এভারেস্ট পর্বত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২১ নং লাইন:
'''মাউন্ট এভারেষ্ট''' ({{lang-en|Mount Everest}}), যা [[নেপাল|নেপালে]] '''সগরমাথা''' ({{lang-ne|सगरमाथा}}) এবং [[তিব্বত|তিব্বতে]] '''চোমোলাংমা''' ({{bo|t=ཇོ་མོ་གླང་མ|w=jo mo glang ma}}) নামে পরিচিত, বিশ্বের [[উচ্চতম পর্বতগুলির তালিকা|সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ]]। এই শৃঙ্গটি [[হিমালয়|হিমালয়ের]] [[মহালঙ্গুর হিমাল]] পর্বতমালায় অবস্থিত।<ref>{{cite web|url=http://www.peakpromotionnepal.com/trekking/|title=Everest Khumbu Region|publisher=peakpromotionnepal.com|date=}}</ref><ref>{{cite web|url=http://www.haminepali.com/the-8-of-10-highest-mountains-of-the-world-located-in-nepal/|title=The 8 of 10 Highest Mountains of the World Located in Nepal|publisher=haminepali.com|date=}}</ref> সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা {{convert|8848|m|ft|0}} হলেও পৃথিবীর কেন্দ্র হতে এই শৃঙ্গের দুরত্ব সর্বাধিক নয়।<ref name="Robert Krulwich">{{cite news|url=http://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=9428163|title=The "Highest" Spot on Earth?|author=Robert Krulwich|date=7 April 2007|work=NPR.org}}</ref> [[চীন]] ও [[নেপাল|নেপালের]] আন্তর্জাতিক সীমান্ত মাউন্ট এভারেস্টের শীর্ষবিন্দু দিয়ে গেছে।
 
১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে [[মহান ত্রিকোণমিতিক জরিপসর্বেক্ষণ|ভারতের মহান ত্রিকোণমিতিক জরিপেরসর্বেক্ষণের]] ফলে মাউন্ট এভারেস্টের (যা তৎকালীন যুগে ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গ নামে পরিচিত ছিল) উচ্চতা নির্ণয় করা হয় {{convert|29002|ft|m|0|abbr=on|disp=flip}}। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে [[ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল|ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল]] [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর]] সুপারিশে [[রয়েল জিওগ্রাফিক্যাল সোসাইটি]] তাঁর পূর্বসূরী [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ এভারেস্টের]] ১৫ নং পর্বতশৃঙ্গর নাম পরিবর্তন করে মাউন্ট এভারেস্ট রাখে।<ref>{{cite journal|title=Papers relating to the Himalaya and Mount Everest|journal=Proceedings of the London Royal Geographical Society of London|date=April–May 1857|volume=IX|pages=345–351}}</ref> ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে একটি ভারতীয় জরিপে এই শৃঙ্গের উচ্চতা নির্ণয় করা হয় {{convert|8848|m|ft|0|abbr=on}}, যা ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে একটি চীনা জরিপ দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
 
ব্রিটিশ পর্বতারোহীরা সর্বপ্রথম এই পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা শুরু করেন। নেপালে এই সময় বিদেশীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে এই পর্বতের উত্তর শৈলশিরা ধরে বেশ কয়েক বার আরহণের চেষ্টা করেন। [[১৯২১ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট নিরীক্ষণ অভিযান|১৯২১ খ্রিস্টাব্দের মাউন্ট এভারেস্ট অভিযানে]] ব্রিটিশরা তিব্বতের দিক থেকে {{convert|7000|m|ft|-1|abbr=on}} উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠেন। এরপর [[১৯২২ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|১৯২২ খ্রিস্টাব্দের অভিযানে]] তাঁরা এই পথে {{convert|8320|m|ft|-1|abbr=on}} উচ্চতা পর্য্যন্ত ওঠে মানবেতিহাসের নতূন কীর্তি স্থাপন করেন। এই অভিযানে অবতরনের সময় তুষারধ্বসে সাতজন মালবাহকের মৃত্যু ঘটে। [[১৯২৪ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের অভিযান]] এভারেস্ট আরোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে রহস্যময় অভিযান: [[জর্জ ম্যালোরি]] ও [[অ্যান্ড্রিউ আরউইন (পর্বতারোহী)|অ্যান্ড্রিউ আরউইন]] শৃঙ্গের দিকে আরোহণের একটি অন্তিম প্রচেষ্টা করেন কিন্তু আর ফিরে আসতে ব্যর্থ হন, যার ফলে তাঁদের আরোহণই প্রথম সফল আরোহণ কি না সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরী হয়। ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দে [[এডমন্ড হিলারি]] ও [[তেনজিং নোরগে]] নেপালের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব শৈলশিরা ধরে [[১৯৫৩ ব্রিটিশ মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|প্রথম এই শৃঙ্গজয় করেন]]। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের ২৫ শে মে, চীনা পর্বতারোহী [[ওয়াং ফুঝোউ]], গোনপো এবং চু ইয়িনহুয়া উত্তর শৈলশিরা ধরে প্রথম শৃঙ্গজয় করেন।<ref name=NorthRidge>{{cite book|url=https://books.google.com.hk/books?id=vWqeBAAAQBAJ&pg=PT212&dq=wang+fuzhou+everest&hl=en&sa=X&ved=0CCgQ6AEwAmoVChMI6LCf34rFyAIVxV2mCh2wDQtW#v=onepage&q=wang%20fuzhou%20everest&f=false|first=Jon E.|last=Lewis|title=The Mammoth Book of How it Happened - Everest|publisher=Hachette|year=2012|chapter=Appendix 1}}</ref><ref name=1stNorthSlopeClimb>{{cite web|url=http://www.cctv.com/english/special/tibet/20091014/103993.shtml|title=Gonpo: first Chinese atop Mount Qomolangma|date=2009-10-14|publisher=CCTV}}</ref>
 
== সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে আবিষ্কার ==
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতসমূহের অবস্থান এবং পরিচয় সনাক্ত করার লক্ষ্যে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা [[মহান ত্রিকোণমিতিক জরিপসর্বেক্ষণ]] আরম্ভ করে। দক্ষিণ ভারত থেকে এই কাজ শুরু করে জরিপ দল {{convert|500|kg|lb|abbr=on}} ওজনের ভারী ভারী [[থিওডোলাইট]] যন্ত্র বহন করে উত্তরাভিমুখে এগোতে থাকে। ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে তাঁরা হিমালয়ের পাদদেশে পৌঁছায়, কিন্তু রাজনৈতিক এবং ঔপনিবেশিক আগ্রাসনের সন্দেহে নেপাল ব্রিটিশদের তাদের দেশে প্রবেশাধিকার দেবার ব্যাপারে অনিচ্ছুক ছিল। জরিপ দলের নেপালে প্রবেশের সকল আবেদনই প্রত্যাখান করা হয়। ব্রিটিশরা বাধ্য হয়ে নেপালের দক্ষিণে হিমালয়ের সমান্তরালে অবস্থিত [[তরাই]] থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যায়। বর্ষা ও [[ম্যালেরিয়া|ম্যালেরিয়ার]] প্রকোপে বিপর্যস্ত দলটির তিনজন আধিকারিক মৃত্যুবরণ করেন ও দুইজন অসুস্থ হয়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।<ref name=everest_bwp70>{{cite book |title= Everest – The Best Writing and Pictures from Seventy Years of Human Endeavour |editor=Peter Gillman| year=1993 |publisher=Little, Brown and Company|isbn=978-0-316-90489-6 |pages=10–13}}</ref>
 
যাই হোক, ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা হিমালয়ের উচ্চ শৃঙ্গগুলি থেকে {{convert|240|km|mi|abbr=on}} দুরত্বে অবস্থিত পর্যবেক্ষণ স্টেশন থেকে হিমালয়ের নিখুঁত জরিপ কাজ চালিয়ে যায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বছরের কেবল শেষ তিন মাস জরিপকাজ চলত। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে [[ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল]] [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ]] হিমালয়ের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত [[সওয়াজপুর]] স্টেশন থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন। সে সময় [[কাঞ্চনজঙ্ঘা|কাঞ্চনজঙ্ঘাকে]] [[অতীতে অনুমিত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের তালিকা|বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ]] হিসেবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু তিনি [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] থেকে {{convert|230|km|mi|abbr=on}}দুরত্বে অবস্থিত একটি আরো উচ্চ একটি শৃঙ্গ লক্ষ্য করেন। প্রায় একই সময়ে জন আর্মস্ট্রং নামে তার এক কর্মচারীও আরো পশ্চিম থেকে এই চূড়াটি লক্ষ্য করেন এবং একে ''peak-b'' হিসেবে অভিহিত করেন। [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] পরবর্তীতে মন্তব্য করেন যে যদিও পর্যবেক্ষণ হতে বোঝা যাচ্ছিলো যে ''peak-b'' [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] অপেক্ষা উচ্চতর, তা সত্ত্বেও প্রমাণের জন্যে আরো নিকটতর স্থান হতে পর্যোবেক্ষণ প্রয়োজন ছিলো। পরের বছর তিনি এই শৃঙ্গের আরো কাছ থেকে পর্য্যবেক্ষণের জন্য [[তরাই]] অঞ্চলে একজন আধিকারিককে পাঠান, কিন্তু মেঘের কারণে জরিপকাজ চালানো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।<ref name=everest_bwp70/>
৬৪ নং লাইন:
 
নেপালের আপা শেরপা সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয় করেছেন। ১৯৯০ সালের ১০ মে থেকে ২০১১ সালের ১১ মে পর্যন্ত তিনি মোট ২১ বার তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন। নন শেরপা হিসেবে এই রেকর্ড আমেরিকান পর্বতারোহী ও অভিযানের গাইড ডেভ হানের দখলে। ১৯৯৪ সালের ১৯ মে থেকে ২০১২ সালের ২৬ মে পর্যন্ত মোট ১৪ বার এভারেস্ট জয় করেছেন তিনি।
 
== আরও দেখুন ==
* [[ওহোস দেল সালাদো পর্বত]]
 
== তথ্যসূত্র ==
৭২ ⟶ ৬৯ নং লাইন:
 
== আরো পড়ুন ==
==Further reading==
* {{cite book|last1=Boukreev|first1=Anatoli|authorlink=Anatoli Boukreev|last2=DeWalt|first2=G. Weston|title=The Climb: Tragic Ambitions on Everest|publisher=Saint Martin's Press|year=1997|isbn=0312168144}}
* {{cite book|first=Edmund|last=Hillary|authorlink=Edmund Hillary|title=High Adventure|location=London|publisher=Hodder & Stoughton|year=1953}}