৫৩ X ৪৪ ইঞ্চি
| alt2 =
| image3 = কম্পোজিশান ০৩ (১৯৭৯).jpg
| width3 = 125
| caption3 = ''কম্পোজিশান ৩'', ১৯৭৯, তাপিশ্রী, ৫৫ X ৩৬ ইঞ্চি
| alt3 =
}}
 
রশিদ চৌধুরী ছিলেন মূলত একজন তাপিশ্রী শিল্পী।<ref name="ঢাকার চিত্রকলা"/> তবে এছাড়াও তিনি চিত্ররচনা করেছেন তেলরঙে, টেম্পারায়, গোয়াশে এবং জলরঙে।<ref name="চিত্রকলা"/> পোড়ামাটিতে ভাস্কর্য ও বিভিন্ন মাধ্যমে ছাপাই চিত্রও তৈরি করেছেন। ফ্রেস্কো ও তাপিশ্রী মাধ্যমে অজুরার কাজও করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, [[বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন]] (১৯৬৪), পাট বিপণন সংস্থা ও [[বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন]] (১৯৭৬), [[বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়]] (১৯৬৯), [[গণভবন|গণভবনের]] (১৯৭৩) সার্বিক সজ্জার কাজ (অসমাপ্ত), ফরাসি সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় (১৯৬৩), [[এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক]] (১৯৭৫), ইসলামিক ব্যাংক জেদ্দা (১৯৭৮) ইত্যাদি। [[জাতীয় সংসদ ভবন]] এবং ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের জন্য বড়-আকৃতির তাপিশ্রী এবং [[টেরাকোটা|টেরাকোটার]] কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও [[বাংলাদেশ সেনাবাহিনী|বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর]] প্রধান কার্যালয়ে রয়েছে তার তৈরি টেরাকোটা মুরাল। দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন ভবন ও প্রতিষ্ঠানে তার শিল্পকর্ম সংগৃহীত রয়েছে।
 
[[চিত্র:কম্পোজিশান ১২ (১৯৮০).jpg|thumb|120px|right|''কম্পোজিশান ১২'' (১৯৮০), ৪৭ X ১১৮ ইঞ্চি, [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]]]]
 
এছাড়াও উল্লেখযোগ্য তাপিশ্রীর সংগ্রহ রয়েছে দেশের অভ্যন্তরে, [[বঙ্গভবন]], [[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]],<ref name="প্রকাশনার তালিকা">{{cite web |url=http://bangladeshmuseum.gov.bd/site/index.php/publications |title=বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের বিক্রয়যোগ্য প্রকাশনার তালিকা |website=bangladeshmuseum.gov.bd |publisher=[[বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর]] |location=ঢাকা |language= |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]], [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়#জাদুঘর|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর]],<ref name="Contemporary Art Gallery">{{cite web |url=http://www.cum.org.bd/gallery-5.html |title=Contemporary Art Gallery |website=cum.org.bd |publisher=[[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর]] |location=চট্টগ্রাম |language=ইংরেজি |accessdate=জুন ৫, ২০১৫}}</ref> চট্টগ্রাম সরকারি চারুকলা কলেজ (বর্তমানে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চারুকলা অনুষদ]], চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়), [[রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়|রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালায়]]।<ref name="রাবি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা">{{cite news |author= |date=১৩ মে ২০১৫ |title=রাবি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা : মুক্তিযুদ্ধের আরেক চেতনা |url=http://www.jagonews24.com/রাবি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা : মুক্তিযুদ্ধের আরেক চেতনা/28363 |newspaper=jagonews24.com |location=রাজশাহী |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> বিদেশে তাপিশ্রীর উল্লেখযোগ্য সংগ্রহশালার মধ্যে রয়েছে, ফ্রান্সের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়, ভারতের জাতীয় জাদুঘর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের মহাসচিব কার্যালয়, মিশরের রাষ্ট্রপতি ভবন, যুগোশ্লাভিয়ায় রাষ্ট্রপতি ভবন, ভারতের [[রাষ্ট্রপতি ভবন]], অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী ভবন, মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী ভবন, ইত্যাদি।<ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
 
অর্পিত-সম্পাদিত শিল্পকর্মের মধ্যে আরও রয়েছে ১৯৬৪ সালে নির্মিত মুরাল, ইস্সোয়াত সরকারি কলেজ, ফ্রান্স; ১৯৬৭ সালে নির্মিত তাপিশ্রী, পাট বিপণন সংস্থা, ঢাকা; ১৯৭৮-৮১ সালে তাপিশ্রী ও তৈলচিত্র, ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা; ১৯৭৯ সালে তাপিশ্রী, ব্যাংক অব ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ইন্টারন্যাশনাল, চট্টগ্রাম; ১৯৮২ সালে তাপিশ্রী, ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, ঢাকা প্রভৃতি।<ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়" /><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)" />
 
তার উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মের মধ্যে কয়েকটি হল, তেলচিত্র মাধ্যমে ''ধান কাটা'' (১৯৫৩), ''প্রকৃতি'' (১৯৬০), ''দুর্বিনীত কাল'' (১৯৮০), ''চিত্রাঙ্গদা'' (১৯৮৩), গুয়াশ মাধ্যমে ''রঁদেভু'' (১৯৬৮), ''বাংলায় বিদ্রোহ'' (১৯৭১), তাপিশ্রী মাধ্যমে ''রোমান্স'' (১৯৭০), ''জাদুঘরযাদুঘর'' (১৯৭০), ''সোনাভানু'' (১৯৭০), ''আমার সোনার বাংলা'' (১৯৭৫), ''আদম'' (১৯৮২), ''কাল বৈশাখী'' (১৯৮৫) ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে, ''চাকমা তরুণী'' (ড্রয়িং, ১৯৫৭), ''ষড়ঋতু'' (দেয়াল/তৈল/তাপিশ্রী, ১৯৬৭) ইত্যাদি।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
<center>
১৬৬ নং লাইন:
</center>
 
== ভাস্কর্য ==
[[চিত্র:Martyred Intellectuals Memorial at University of Chittagong (04).jpg|thumb|বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ, [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]]]]
;বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ
 
[[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] একেবারে শেষ পর্যায়ে ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনি অনেক বাঙালি [[বুদ্ধিজীবী হত্যা|বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে]]। পরবর্তীকালেপরবর্তীতে এই সকল বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে]] নির্মাণ করা হয় ''বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ''। এর নকশা প্রণয়ন করেছিলেন রশিদ চৌধুরী। স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৮৫ সালে। কেরন গাছে পরিবেষ্টিত স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকান্ড<ref name="এক টুকরো স্বাধীনতা">{{cite news |author=লিপটন কুমার দেব দাস |date=ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪ |title=এক টুকরো স্বাধীনতা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |url=http://www.banglatribune.com/এক-টুকরো-স্বাধীনতা-ও-চট্ট |newspaper=বাংলা ট্রিবিউন |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> এবং উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।<ref name="ক্যাম্পাসে বিজয়ের চেতনা">{{cite news |author=আয়াজ আজাদ, স্বপ্ন |date=ডিসেম্বর ১৮, ২০১২ |title=ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে বিজয়ের চেতনা |url=http://www.jjdin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=18-12-2012&feature=yes&type=single&pub_no=331&cat_id=3&menu_id=74&news_type_id=1&index=0 |newspaper=[[যায় যায় দিন]] |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref>
 
== সাহিত্যকর্ম ==
১৯৭০-এর দশকে রশিদ প্রায় রঙ-তুলি ছেড়ে ব্যক্তিগত ডায়েরি ভরে তুললেন নানা ধরনের লেখায়; শুর করেন সাহিত্যচর্চা। লিখেছেন কবিতা, মূল [[ফরাসি ভাষা|ফরাসি]] থেকে ভাষান্তরিত করেছেন [[জাক্ প্রেভের্]] এবং [[রবের দেস্নোস্]]-এর রচনা।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
== পুরস্কার এবং সম্মাননা ==
{| class="wikitable sortable"
|-
! বছর !! পুরস্কার !! আয়োজক !! টীকা
|-
| ১৯৬১ || ফ্রেস্কো মাধ্যমে প্রথম পুরস্কার || বোজ আর্ট, [[প্যারিস]], ফ্রান্স || <ref name="tapestry artist"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/>
|-
| ১৯৬২ || বিউক্স আর্টস দেয়ালচিত্র প্রতিযোগিতা - প্রথম পুরস্কার || বোজ আর্ট, প্যারিস, ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে"/>
|-
| ১৯৬৭ || আরসিডি দ্বিবার্ষিক চিত্র প্রদর্শনীতে প্রথম পুরস্কার || [[তেহরান]], ইরান || <ref name="tapestry artist"/><ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে"/><ref name="ফিরে দেখা"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/>
|-
| ১৯৭৫ || লিডারশিপ গ্রান্ট অ্যাওয়ার্ড || মার্কিন সরকার || <ref name="রশিদ চৌধুরী-প্রিয়"/><ref name="quantummethod"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/><ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরী"/>
|-
| ১৯৭৭ || [[একুশে পদক]] (চারুকলা - তাপিশ্রী মাধ্যমে) || [[বাংলাদেশ সরকার]] || <ref name="tapestry artist"/><ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে"/><ref name="quantummethod"/><ref name="ফিরে দেখা"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/>
|-
| ১৯৮০ || [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী|একাডেমীএকাডেমি পুরস্কার]] || [[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] || <ref name="tapestry artist"/><ref name="রশিদ চৌধুরী-আদে"/><ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/>
|-
| ১৯৮৬ || [[জয়নুল আবেদীন|জয়নুল পুরস্কার]] || বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ || <ref name="রশিদ চৌধুরী(১৯৩২-১৯৮৬)"/>
|}
 
==লিগ্যাসি==
 
=== প্রভাব ===
রশীদ চৌধুরীর শিল্পকর্মের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল আধুনিক পশ্চিমা শিল্পের সঙ্গে তার নিজস্ব ঐতিহ্যের সমন্বয়ের প্রচেষ্টা। তার অধিকাংশ কাজের বিভিন্ন উপাদান ধীরে-ধীরে অস্পষ্টতা ধারণ করেছে যা অনেকটা আধা-বিমূর্ত ধরনের। প্যারিসে অধ্যয়নকালে তিনি শিল্পের প্রযুক্তিগত বিষয়ে যথেষ্ট কৃতিত্ব অর্জন করতে সমর্থ হন; একাধিক পুরস্কার লাভ এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজের কমিশন প্রাপ্তি তার সেই কৃতিত্বের স্বাক্ষর বহন করে। সে সময় শিল্পী [[মার্ক শাগাল]] এবং [[জঁ ল্যুর্সা]] তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেন। তবে এক্ষেত্রে শাগালের অনুকৃতি তার শিল্পকর্মে প্রভাব ফেললেও শেষ পর্যন্ত তার রোম্যান্টিক অনুভূতি ও বাঙালি মনমেজাজ তাকে প্রখ্যাত রুশ শিল্পী জঁ ল্যুর্সার দিকেই বেশি অনুপ্রাণিত করে তোলে। এবং এই পথ ধরেই তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি প্রাচ্যভুবনের শিল্প-ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের অবতাড়না করেন। তার দ্বারাই উপমহাদেশ তাপিশ্রীর নবযুগের সূচনা হয়। শুরুতে তিনি শুধুমাত্র [[সুতা]] এবং [[পাট]], পরবর্তীকালেপরবর্তীতে এর সঙ্গে [[রেশম]] ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী [[তাঁত|তাঁতের]] ওপর নিরীক্ষাধর্মী এই মাধ্যমে নিজের অর্ন্তদৃষ্ট রূপায়িত করেন।<ref name="বাংলাপিডিয়া"/>
 
=== দলীয় চিত্র প্রদর্শনী ===
২০১৪ সালে শিল্পী রশিদ চৌধুরীর প্রতি সম্মান জানিয়ে [[ধানমন্ডি|ধানমন্ডির]] ঢাকা আর্ট সেন্টারে ২১ জন নবীন প্রবীণপ্রবীন শিল্পীদের চিত্রকর্ম নিয়ে আয়োজিত হয়েছে একটি দলীয় চিত্র প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে অংশ নেয়া শিল্পীদের অধিকাংশই তার ছাত্র-ছাত্রী ছিল।<ref name="রশীদ চৌধুরী স্মরণে দলীয় চিত্র প্রদর্শনী">{{cite news |author= |title=রশীদ চৌধুরী স্মরণে দলীয় চিত্র প্রদর্শনী |url=http://independent24.tv/?p=138057 |date=এপ্রিল ০১, ২০১৪ |accessdate=আগস্ট ১৯, ২০১৪ |work=independent24.tv }}</ref>
 
===শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ===
শিল্পী রশিদ চৌধুরীর সম্মানার্থে এবং তার স্মৃতি ধরে রাখতে বাংলােদশে গড়ে ওঠা এই পরিষদ তাঁর জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালন সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে।<ref name="শিল্পী রশিদ চৌধুরীর জন্মজয়ন্তী উদযাপিত">{{cite news |author= |title=শিল্পী রশিদ চৌধুরীর জন্মজয়ন্তী উদযাপিত |url=http://www.thereport24.com/article/25894/index.html |date=এপ্রিল ০৫, ২০১৪ |accessdate=আগস্ট ১৯, ২০১৪ |work=thereport24.com}}</ref><ref name="রাজবাড়িতেরাজবাড়ীতে">{{cite news |author= |title=রাজবাড়িতেরাজবাড়ীতে বরেণ্য চিত্র ও ট্যাপেষ্ট্রি শিল্পী রশিদ চৌধুরীর ৮২ তম জন্মজয়ন্তী পালিত |url=http://unn24.com/?p=849 |date= এপ্রিল ০৫, ২০১৪ |accessdate=আগস্ট ১৯, ২০১৪ |work=unn24.com }}</ref> এছাড়াও চারু ও কারু শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্যে ওই পরিষদ কর্তৃক 'শিল্পী রশিদ চৌধুরী স্মৃতি' পুরস্কার প্রদান করা হয়ে থাকে।<ref name="চড়কাঁকড়ারচরকাঁকড়ার">{{cite news |author=গাজী মুনছুর আজিজ |title=চড়কাঁকড়ারচরকাঁকড়ার বটনি পাটি |url=http://sesu.alokitobangladesh.com/চড়কাঁকড়ারচরকাঁকড়ার-বটনি-পাটি/ |date=ডিসেম্বর ৮, ২০১৩ |accessdate=আগস্ট ১৯, ২০১৪ |work=sesu.alokitobangladesh.com }}</ref>
 
=== শিল্পী রশিদ চৌধুরী গ্যালারি ===
[[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়|চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের]] চারুকলা ইন্সটিটিউটেরইনস্টিটিউটের তার সম্মানার্থে ''শিল্পী রশিদ চৌধুরি গ্যালারি'' প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিল্পীদের চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন হয়ে থাকে।<ref name="জয়নুল–পরম্পরা">{{cite news |author=মুজিবুল হক |date=জানুয়ারি ২৯, ২০১৫ |title=জয়নুল–পরম্পরা |url=http://www.prothom-alo.com/entertainment/article/437146/জয়নুল–পরম্পরা |newspaper=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |location=ঢাকা |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref><ref name="বিশিষ্ট শিল্পী">{{cite news |author= |date=১০ জুন ২০১৪ |title=চট্টগ্রামে পরিবেশ বিষয়ক আর্টক্যাম্পে ছবি আঁকছেন ১২ জন বিশিষ্ট শিল্পী |url=http://archive.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDZfMTBfMTRfMV8xMl8xXzEzNjkxMg== |newspaper=[[দৈনিক ইত্তেফাক]] |location=চট্টগ্রাম |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref> এছাড়াও চারুকলা শিক্ষার্থীদের বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী এখানে আয়োজিত হয়।<ref name="চারুকলা-শিক্ষার্থীদের">{{cite news |author= |date=২৭ মে, ২০১২ |title=চারুকলা শিক্ষার্থীদের বার্ষিক প্রদশর্নী শুরু |url=http://www.cutimes24.com/চারুকলা-শিক্ষার্থীদের/ |newspaper=cutimes24.com |location=চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় |accessdate=মে ২৭, ২০১৫}}</ref>
 
== প্রদর্শনী ==
 
===একক প্রদর্শনী ===
{| class="wikitable sortable"
|-
! বছর !! প্রদর্শনী !! স্থান !! টীকা
|-
| ১৯৫৪ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || [[জাতীয় প্রেস ক্লাব|প্রেস ক্লাব]], [[ঢাকা]], বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৫৫ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || কোঅপারেটিভ বুক সোসাইটি, ঢাকা, বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৫৯ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || পয়্যুর ডি ব্যুখ আর্টস, [[প্যারিস]], ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬২ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || পয়্যুর ডি ব্যুখ আর্টস, প্যারিস, ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬৩ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || গ্যালারি ডি পাসার, প্যারিস, ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬৪ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || গ্যালারি ডি পাসার, প্যারিস, ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬৫ || ট্রাপেস্ট্রি, পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || [[বাংলা একাডেমীএকাডেমি]], ঢাকা, বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬৬ || পেইন্টিং এন্ড ড্রয়িং || সোসাইটি অব কন্টেমপরারি আর্টস, [[রাওয়ালপিন্ডি]], পাকিস্তান || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৭০ || তাপিশ্রী অ্যান্ড পেইন্টিং || আলিয়স ফ্রসেজ দো চিটাগং, [[চট্টগ্রাম]], বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৭২ || তাপিশ্রী অ্যান্ড পেইন্টিং || কমনওয়েলথ সেন্টার, [[লন্ডন]], যুক্তরাজ্য || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৭৩ || তাপিশ্রী || আমেরিকান সেন্টার, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৮৫ || তাপিশ্রী || [[হোটেল শেরাটন]], ঢাকা, বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৯৯ || তাপিশ্রী || কলাভবন, [[শান্তিনিকেতন]], ভারত || মরণোত্তর<ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
২৪৫ নং লাইন:
এছাড়াও ১৯৫৪ সালে প্রথম নিখিল পাকিস্তান চিত্রপ্রদর্শনী; ১৯৫৫ সালে চট্টগ্রামে; ১৯৬৬ সালে চিত্রকলা ও অঙ্কনের প্রদর্শনী রাজশাহীতে; ১৯৭৫ সালে চিত্রকলা ও ড্রয়িং-এর প্রদর্শনী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র; ২০০২ সালে ট্যাপিস্ট্রি ও চিত্রকলা প্রদর্শনী চট্টগ্রামে (মরণোত্তর)।
 
=== যৌথ প্রদর্শনী ===
তার শিল্পজীবনে তিনি দেশে-বিদেশে প্রায় ২৫টি যৌথ প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন।<ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
 
{| class="wikitable sortable"
২৫২ নং লাইন:
! বছর !! প্রদর্শনী !! স্থান !! টীকা
|-
| ১৯৫৪ || প্রথম অল-পাকিস্তান শিল্প প্রদর্শনী || ঢাকা, বাংলাদেশ || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৫৭ || এক্সিবিশন অব নাইন ইস্ট পাকিস্তানি আর্টিস্ট || [[ওয়াশিংটন, ডি.সি.]], মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৫৯ || দ্বিতীয় পাকিস্তান জাতীয় প্রদর্শনী || [[করাচি]], পাকিস্তান || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬০ || তৃতীয় পাকিস্তান জাতীয় প্রদর্শনী || করাচি, পাকিস্তান || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬১ || সমসাময়িক পাকিস্তানি আর্ট প্রদর্শনী || [[মিলান]], ইতালি || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬১ || সেকেন্ড ইন্টারন্যাশনাল ইয়াং আর্টিস্ট' এক্সিবিশন || প্যারিস, ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬৩ || থার্ড ইন্টারন্যাশনাল ইয়াং আর্টিস্ট' এক্সিবিশন || প্যারিস, ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৬৬ || পঞ্চম তেহরান দ্বিবার্ষিক || [[তেহরান]], ইরান || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৭২ || নবম দ্বিবার্ষিক || ফ্রান্স || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৭৪ || সমসাময়িক বাংলাদেশি শিল্প প্রদর্শনী || [[কলকাতা]], [[দিল্লি]], [[মুম্বই]], ভারত || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৭৮ || চতুর্থ ত্রৈবার্ষিক দিল্লি আন্তর্জাতিক শিল্প || ভারত || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|-
| ১৯৮০ || এশীয়এশিয় শিল্প প্রদর্শনী || [[ফুকুওকা]], জাপান || <ref name="রশিদ চৌধুরী-৮"/>
|}
 
এছাড়াও ১৯৫১, ১৯৫২, ১৯৫৩, ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭৪, ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮৫ সালে ঢাকায়;<ref name="বাংলাপিডিয়া"/> ১৯৬৬ সালে পাকিস্তানে তার যৌথ প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।
 
== আরও দেখুন ==
* [[বাংলাদেশী চিত্রশিল্পীদের তালিকা]]
{{প্রবেশদ্বার দণ্ড|জীবনী|বাংলাদেশ}}
 
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist|30em}}
 
== আরও পড়ুন ==
;গ্রন্থতালিকা
'''বাংলা'''
* {{Cite book|editor=[[সেলিনা হোসেন]], [[নূরুল ইসলাম]] |title=চরিতাভিধান |publisher=[[বাংলা একাডেমীএকাডেমি]] |date=জুন ১৯৮৫ |location=[[ঢাকা]] |url= |isbn= }}
* {{Cite book|author=জান্নাত চৌধুরী |editor= |title=শিল্পী শ্রমিক রশিদ চৌধুরী |publisher=মনুসংহিতা প্রকাশনী |date=১৯৮৭ |location=[[চন্দ্রঘোনা]] |url=http://www.worldcat.org/title/rashid-choudhury/oclc/65341613 |isbn=984-555-034-7 |page=১০৫}}
* {{Cite book|author=[[আলাউদ্দিন আল আজাদ]] |title=রশিদ চৌধুরী |publisher=[[বাংলা একাডেমীএকাডেমি]] |date=মে ১৯৯৪ |location=[[ঢাকা]] |url=http://www.rokomari.com/book/28425 |isbn= }}
* {{Cite book|author=[[আমিনুল ইসলাম]] |title=বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলনের পঞ্চাশ বছর |publisher=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] |date=জুন ২০০৩ |location=[[ঢাকা]] |url= |isbn= |page= }}
* {{Cite book|author=[[আবুল মনসুর]] |editor=সুবীর চৌধুরী |title=রশিদ চৌধুরী |publisher=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] |date=জুন ২০০৩ |location=[[ঢাকা]], বাংলাদেশ |url=http://www.worldcat.org/title/rashid-choudhury/oclc/65341613 |isbn=984-555-034-7 |page=১০৫}}
 
'''ইংরেজি'''
* {{Cite book|author=Lambert M Surhone, Mariam T Tennoe, Susan F Henssonow |title=রশিদ চৌধুরী |publisher=বেটাস্ক্রিপ্ট পাবলিশিং |date=এপ্রিল ৫, ২০১১ |location= |url=http://books.google.com.bd/books?id=6l-luAAACAAJ&dq=Rashid+Choudhury&hl=en&sa=X&ei=v9qjU5nrCYaeugSw1IHwAg&redir_esc=y |isbn= 978-613-4469-10-4}}
* {{Cite book|author= |title=Articles on the life and work of Raśida Caudhurī, 1930-1986 |publisher=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] |date=২০০৩ |location=[[ঢাকা]], বাংলাদেশ |url=http://books.google.com.bd/books?id=lfPVAAAAMAAJ&q=Rashid+Choudhury&dq=Rashid+Choudhury&hl=en&sa=X&ei=v9qjU5nrCYaeugSw1IHwAg&redir_esc=y |isbn= |page=১০৫ }}
* {{Cite book|author=আবুল মনসুর |title=রশিদ চৌধুরী: আর্ট অব বাংলাদেশ সিরিজ-৫ |publisher=[[বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী]] |date=২০০৩ |location=[[ঢাকা]], বাংলাদেশ |url=http://www.kolkatabooks.com/book-catelog-details.php?u_book=MjIw |isbn=984-555-034-7 |page= }}
 
;পত্রিকা
* {{cite journal |author= |date=১৯৮৭-৮৮ |title= |url= |journal=মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা |publisher= |volume=৩ |issue=৩ |pages= }}
* {{cite journal |author= |date=১৯৮৭ |title= |url= |journal=নিরন্তর |publisher= |volume= |issue=৩ |pages= }}
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{কমন্স বিষয়শ্রেণী|Rashid Choudhury}}
{{উইকিউপাত্ত|Rashid Choudhury|রশিদ চৌধুরী}}
৩১৫ নং লাইন:
{{কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ}}
 
{{Persondata <!-- মেটাডেটা: দেখুন [[Wikipedia:Persondata]]। -->
| NAME = চৌধুরী, রশিদ
| ALTERNATIVE NAMES = রশিদ হোসেন চৌধুরী
| SHORT DESCRIPTION = চিত্রশিল্পী
| DATE OF BIRTH = এপ্রিল ১, ১৯৩২
| PLACE OF BIRTH = ফরিদপুর, বাংলাদেশ
| DATE OF DEATH = ১২ ডিসেম্বর ১৯৮৬
| PLACE OF DEATH = ঢাকা, বাংলাদেশ
}}
{{DEFAULTSORT:চৌধুরী, রশিদ}}
[[বিষয়শ্রেণী:রশিদ চৌধুরী|রশিদ চৌধুরী]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৩২-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৮৬-এ মৃত্যু]]