সত্যেন্দ্রনাথ বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২১ নং লাইন:
|footnotes =
}}
'''সত্যেন্দ্রনাথ বসু''' ([[১ জানুয়ারি]] [[১৮৯৪]] – [[৪ ফেব্রুয়ারি]] [[১৯৭৪]]) ছিলেন একজন [[ভারতীয়]] [[বাঙালি]] পদার্থবিজ্ঞানী। তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র ছিল [[গাণিতিক পদার্থবিদ্যা]]। সত্যেন্দ্রনাথ বসু [[আলবার্ট আইনস্টাইন|আলবার্ট আইনস্টাইনের]] সঙ্গে যৌথভাবে [[বোস-আইনস্টাইন পরিসংখ্যান]] প্রদান করেন, যা পদার্থবিজ্ঞানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার বলে বিবেচিত হয়। ছাত্রজীবনে অত্যন্ত মেধাবী সত্যেন্দ্রনাথ কর্মজীবনে সম্পৃক্ত ছিলেন বৃহত্তর বাংলার তিন শ্রেষ্ঠ শিক্ষায়তন [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা]], [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা]] ও [[বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়|বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের]] সঙ্গে। সান্নিধ্য পেয়েছেন [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর]], [[প্রফুল্লচন্দ্র রায়]], [[মাদাম কুরী]] প্রমুখ মণীষীর। আবার অনুশীলন সমিতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সশস্ত্র বিপ্লবীদের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগও রাখতেন দেশব্রতী সত্যেন্দ্রনাথ। কলকাতায় জাত সত্যেন্দ্রনাথ শুধুমাত্র [[বাংলা ভাষা|বাংলায়]] বিজ্ঞানচর্চার প্রবল সমর্থকই ছিলেন না, সারা জীবন ধরে তিনি বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার ধারাটিকেও পুষ্ট করে গেছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর অমর উক্তি, “যাঁরা বলেন বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান চর্চা হয় না, তাঁরা হয় বাংলা জানেন না, নয় বিজ্ঞান বোঝেন না।” বাংলায় বিজ্ঞানচর্চার প্রসারের উদ্দেশ্যে ''বিজ্ঞান পরিচয়'' নামে একটি পত্রিকাও প্রকাশ করেন তিনি। ব্যক্তিজীবনে সত্যেন্দ্রনাথ ছিলেন নিরলস, কর্মঠ ও মানবদরদী মণীষী। বিজ্ঞানের পাশাপাশি সঙ্গীত ও সাহিত্যেও ছিল তাঁর আন্তরিক আগ্রহ ও বিশেষ প্রীতি। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে নিজের ''[[বিশ্বপরিচয়]]'' বিজ্ঞানগ্রন্থ, [[অন্নদাশঙ্কর রায়]] তাঁর ''[[জাপানে]]'' ভ্রমণরচনা ও [[সুধীন্দ্রনাথ দত্ত]] তাঁর ''[[অর্কেস্ট্রা]]'' কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন।
 
[[চিত্র:Satyendra-nath-bose.jpg|thumb|বয়সকালে সত্যেন্দ্রনাথ বসু (১৯৪৯)]]