Tangail, Dhaka, Bangladesh: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox of BD districts | native_name = Tangail | native = টাঙ্গাইল | image_map = Bangladesh Tangail District.pn... |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
০৭:৪২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
টাঙ্গাইল জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর জনসংখ্যা প্রায় ৩৬ লক্ষ এবং আয়তন ৩৪১৪.৩৯ বর্গ কিলোমিটার। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দ অবধি এটি ছিল অবিভক্ত ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা; ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে টাঙ্গাইল মহুকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এটি একটি নদী বিধৌত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এটা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এর মাঝ দিয়ে লৌহজং নদী প্রবাহিত হয়েছে।
Tangail, Dhaka, Bangladesh | |
---|---|
দেশ | বাংলাদেশ |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
অবস্থান ও আয়তন
টাংগাইল জেলা ঢাকা হতে প্রায় একশত কি মি দূরে অবস্থিত। এই জেলার পূর্বে রয়েছে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলা, পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ জেলা, উত্তরে জামালপুর জেলা, দক্ষিণে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা। এর আয়তন ৩৪১৪.৩৮ বর্গ কি.মি.।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
নামকরণ
টাঙ্গাইলের নামকরণ বিষয়ে রয়েছে বহুজনশ্রুতি ও নানা মতামত। ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত রেনেল তাঁর মানচিত্রে এ সম্পূর্ণ অঞ্চলকেই আটিয়া বলে দেখিয়েছেন। ১৮৬৬ খ্রিস্টাব্দের আগে টাঙ্গাইল নামে কোনো স্বতন্ত্র স্থানের পরিচয় পাওয়া যায় না। টাঙ্গাইল নামটি পরিচিতি লাভ করে ১৫ নভেম্বর ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে মহকুমা সদর দপ্তর আটিয়া থেকে টাঙ্গাইলে স্থানান্তরের সময় থেকে। টাঙ্গাইলের ইতিহাস প্রণেতা খন্দকার আব্দুর রহিম সাহেবের মতে, ইংরেজ আমলে এদেশের লোকেরা উচু শব্দের পরিবর্তে ‘টান’শব্দই ব্যবহার করতে অভ্যস্ত ছিল বেশি। এখনো টাঙ্গাইল অঞ্চলে ‘টান’শব্দের প্রচলন আছে। এই টানের সাথে আইল শব্দটি যুক্ত হয়ে হয়েছিল টান আইল। আর সেই টান আইলটি রূপান্তরিত হয়েছে টাঙ্গাইলে।
দর্শনীয় স্থান
- ফালুচাঁদ চীশতি-এর মাজার - সখিপুর উপজেলা;
- আতিয়া মসজিদ
- মধুপুর জাতীয় উদ্যান
- যমুনা বহুমুখী সেতু
- আদম কাশ্মিরী-এর মাজার;
- মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজার
- পরীর দালান,
- খামারপাড়া মসজিদ ও মাজার,
- ঝরোকা,
- সাগরদীঘি,
- গুপ্তবৃন্ধাবন,
- পাকুটিয়া আশ্রম,
- ভারতেশ্বরী হোমস,
- মহেড়া জমিদারবাড়ি/পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার,
- মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ,
- পাকুল্লা মসজিদ,
- আরুহা-শালিনাপাড়া কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ,
- নাগরপুর জমিদারবাড়ি,
- পুন্ডরীকাক্ষ হাসপাতাল,
- উপেন্দ্র সরোব,
- গয়হাটার মঠ,
- তেবাড়িয়া জামে মসজিদ,
- পাকুটিয়া জমিদারবাড়ি,
- এলেঙ্গা রিসোর্ট,
- যমুনা রিসোর্ট,
- কাদিমহামজানি মসজিদ,
- ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি,
- করটিয়া সা’দত কলেজ,
- কুমুদিনী সরকারি কলেজ,
- বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়,
- দোখলা ভিআইপ রেস্ট হাউস,
- পীরগাছা রাবারবাগান,
- ভূঞাপুরের নীলকুঠি,
- শিয়ালকোল বন্দর,
- ধনবাড়ী মসজিদ ও ধনবাড়ী নবাব প্যালেস,
- নথখোলা স্মৃতিসৌধ,
- বাসুলিয়া,
- রায়বাড়ী,
- কোকিলা পাবর স্মৃতিসৌধ,
- মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ।
বিশিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব
- সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী, (২৯ ডিসেম্বর, ১৮৬৩ -১৭ এপ্রিল, ১৯২৯) - ধনবাড়ীর নবাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা;
- আবদুল হামিদ খান ভাসানী, (ডিসেম্বর ১২, ১৮৮০-নভেম্বর ১৭, ১৯৭৬) - ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক;
- অমৃতলাল সরকার (১৮৮৯ - ৪ এপ্রিল, ১৯৭১) - ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব, বিপ্লবী অনুশীলন দলের সভ্য;
- প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ, (১৮৯৪ - ২৯ মার্চ, ১৯৭৮) - শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক।
- দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা (নভেম্বর ১৫, ১৮৯৬ - মে ৭, ১৯৭১) বাংলাদেশের বিখ্যাত সমাজসেবক এবং দানবীর;
- বেগম ফজিলতুন্নেসা জোহা, (১৮৯৯ - ২১ অক্টোবর, ১৯৭৭) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ও ঢাকা ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন।
- সৈয়দ হাসান আলী চৌধুরী, (১৯১০ - ৩০ মে , ১৯৮১) বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব বাংলা) টাঙ্গাইলস্থ ধনবাড়ীর নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর কনিষ্ঠ পুত্র।
- প্রতুল চন্দ্র সরকার, (২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯১৩ - ৬ জানুয়ারি ১৯৭১) ভারতবর্ষের বিখ্যাত জাদুকর। তিনি অন্যতম একজন আন্তর্জাতিক জাদুকর ছিলেন যিনি ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তার জাদু দেখিয়েছেন।
- শামসুল হক, (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮ - ১৯৬৫) বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ।
- আবু সাঈদ চৌধুরী, (জানুয়ারি ৩১, ১৯২১ - আগস্ট ১, ১৯৮৭) বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি।
- কানাইলাল নিয়োগী (১৯২৪ -১৯ মে ১৯৬১) ভারতের বরাক উপত্যাকায় বাংলা ভাষা আন্দোলনে নিহত ব্যক্তি।
- প্রতিভা মুৎসুদ্দি (জন্মঃ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৩৫) বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ ও ভাষা সংগ্রামী। শিক্ষাক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
- রফিক আজাদ, (জন্ম: ১৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪১) একজন বাংলাদেশী কবি, মুক্তিযোদ্ধা ও সম্পাদক।
- বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী (জন্ম: ১৯৪৭) ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাঘা কাদের নামে পরিচিত ছিলেন এবং তাঁর নেতৃত্বে কাদেরিয়া বাহিনী গড়ে ওঠে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সমরনায়ক।
- মামুনুর রশীদ, (২৯ ফেব্রুয়ারী, ১৯৪৮) একজন প্রখ্যাত বাংলাদেশী নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের মঞ্চ আন্দোলনের পথিকৃত।
- মান্না, (১৯৬৪ - ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০০৮ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ছিলেন।
- ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য - বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ,রিসার্চ ফেলো অব সিপিডি।
শিক্ষা
উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান:
- মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
- টাঙ্গাইল মেডিক্যাল কলেজ,
- মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ,
- কুমুদিনী সরকারি কলেজ,
- কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ,
- সরকারি সা'দত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ,
- সরকারি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজ,
- বিন্দুবাসিনী সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়
- বিন্দুবাসিনী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
আরও দেখুন
তথ্যসূত্র
বহিঃসংযোগ
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |