এভারেস্ট পর্বত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
৩১ নং লাইন:
যাই হোক, ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা হিমালয়ের উচ্চ শৃঙ্গগুলি থেকে {{convert|240|km|mi|abbr=on}} দুরত্বে অবস্থিত পর্যবেক্ষণ স্টেশন থেকে হিমালয়ের নিখুঁত জরিপ কাজ চালিয়ে যায়। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বছরের কেবল শেষ তিন মাস জরিপকাজ চলত। ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে [[ভারতের সার্ভেয়র জেনারেল]] [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ]] হিমালয়ের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত [[সওয়াজপুর]] স্টেশন থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন। সে সময় [[কাঞ্চনজঙ্ঘা|কাঞ্চনজঙ্ঘাকে]] [[অতীতে অনুমিত সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের তালিকা|বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ]] হিসেবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু তিনি [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] থেকে {{convert|230|km|mi|abbr=on}}দুরত্বে অবস্থিত একটি আরো উচ্চ একটি শৃঙ্গ লক্ষ্য করেন। প্রায় একই সময়ে জন আর্মস্ট্রং নামে তার এক কর্মচারীও আরো পশ্চিম থেকে এই চূড়াটি লক্ষ্য করেন এবং একে ''peak-b'' হিসেবে অভিহিত করেন। [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] পরবর্তীতে মন্তব্য করেন যে যদিও পর্যবেক্ষণ হতে বোঝা যাচ্ছিলো যে ''peak-b'' [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] অপেক্ষা উচ্চতর, তা সত্ত্বেও প্রমাণের জন্যে আরো নিকটতর স্থান হতে পর্যোবেক্ষণ প্রয়োজন ছিলো। পরের বছর তিনি এই শৃঙ্গের আরো কাছ থেকে পর্য্যবেক্ষণের জন্য [[তরাই]] অঞ্চলে একজন আধিকারিককে পাঠান, কিন্তু মেঘের কারণে জরিপকাজ চালানো সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।<ref name=everest_bwp70/>
 
১৮৪৯ সালে ওয়াহ সেখানে [[জেমস নিকলসন|জেমস নিকলসনকে]] প্রেরণ করেন। নিকলসন {{convert|190|km|mi|abbr=on}} দূরে অবস্থিত [[জিরোল]] থেকে দুটি পর্যবেক্ষণ লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর নিকলসন সবচেয়ে বড় [[থিওডোলাইট]]আনিয়েরো পূর্ব যাত্রা করে পাঁচটি বিভিন্ন স্থান হতে তিরিশেরও অধিক পর্যবেক্ষণ সম্পন্ন করেন, যার মধ্যে নিকটতমটি ছিল এভারেস্টের {{convert|174|km|mi|abbr=on}} দূর হতে নেয়া। এরপর তিনি [[পাটনা|পাটনায়]] ফিরে যান এবং পর্যবেক্ষণ হতে প্রাপ্ত উপাত্ত সমূহ নিয়ে হিসাব-নিকাশ আরম্ভ করেন। তার খসড়া উপাত্ত হতে তিনি ''peak-b'' এর উচ্চতা নির্ণয় করেন {{convert|9200|m|ft|abbr=on}}, কিন্তু এটি ছিল [[আলোর প্রতিসরণ]] জনিত ত্রুটি অগ্রাহ্য করে নির্ণীত উচ্চতা। তবুও এই খসড়া হিসাব থেকে বোঝা গেল যে, peak-b এর উচ্চতা [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] হতে বেশি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিকলসন ওই সময়ে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন এবং তার হিসাব-নিকাশ অসমাপ্ত রেখেই দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হন। মাইকেল হেনেসি নামক [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহর]] একজন সহকর্মী সে সময়ে পর্বতগুলিকে [[রোমান সংখ্যা|রোমান সংখ্যায়]] প্রকাশ করা আরম্ভ করেন এবং সেই রীতি অনুযায়ী peak-b এর নতুন নাম হয় peak-XV (১৫ নং শৃঙ্গ)।<ref name=everest_bwp70/>
 
১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে [[দেরাদুন]] শহরে অবস্থিত সদর-দপ্তরে বাঙালি গণিতবিদ ও পর্যবেক্ষক [[রাধানাথ শিকদার]] নিকলসনের মাপ-জোক থেকে ত্রিকোণোমিতিক গণনা করে সর্বপ্রথম নির্ণয় করেন যে, এই শৃঙ্গ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।<ref name=BBC_mwde>{{cite news|title=The man who "discovered" Everest|url=http://news.bbc.co.uk/2/hi/south_asia/3193576.stm|publisher=BBC News|date=20 October 2003|accessdate=11 April 2008|first=Soutik|last=Biswas}}</ref>পরবর্তী কয়েক বছর গণনাগুলিকে বার বার নিশ্চিত করবার প্রচেষ্টার কারণে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতে দেরি হয়। নিকলসনের উপাত্ত নিয়ে ওয়াহ ও তাঁর কর্মীরা পরবর্তী দুই বছর গণনা কার্য চালিয়ে যান এবং পর্যবেক্ষণস্থল থেকে শৃঙ্গের দুরত্বের কারণে [[আলোর প্রতিসরণ]], [[বায়ুমন্ডলের চাপ]] ও তাপমাত্রা তারতম্যের সমস্যাগুলির সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে তিনি [[কলকাতা|কলকাতার]] সহকারীকে পত্র মারফত তাঁর সিদ্ধান্ত জানান। তিনি সিদ্ধান্তে পৌছন যে, এই শৃঙ্গের উচ্চতা {{convert|29000|ft|m|abbr=on|sigfig=5|disp=flip}} হওয়ায় এই শৃঙ্গ সম্ভবতঃ বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ।<ref name=everest_bwp70/> জনসমক্ষে এই শৃঙ্গের উচ্চতা জানানো হয় {{convert|29002|ft|m|abbr=on|sigfig=5|disp=flip}}।<ref name=tas1982>{{cite journal|title=Letters to the Editor|journal=The American Statistician|volume=36|number=1|date=February 1982|pages=64–67|jstor=2684102|doi=10.1080/00031305.1982.10482782}}</ref>
 
== নামকরণ ==
যদিও সার্ভে পর্বতশৃঙ্গগুলির নামকরণ স্থানীয় নামে রাখতে ইচ্ছুক ছিল, কিন্তু [[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] বলেন যে, তিনি ১৫ নং শৃঙ্গের কোন স্থানীয় নাম খুঁজে পাননি। বিদেশীদের জন্যে তিব্বত ও নেপাল উন্মুক্ত না থাকায় তার স্থানীয় নামের অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত হয়। কিন্তু এই পর্বতের বেশ কয়েকটি স্থানীয় নাম ছিল, যেমন [[দার্জিলিং]] অঞ্চলে প্রচলিত ''দেওধুঙ্গা'' বা পবিত্র পর্বত<ref><nowiki>{{cite web |url=http://www.harappa.com/engr/darjeeling.html#everest |title=Mt. Everest 1857 |publisher=harappa.com|accessdate=23 January 2008 }}</nowiki></ref>, তিব্বতে প্রচলিত ''চোমোলাংমা'' ইত্যাদি। ১৭৩৩ খ্রিস্তাব্দে [[প্যারিস|প্যারিসে]] ফরাসি ভৌগোলিক [[জাঁ বাপ্তিস্তে বুর্জিগ্নোঁ দ'অ্যানভিল|জাঁ বাপ্তিস্তে বুর্জিগ্নোঁ দ'অ্যানভিলের]] দ্বারা প্রকাশিত একটি মানচিত্রে ''চোমোলাংমা'' নামটি ছিল। এই পর্বতশৃঙ্গের স্থানীয় নাম [[গৌরীশঙ্কর]] বলে উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকের বেশ কিছু ইউরোপীয় মানচিত্র বিশারদ ভুল করে মনে করতেন, যা [[কাঠমাণ্ডু]] ও এভারেস্টের মধ্যবর্তী একটি পর্বত শৃঙ্গ বিশেষ।<ref><nowiki>{{cite journal|first=LA|last=Waddell|title=The Environs and Native Names of Mount Everest|journal=The Geographical Journal|volume=12|number=6|date=December 1898|pages=564–569|url=http://links.jstor.org/sici?sici=0016-7398(189812)12%3A6%3C564%3ATEANNO%3E2.0.CO%3B2-A|doi=10.2307/1774275}}</nowiki></ref>
উচ্চতা নির্ণয় করার পর পর্বতচূড়াটির সঠিক নামকরণ হয়ে দাঁড়ায় পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। জরিপকারী দল চাচ্ছিল পর্বতচূড়াগূলোর স্থানীয়ভাবে প্রচলিত নামগুলো সংরক্ষণ করতে (উদাহরণস্বরূপ [[কাঞ্চনজঙ্ঘা]] ও [[ধবলগিরি]] স্থানীয় নাম)। কিন্তু ওয়াহ বললেন তিনি প্রচলিত কোন স্থানীয় নামের সন্ধান পাননি। বিদেশীদের জন্যে তিব্বত ও নেপাল উন্মুক্ত না থাকায় তার স্থানীয় নামের অনুসন্ধান বাধাগ্রস্ত হয়। বেশ কিছু স্থানীয় নাম প্রচলিত থাকলেও এদের মধ্যে সুপরিচিত ছিল তিব্বতিদের ব্যাবহার করা কয়েকশ’ বছরের পুরনো নাম চোমোলুংমা, যা কিনা ১৭৩৩ সালে [[দ্য’নভিল]] কর্তৃক প্যারিসে প্রকাশিত একটি ম্যাপে ব্যবহার করা হয়। তবে ওয়াহ যুক্তি উথথাপন করেন যে যেহেতু অনেকগুলো স্থানীয় নাম প্রচলিত তাই এদের থেকে সঠিক নামটি বেছে নেওয়া দুঃসাধ্য। তাই তিনি তার পূর্বসূরি ভারতের প্রাক্তন জরিপ পরিচালক [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ এভারেস্টের]] নামে পর্বতচূড়াটির নামকরণ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি লেখেন-
 
[[অ্যান্ড্রিউ স্কট ওয়াহ|ওয়াহ]] এই যুক্তি উত্থাপুন করেন যে, অনেকগুলি স্থানীয় নাম থাকায় যে কোন একটি নামকে রাখাঁ ঠিক হবে না, সেই কারণে তিনি তাঁর পূর্বসূরী সার্ভেয়র জেনারেল [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ এভারেস্টের]] নামে এই শৃঙ্গের নামকরণের সুপারিশ করেন।<nowiki><ref name=everest_bwp70/></nowiki><nowiki><ref name="ReferenceA">{{Cite newspaper The Times|section=India and China|day_of_week=Sat|date=4 October 1856|page_number=8|issue=22490|column=B}}</ref></nowiki><nowiki><ref name=rgs1857>"Papers relating to the Himalaya and Mount Everest", ''Proceedings of the Royal Geographical Society of London'', no.IX pp.345–351, April–May 1857.</ref></nowiki> [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জ]] স্বয়ং তাঁর নাম ব্যবহারের বিরোধী ছিলেন এবং তিনি [[রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটি|রয়্যাল জিওগ্রাফিকাল সোসাইটিকে]] জানান যে, এভারেস্ট নামটি হিন্দিতে লেখা যায় না ও ভারতীয়রা উচ্চারণ করতে পারেন না। এতদ্‌সত্ত্বেও বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম তাঁর নামানুসারে রাখে মাউন্ট এভারেস্ট।<nowiki><ref name=everest_bwp70/></nowiki> এভারেস্টের আধুনিক উচ্চারণ (<nowiki>{{IPA|/ˈɛvərɨst/}}</nowiki> ও <nowiki>{{IPA|/ˈɛvrɨst/}}</nowiki>)<nowiki><ref>{{</nowiki>cite web|title=Mount Everest.|work=Dictionary.com Unabridged (v 1.1) |publisher=Random House, Inc. |accessdate=22 July 2009|url=http://dictionary.reference.com/browse/everest}}&#x3C;/ref> [[জর্জ এভারেস্ট|জর্জের]] পদবীর উচ্চারণের (<nowiki>{{IPA|/ˈiːvrɨst/}}</nowiki>, <nowiki>{{respell|EEV|rist}}</nowiki>) চেয়ে ভিন্ন।<nowiki><ref>{{cite video | people = Claypole, Jonty (Director); Kunzru, Hari (Presenter) | url = http://www.bbc.co.uk/programmes/b0074phg | title = Mapping Everest | medium = TV Documentary | publisher = BBC Television | location = London |year=2003 }}</ref></nowiki>
<nowiki> ''আমার সম্মানিত পূর্বসূরি জরিপ প্রধান কর্ণেল স্যার জর্জ এভারেস্ট আমাকে প্রতিটি ভৌগোলিক উপাদান স্থানীয়ভাবে প্রচলিত নামকরণ করতে শিখিয়েছিলেন। কিন্তু এই পর্বতটি, যা কিনা খুব সম্ভবতঃ পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বত- এর কোন স্থানীয় নাম আমরা খুঁজে পাইনি, আর কোন স্থানীয় নাম থেকে থাকলেও নেপালে প্রবেশের আগে তা আমাদের পক্ষে নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব নয়। এরমধ্যেই চূড়াটির নামকরণ করার সুযোগ এবং পাশাপাশি দায়িত্বও আমার কাঁধে বর্তেছে......এমন একটি নাম যা কিনা দেশ-বিদেশের ভূগোলবিদরা জানবে এবং পৃথিবীর সভ্য জাতির লোকদের মুখে মুখে ফিরবে।''</nowiki>
[[জর্জ এভারেস্ট]] ওয়াহের প্রস্তাবকৃত নামটির বিরোধিতা করেন এবং ১৮৫৭ সালে [[রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি|রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটিকে]] বলেন এই নামটি হিন্দীতে লেখা সম্ভব নয় এবং [[ভারত|ভারতের]] স্থানীয়রা নামটি উচ্চারণ করতে পারবে না। তবে তার এই আপত্তি ধোপে টেকেনি - ১৮৬৫ সালে [[রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটি]] আনুষ্ঠানিকভাবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতচূড়ার নামকরণ করে মাউন্ট এভারেস্ট।
 
তিব্বতী ভাষায় মাউন্ট এভারেস্টকে ''জো-মো-গ্লাং-মা'' (<nowiki>{{lang|bo|ཇོ་མོ་གླང་མ}}</nowiki>; (<nowiki>{{IPA-all|t͡ɕʰòmòlɑ́ŋmɑ̀}}</nowiki>; ''পবিত্র মাতা'') লেখা হয়, যার আনুষ্ঠানিক [[তিব্বতী পিনয়িন]] রূপ হল ''চোমোলাংমা''।<nowiki><ref>{{cite web |url=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506571&fid=4444&c=nepal |title=Chomo-lungma: Nepal |work=Geographical Names |accessdate=18 April 2014}}</ref></nowiki><nowiki><ref>{{cite web |url=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506699&fid=4445&c=nepal |title=Djomo-lungma: Nepal |work=Geographical Names |accessdate=18 April 2014}}</ref></nowiki><nowiki><ref>{{cite web |url=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506569&fid=4444&c=nepal |title=Chomolongma: Nepal |work=Geographical Names |accessdate=18 April 2014}}</ref></nowiki><nowiki><ref>{{cite web |url=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506970&fid=4445&c=nepal |title=Mount Jolmo Lungma: Nepal |work=Geographical Names |accessdate=18 April 2014}}</ref></nowiki><nowiki>}}</nowiki> এই নামের আনুষ্ঠানিক চীনা প্রতিলিপিকরণ হল <nowiki>{{nowrap|{{lang|zh|{{linktext|珠穆朗玛峰}}}}}}</nowiki> <nowiki>{{nowrap|({{lang|zh|{{linktext|珠穆朗瑪峰}}}}),}}</nowiki> যার [[পিনয়িন]] রূপ হল ''ঝুমুলাংমা ফেং''<nowiki><ref name="geographic1">{{cite web |url=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1506739&fid=4445&c=nepal |title=Qomolangma Feng: Nepal |work=Geographical Names |accessdate=18 April 2014}}</ref></nowiki> চীনা ভাষায় একে কখনো কখনো সরল করে ''শেংমু ফেং'' <nowiki>{{nowrap|({{lang|zh|{{linktext|聖母峰}}}},}}</nowiki> <nowiki>{{nowrap|{{lang|zh|{{linktext|圣母峰}}}},}}</nowiki> "পবিত্রর মাতা শৃঙ্গ") বলা হয়ে থাকে। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে [[পিপলস ডেইলি]] নামক চীনা সংবাদপত্রটিতে এই শৃঙ্গের নাম মাউন্ট এভারেস্ট রাখার বিরুদ্ধে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। এই নিবন্ধে স্থানীয় তিব্বতী নাম অনুসারে এই শৃঙ্গের নাম চোমোলাংমা রাখার পক্ষে সওয়াল করা হয়। যুক্তি হিসেবে বলা হয় যে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এই শৃঙ্গ প্রথম আবিষ্কার করেননি, বরং তিব্বতীদের নিকট এই শৃঙ্গ বহু পূর্ব হতেই পরিচিত ছিল এবং চীনারা ১৭১৯ খ্রিস্টাব্দে চোমোলাংমা হিসেবে এই শৃঙ্গকে মানচিত্রভুক্ত করেছিলেন।<nowiki><ref name="pd">{{cite web|url=http://english.people.com.cn/200211/19/eng20021119_107017.shtml|title=No Longer Everest but Mount Qomolangma|publisher=[[People's Daily|People's Daily Online]]|date=20 November 2002|accessdate=9 June 2005}}</ref></nowiki>১৯৬০ খ্রিস্টাব্দের শুরুতে নেপাল সরকাল ''সাগরমাথা'' নামে এই পর্বতের একটি নেপালী নাম রাখে।<nowiki><ref>{{cite web |url=http://www.geographic.org/geographic_names/name.php?uni=-1507822&fid=4445&c=nepal |title=Sagar-Matha: Nepal  |work=Geographical Names |accessdate=18 April 2014}}</ref></nowiki><nowiki><ref name="Unsworth584">{{cite book |title= Everest – The Mountaineering History |last=Unsworth |first=Walt |year=2000 |publisher=Bâton Wicks|isbn=978-1-898573-40-1 |page=584|edition=3rd}}</ref></nowiki>
== উচ্চতা পরিমাপ ==
=== তুলনা ===
 
== আরোহণ পথ ==
=== দক্ষিণ-পূর্ব রিজ ===
=== উত্তর-পূর্ব রিজ ===
== সফল অভিযানসমূহ ==
=== শুরুর দিককার অভিযানসমূহ ===
৫৯ ⟶ ৫৪ নং লাইন:
১৯৫২ সালে [[এডোয়ার্ড উইস-ডুনান্ট|এডোয়ার্ড উইস-ডুনান্টের]] নেতৃত্বাধীন একটি সুইস অভিযাত্রী দল নেপাল দিয়ে [[১৯৫২ বসন্তকালীন সুইস মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান|এভারেস্টে আরোহণ অবিযানের]] চেষ্টা করার অনুমতি লাভ করে। দলটি খুম্বু আইসফলের মধ্য দিয়ে একটি রুট প্রতিষ্ঠা করে এবং দক্ষিণ গিরিখাতের ৭,৯৮৬ মিটার (২৬,২০১ ফুট) আরোহণ করে। [[রেমন্ড ল্যাম্বার্ট]] এবং [[তেনজিং নোরগে|শেরপা তেনজিং নোরগে]] দক্ষিণ-পূর্ব রিজের ৮,৫৯৫ মিটার (২৮,১৯৯ ফুট) ওপরে ওঠেন, যা ছিল উচ্চতা আরোহণে মানুষের নতুন রেকর্ড। [[তেনজিং নোরগে|তেনজিংয়ের]] এই অভিজ্ঞতা ১৯৫৩ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলের সঙ্গে কাজ করার সময় সহায়ক হয়।
 
=== হিলারি ও তেনজিং এর সর্বপ্রথম এভারেস্ট জয় ===
=== সহায়ক অক্সিজেন ছাড়া প্রথম সফল আরোহণ ===
১৯৭৮ সালের ৮ মে অস্ট্রিয়ার পিটার হেবলার এবং ইতালির রেইনহোল্ড মেসনার প্রথম অক্সিজেন ছাড়া এভারেস্ট এর চূড়ায় সফলভাবে অরোহণ করেন।
 
=== শীতকালে প্রথম আরোহণ ===
=== ১৯৯৬ সালের দূর্ঘটনা ===
=== ২০০৫- হেলিকপ্টার অবতরণ ===
=== ২০০৬-ডেভিড শার্প বিতর্ক ===
=== বিবিধ রেকর্ড ===
১৯৭৫ সালের ১৬ মে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করার কৃতিত্ব লাভ করেন জাপানের জুনকো তাবেই।
৭৬ ⟶ ৬৬ নং লাইন:
নেপালের আপা শেরপা সবচেয়ে বেশিবার এভারেস্ট জয় করেছেন। ১৯৯০ সালের ১০ মে থেকে ২০১১ সালের ১১ মে পর্যন্ত তিনি মোট ২১ বার তিনি এভারেস্টের চূড়ায় পা রেখেছেন। নন শেরপা হিসেবে এই রেকর্ড আমেরিকান পর্বতারোহী ও অভিযানের গাইড ডেভ হানের দখলে। ১৯৯৪ সালের ১৯ মে থেকে ২০১২ সালের ২৬ মে পর্যন্ত মোট ১৪ বার এভারেস্ট জয় করেছেন তিনি।
 
== ডেথ জোন ==
 
== অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার ==
== চুরি এবং অন্যান্য অপরাধ ==
== উদ্ভিদ ও প্রাণি ==
== ভূ-তত্ত্ব ==
== আরও দেখুন ==
* [[ওহোস দেল সালাদো পর্বত]]