ওয়ারেন হেস্টিংস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+ref
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রথম জীবন: বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
২৬ নং লাইন:
 
== প্রথম জীবন ==
তার জন্ম ১৭৩২ সালে চার্চিলের অক্সফোর্ডে একটি গরিব পরিবারে হয়েছিল, তার জন্মের কিছু পরেই তার মাতার দেহান্ত হয়।<ref>{{cite book|first=Sir Alfred|last=Lyall|title=Warren Hastings|location=London|publisher=Macmillan and Co|year=1920|page=1}}</ref> সে ওএস্টমিনিস্টার বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। ভবিতব্য প্রধানমন্ত্রি লর্ড শেল্বার্ন, পোর্টল্যান্ডের সর্দার আর কবি উইলিয়াম কাউপার তার সহপাঠি ছিলেন।<ref>Turnbull, Patrick. ''Warren Hastings''. New English Library, 1975. p.17.</ref> ১৭৫০সালে তিনি ব্রিটিশ [[ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী]]তে যোগ দেন, এবং ভারতের দিকে রওনা দেন। আগস্ট মাসে তিনি [[কলকাতা]] আসেন। গভীর অধ্যাবসায় ও কর্মের মাধ্যমে সুনাম অর্জন করে ফেলেন । এমনকি ফাকা সময় তিনি ভারত সম্পর্কে জানা, [[উর্দু ভাষা|উর্দু]], [[ফার্সি ভাষা|ফার্সি]] শেখায় অর্থব্যয় করতেন।<ref>Turnbull p.19-21</ref> ১৭৫২ সালে তাকে [[উইলিয়াম ওয়াটস]]-এর অধীনে বাংলার `কাসিমবাজার` নামক এক ব্যস্ত বাণিজ্যস্থলে পাঠানো হয়, যেখানে ভালো কাজের জন্য তিনি পুরস্কৃত হন। কাসিমবাজারে তিনি পূর্ব ভারতের রাজনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহল হন।
 
ব্রিটিশ ব্যবসাস্থলগুলো ব্রিটিশদের অধিনে পরিচালিত হওয়া কালিন নবাব আলিবর্দি খান রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বাণিজ্য দুর্দম করে তোলে। আলিবর্দি খানের নাতি সিরাজউদ্দৌলা ইউরোপীয়দের ব্যবসা নিরাপত্তাবিহীন করে তুলছিলো, তার পরিচয় ইউরোপীয় বিরধি হিসাবে গড়ে উঠেছিল। যখন ১৭৫৬ সালে এপ্রিল মাসে ব্রিটিশ ট্রেন্ডিং পোস্ট-এ আলিবর্দি খানের দেহত্যাগ এ হল, তখন ছোট সেনাদলের মাধ্যমে ব্রিটিশরা দখলদারিতে সক্ষম হয়। তবে তেসরা জুনে একটা বড় দলের মাদ্ধমে ঘিরে হেস্টিংস আর তার সহকর্মিদের কে মুর্শিদাবাদে ধরে নিয়ে জেলে ভরে রাখা হয়, এভাবে কলকাতা সাময়িক ভাবে নবাবের অধিনস্ত হয়। হেস্টিংসের সেনাদল আর সহকর্মী মানুষদের একটি অন্ধকূপে ফেলে মারা হয়।
 
কিছুকালের জন্য হেস্টিংস মুর্শিদাবাদে নবাবের মধ্যস্থতাকারি হিসাবে ছিলেন, তবে প্রাণভয়ে ফুলতা দ্বীপে পালিয়ে যান, সেখানে কলকাতা থেকে আসা আরোও কিছু উদ্বাস্তুও আশ্রয় নিয়েছিল। মেরি বুকানান, যার বর অন্ধকূপ হত্যার এক শিকার, তাকে তিনি বিবাহ ও করেন। কিছুকাল পরে রবার্ট ক্লাইভ তাদের বাঁচিয়ে নিয়ে যান। ক্লাইভ হেস্টিংসের কাজে প্রশংশিত হয়ে তার কাশিমবাদে ফেরার ব্যবস্থা করে দেন।