উসমানীয় খিলাফত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
২ নং লাইন:
'''উসমানীয় খিলাফত''' মিশরের [[আব্বাসীয় খিলাফত|আব্বাসীয় খিলাফতের]] পর খিলাফতে আসীন হয়। ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই খিলাফত টিকে ছিল। খিলাফতের সর্বশেষ খলীফা ছিলেন [[দ্বিতীয় আবদুল মজিদ]]।
 
উসমানীয়দের উত্থানের সময় সুলতান [[দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|দ্বিতীয় মুহাম্মদ]] খলিফার অধিকার দাবি করেন। তার নাতি [[প্রথম সেলিম]] মুসলিম ভূমিগুলো জয় করে ইসলামের পবিত্র স্থানসমূহের রক্ষক হন। পরবর্তীতে ইউরোপের সাথে প্রতিযোগীতায় ধীরে ধীরে সাম্রাজ্যের পতন হয়। চূড়ান্ত পর্যায়ে সাম্রাজ্য বিভক্ত হয়ে যায়। শেষ খলিফা [[দ্বিতীয় আবদুল মজিদ]] দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পান। কিন্তু [[কামাল আতাতুর্ক|কামাল আতাতুর্কে‌র]] সংস্কারের সময় [[খিলাফত]] বিলুপ্ত করে দেয়া হয়।
 
==ইতিহাস==
২৩ নং লাইন:
===পাল্টা অভ্যুত্থান ও ৩১ মার্চ ঘটনা===
{{Main|পাল্টা অভ্যুত্থান (১৯০৯)|৩১ মার্চ ঘটনা}}
সুলতানের প্রতি অনুগত সৈনিকরা একটি পাল্টা অভ্যুত্থান সংঘটন করে। তবে এই অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। নতুন সংসদীয় মেয়াদের নয় মাস পর পাল্টা বিপ্লবী [[৩১ মার্চ ঘটনা]] সংঘটিত হয়। এই বিদ্রোহের অনেক দিক এখনো আলোচনায় আসে।
 
দ্বিতীয় আবদুল হামিদকে ১৯০৯ সালের ১৩ এপ্রিল ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তার স্থলে তার ভাই রশিদ এফেন্দি ক্ষমতায় বসেন। ২৭ এপ্রিল [[পঞ্চম মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান)|পঞ্চম মুহাম্মদ]] নাম ধারণ করেন।
৪৮ নং লাইন:
[[ব্রিটিশ ভারত|ব্রিটিশ ভারতের]] মুসলিমরা উসমানীয় খিলাফতের পক্ষে [[খিলাফত আন্দোলন]] শুরু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সরকার খিলাফতকে ক্ষতিগ্রস্থ না করে।
 
উসমানীয়দের পরাজয় ও মিত্রশক্তির কনস্টান্টিনোপল দখলের ফলে উসমানীয় সাম্রাজ্য তাদের সবল স্থান হারায়। খিলাফত আন্দোলন এই অবস্থা থেকে উত্তোরনের জন্য উৎসাহী ছিল। ১৯২০ সালে [[সেভ্রেস চুক্তি|সেভ্রেস চুক্তির]] পর আন্দোলন গতি লাভ করে।<ref>Encyclopaedia Britannica</ref>
 
===বিলুপ্তি===
[[Image:AbdulmecidII.jpg|thumb|সর্বশেষ খলিফা [[দ্বিতীয় আবদুল মজিদ]]।]]
{{Main|আতাতুর্কে‌র সংস্কার|তুর্কি জাতীয় আন্দোলন}}
তুর্কি জাতীয় আন্দোলনের ফলে তুরস্কে গ্র্যান্ড ন্যাশনাল এসেম্বলি গঠিত হয়। ১৯২৩ সালের ২৪ জুলাই [[লুসানের চুক্তি|লুসানের চুক্তিতে]] জাতির স্বাধীনতা ও সীমানা বিষয়ে আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা লাভ করা হয়। ন্যাশনাল এসেম্বলি ১৯২৩ সালের ২৯ অক্টোবর তুরস্ককে [[প্রজাতন্ত্র]] ও [[আঙ্কারা|আঙ্কারাকে]] এর রাজধানী ঘোষণা করে। ফলে প্রায় ৭০০ বছর পর উসমানীয় সাম্রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয়। তবে সুলতান এই আন্দোলন দমন করতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং [[শাইখুল ইসলাম|শাইখুল ইসলামের]] মাধ্যমে ফতোয়া জারি করেন যাতে তা অনৈসলামিক ঘোষণা করা হয়। তবে জাতীয়তাবাদিরা ধীরে ধীরে গতি পায় এবং ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করে। হুমকি দূর করার জন্য সুলতান নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজি হন। এতে জাতীয়তাবাদিরা জয়ী হয়।
 
প্রথমদিকে ন্যাশনাল এসেম্বলি নতুন শাসনের ভেতর খিলাফতে স্থান দিতে ইচ্ছুক ছিল বলে মনে হয় এবং ষষ্ঠ মুহাম্মদের দেশত্যাগের পর তার এক ভাই [[দ্বিতীয় আবদুল মজিদ|দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে]] খলিফা হিসেবে বসায়। কিন্তু এসময় এই পদে কোনো কর্তৃত্ব অবশিষ্ট ছিল না। আবদুল মজিদের অবস্থান ছিল সম্পূর্ণ আনুষ্ঠানিক। [[মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক‌]] উসমানীয় রাজবংশ ও এর ইসলামি অবস্থানের বিরোধী ছিলেন। আবদুল মজিদকে খলিফা হিসেবে ঘোষণা করার পর কামাল ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার অনুমতি দেননি। তিনি বলেন, {{quote|আনুষ্ঠানিক প্রধান ছাড়া খলিফার কোনো ক্ষমতা বা অবস্থান নেই।}}