ভারতরত্ন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
| awardname = ভারতরত্ন
| image = [[File:Bharat Ratna.jpg|310px]]
| type = অসামরিকবেসামরিক
| category = জাতীয়
| instituted = ১৯৫৪
২০ নং লাইন:
| followedby = [[পদ্মবিভূষণ]]
}}
'''ভারতরত্ন''' ({{lang-hi|भारत रत्न}}, {{IPA-hns|bʰaːrt̪ rt̪ n|hi}}; ''ভারতের রত্ন''){{sfn|Thakur|2010|p=5}} হল [[ভারতীয় প্রজাতন্ত্র|ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের]] সর্বোচ্চ [[ভারতীয় সম্মাননা ব্যবস্থা|বেসামরিক সম্মাননা]]। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি এই সম্মান চালু হয়। জাতি, পেশা, পদমর্যাদা বা লিঙ্গ নির্বিশেষে "সর্বোচ্চ স্তরের ব্যতিক্রমী সেবা/কার্যের স্বীকৃতি স্বরূপ" এই সম্মান প্রদান করা হয়।<ref name="award1"/><ref name="award2"/><ref name="scheme"/> প্রথম দিকে এই সম্মান কেবলমাত্র শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও জনসেবায় বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারীদেরই দেওয়া হত। কিন্তু ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে [[ভারত সরকার]] এই সম্মান প্রাপ্তির ক্ষেত্রে "মানবিক কৃতিত্বের যে কোনো ক্ষেত্র" নামে আরো একটি মানকশর্ত যুক্ত করে।<ref name="sports"/> যাকে ভারতরত্ন প্রদান করা হয় তার নাম [[ভারতের প্রধানমন্ত্রী]] [[ভারতের রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতির]] কাছে সুপারিশ করেন। বছরে সর্বোচ্চ তিন জনকে ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়। প্রাপক ভারতের রাষ্ট্রপতির সাক্ষরস্বাক্ষর-সম্বলিত একটি ''সনদ'' (শংসাপত্র) এবং [[অশ্বত্থ]] পাতার আকৃতি-বিশিষ্ট একটি পদক পান। এই সম্মানের সঙ্গে কোনো অর্থমূল্য দেওয়া হয় না। [[ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রম|ভারতীয় পদমর্যাদা ক্রমে]] ভারতরত্ন প্রাপকদের স্থান সপ্তম। তবে এই সম্মানের নাম উপাধি হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা আছে।
 
১৯৫৪ সালে রাজনীতিবিদ [[চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী]], দার্শনিক [[সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন]] ও বিজ্ঞানী [[চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন]] ভারতরত্ন সম্মান পান। তারাই ছিলেন এই সম্মানের প্রথম প্রাপক। তারপর থেকে ৪৫ জন ব্যক্তি এই সম্মান পেয়েছেন। এদের মধ্যে ১২ জনকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিকে মরণোত্তর ভারতরত্ন প্রদানের ব্যবস্থা না থাকলেও ১৯৫৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৬৬ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী [[লাল বাহাদুর শাস্ত্রী]] প্রথম মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পান। ২০১৩ সালে ক্রিকেটার [[শচীন তেন্ডুলকর]] ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান। তিনিই কনিষ্ঠতম ভারতরত্ন প্রাপক। অন্যদিকে [[ধোন্দো কেশব কার্ভে|ধোন্দো কেশব কার্ভেকে]] তার ১০০তম জন্মদিনে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়া হয়। সাধারণত ভারতীয় নাগরিকদের এই সম্মান দেওয়া হয়ে থাকে। তবে ১৯৮০ সালে বিদেশি-বংশোদ্ভুত ভারতীয় নাগরিক [[মাদার টেরেসা]] ভারতরত্ন সম্মান পান। এছাড়া দু-জন বিদেশি নাগরিককেও ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করা হয়েছিল। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তানি নাগরিক [[খান আবদুল গফফর খান]] এবং ১৯৯০ সালে [[দক্ষিণ আফ্রিকা|দক্ষিণ আফ্রিকার]] প্রাক্তন [[দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি|রাষ্ট্রপতি]] [[নেলসন ম্যান্ডেলা]] ভারতরত্ন সম্মান পান। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভারত সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামী [[মদনমোহন মালব্য]] (মরণোত্তর) ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী [[অটলবিহারী বাজপেয়ী|অটলবিহারী বাজপেয়ীকে]] এই সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
 
১৯৭৭ সালের জুলাই মাস থেকে ১৯৮০ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ভারতের প্রথম অকংগ্রেসি কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য ব্যক্তিগত [[ভারতীয় সম্মাননা ব্যবস্থা#অসামরিকবেসামরিক সম্মাননা|অসামরিকবেসামরিক সম্মাননার]] সঙ্গে ভারতরত্ন সম্মানও রদ করেছিল। এরপর ১৯৯২ সালের অগস্টআগস্ট থেকে ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই সম্মানের সাংবিধানিক বৈধতা-সংক্রান্ত কয়েকটি [[জনস্বার্থ মামলা|জনস্বার্থ মামলার]] পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় বার এই সম্মান প্রদান বন্ধ ছিল। ১৯৯২ সালে সরকার [[সুভাষচন্দ্র বসু|সুভাষচন্দ্র বসুকে]] মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান প্রদান করতে চাইলে তা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। [[সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু]] নিয়ে বিতর্ক থাকায়, এই সম্মানের সঙ্গে ''মরণোত্তর'' শব্দটি যুক্ত করা সমালোচিত হয় এবং সুভাষচন্দ্র বসুর পরিবার এই সম্মান গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। ১৯৯৭ সালে [[ভারতের সুপ্রিম কোর্ট|সুপ্রিম কোর্টের]] একটি সিদ্ধান্তের পর প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মাননা প্রদান বাতিল করা হয়। এই একবারই সম্মাননা ঘোষণার পর সেটি বাতিল করা হয়েছিল।
 
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির পুরস্কার প্রাপ্তির বিষয় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী [[জওহরলাল নেহ্‌রু]] ও [[ইন্দিরা গান্ধী]] যথাক্রমে ১৯৫৫ এবং ১৯৭১ সালে মনোনীত হওয়ায় সমালোচিত হয়েছেন। [[কুমার স্বামী কামরাজ নাদার|কে কামারাজ]] (১৯৭৬) এবং [[এম জি রামচন্দ্রন|এম জি রামচন্দ্রনের]] (১৯৮৮) মরণোত্তর পুরস্কার অর্জন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারনাপ্রচারণার লক্ষ্যে হয়েছে বলে বিবেচনা করা হয়ছে।হয়েছিল। [[বল্লভভাই পটেল]] (১৯৯১) ও [[মদনমোহন মালব্য|মদনমোহন মালব্যের]] (২০১৫) মরণোত্তর পুরস্কার অর্জনও সমালোচিত হয়েছিল।
 
==ইতিহাস==
১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি [[ভারতের রাষ্ট্রপতি|ভারতের রাষ্ট্রপতির]] সচিবের কার্যালয় থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে দুটি অসামরিকবেসামরিক সম্মাননা চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়। এই সম্মাননা দুটি ছিল সর্বোচ্চ অসামরিকবেসামরিক সম্মান ভারতরত্ন এবং ত্রিস্তরীয় [[পদ্মবিভূষণ]] ("প্রথম বর্গ", "দ্বিতীয় বর্গ" ও "তৃতীয় বর্গ" নামে শ্রেণিবদ্ধ)। উল্লেখ্য, পদ্মবিভূষণ সম্মাননার স্থান ছিল ভারতরত্নের নিচে।<ref name="award1">{{cite journal|url=http://www.egazette.nic.in/WriteReadData/1954/E-2233-1954-0001-103507.pdf|title=The Gazette of India—Extraordinary—Part I|last=Lal|first=Shavax A.|year=1954|journal=The Gazette of India|publisher=The President's Secretariat|publication-date=2 January 1954|accessdate=12 May 2014|format=PDF|pages=2|quote=The President is pleased to institute an award to be designated Bharat Ratna and to make the following Regulations|archiveurl=http://web.archive.org/web/20140514155953/http://www.egazette.nic.in/WriteReadData/1954/E-2233-1954-0001-103507.pdf|archivedate=14 May 2014}}</ref> ১৯৫৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পদ্মবিভূষণ সম্মাননাটিকে পুনরায় তিনটি সম্মাননায় বিভক্ত করা হয়। এগুলি হল: পদ্মবিভূষণ (তিনটি সম্মাননার মধ্যে সর্বোচ্চ), [[পদ্মভূষণ]] ও [[পদ্মশ্রী]]।<ref name="award2">{{cite journal|url=http://www.egazette.nic.in/WriteReadData/1955/O-2196-1955-0003-100533.pdf|title=The Gazette of India—Extraordinary—Part I|last=Ayyar|first=N. M.|year=1955|journal=The Gazette of India|publisher=The President's Secretariat|publication-date=15 January 1955|accessdate=18 May 2014|format=PDF|pages=8|quote=The President is pleased to make the following revised regulations for the award of the decoration Bharat Ratna in supersession of those published in Notification No. 1-Pres./54, dated the 2nd January, 1954|archiveurl=http://web.archive.org/web/20140518211317/http://www.egazette.nic.in/WriteReadData/1955/O-2196-1955-0003-100533.pdf|archivedate=18 May 2014}}</ref>
 
ভারতরত্ন সম্মাননার প্রাপককে ভারতীয় হতেই হবে – এমন কোনো নিয়ম নেই। বিদেশি বংশোদ্ভুত ভারতীয় নাগরিক [[মাদার টেরেসা]] ১৯৮০ সালে ভারতরত্ন সম্মাননা পেয়েছিলেন। এছাড়া দু-জন বিদেশি নাগরিকও ভারতরত্ন সম্মান পান। পাকিস্তানি নাগরিক [[খান আবদুল গফফর খান]] ১৯৮৭ সালে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি [[নেলসন ম্যান্ডেলা]] ১৯৯০ সালে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন।{{sfn|Guha|2001|p=176}} [[শচীন তেন্ডুলকর]] ৪০ বছর বয়সে ভারতরত্ন সম্মান পান; তিনিই এই সম্মাননার কনিষ্ঠতম প্রাপক।<ref name="sachin">{{cite web|url=http://www.espncricinfo.com/india/content/story/715695.html|title=Tendulkar receives Bharat Ratna|publisher=ESPNcricinfo|accessdate=20 May 2014|date=4 February 2014|archiveurl=http://web.archive.org/web/20140626074439/http://www.espncricinfo.com/india/content/story/715695.html|archivedate=26 June 2014}}</ref> ১৯৫৮ সালের ১৮ এপ্রিল [[ধোন্দো কেশব কার্ভে|ধোন্দো কেশব কার্ভেকে]] তার ১০০তম জন্মদিনে ভারতরত্ন সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল।<ref>{{cite web|url=http://www.britannica.com/EBchecked/topic/312797/Dhondo-Keshav-Karve|title=Profile: Dhondo Keshav Karve|publisher=Encyclopædia Britannica|accessdate=20 May 2014|archiveurl=http://web.archive.org/web/20111201123354/http://www.britannica.com/EBchecked/topic/312797/Dhondo-Keshav-Karve|archivedate=1 December 2011}}</ref>{{efn|name=Karve|The Bharat Ratna ceremony is usually held at [[Rashtrapati Bhavan]], New Delhi but a special ceremony was held at [[Brabourne Stadium]], Mumbai to honour Karve on his 100th birthday on 18 April 1958.{{sfn|Bhatt|Bhargava|2006|p=657}}{{sfn|Daniel|1958|p=223}}}} ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৪৫ জনকে ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান পেয়েছেন।<ref name="recp54-15"/>
 
ভারতরত্ন সম্মাননা প্রদান ইতিহাসে দু-বার রদ করা হয়েছিল।{{sfn|Hoiberg|Ramchandani|2000|p=96}} ১৯৭৭ সালে [[মোরারজি দেশাই]] ভারতের চতুর্থ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পর প্রথম বার ভারতরত্ন রদ করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ১৩ জুলাই তার সরকার সবকটি [[ভারতীয় সম্মাননা ব্যবস্থা#অসামরিকবেসামরিক সম্মাননা|বেসামরিক সম্মাননা]] প্রত্যাহার করে নিয়েছিল।{{sfn|Bhattacherje|2009|p=A248}}{{sfn|Edgar|2011|p=C-105}} ১৯৮০ সালের ২৫ জানুয়ারি [[ইন্দিরা গান্ধী]] পুনরায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে এই সম্মাননা আবার চালু হয়।{{sfn|Bhattacherje|2009|p=A253}} ১৯৯২ সালের মধ্যভাগে দুটি [[জনস্বার্থ মামলা|জনস্বার্থ মামলার]] পরিপ্রেক্ষিতে বেসামরিক সম্মাননাগুলি আবার রদ হয়েছিল। উক্ত মামলা দুটির একটি [[কেরল হাইকোর্ট|কেরল হাইকোর্টে]] এবং অপরটি [[মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট|মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে]] দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলা দুটিতে সম্মাননাগুলির "সাংবিধানিক যৌক্তিকতা" নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল।{{sfn|Hoiberg|Ramchandani|2000|p=96}} ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বর মাসে [[ভারতের সুপ্রিম কোর্ট|ভারতের সুপ্রিম কোর্টে]] এই মামলার পরিসমাপ্তির পর আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আবার এই সম্মাননাগুলি চালু করা হয়।{{sfn|Edgar|2011|p=C-105}}<ref name="sci">{{cite web|url=http://judis.nic.in/supremecourt/imgst.aspx?filename=19825|title=Balaji Raghavan S. P. Anand Vs. Union of India: Transfer Case (civil) 9 of 1994|date=4 August 1997|accessdate=14 May 2014|publisher=Supreme Court of India|archiveurl=http://web.archive.org/web/20140519060941/http://judis.nic.in/supremecourt/imgst.aspx?filename=19825|archivedate=19 May 2014}}</ref>
 
==নিয়মাবলী==
২৬০ নং লাইন:
| align="center" | [[File:Morarji Desai (portrait).png|100px]]
! scope="row" colspan="2" | [[মোরারজি দেশাই]]{{efn|name=Desai|Desai had earlier abolished the awards while he was in the office of Prime Minister for it being "worthless and politicized".<ref>{{cite news|url=http://timesofindia.indiatimes.com/home/sunday-toi/special-report/The-great-Bharat-Ratna-race/articleshow/2714556.cms|title=The great Bharat Ratna race|newspaper=The Times of India|date=20 January 2008|accessdate=17 May 2014|author=Mukul, Akshaya|archiveurl=http://web.archive.org/web/20131202143538/http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2008-01-20/special-report/27747345_1_bharat-ratna-padma-awards-honour|archivedate=2 December 2013}}</ref>}}
| স্বাধীনতা সংগ্রামী ও ভারতের ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী (১৯৭৭-৭৯)।<ref name="pm"/> [[পাকিস্তান সরকার]] তাঁকে [[পাকিস্তান|পাকিস্তানের]] সর্বোচ্চ অসামরিকবেসামরিক সম্মান [[নিশান-ই-পাকিস্তান]] প্রদান করেছিল। তিনিই একমাত্র ভারতীয় যিনি এই সম্মান পান।<ref>{{cite news|url=http://www.rediff.com/news/2001/jul/11spec.htm|title=When India and Pakistan almost made peace|date=11 July 2001|accessdate=13 September 2015|author=Bhatia, Shyam|publisher=Rediff.com}}</ref>
|-
| align="center" rowspan="3" | 1992১৯৯২
| align="center" | [[File:Maulana Abul Kalam Azad.jpg|100px]]
! scope="row" | [[আবুল কালাম আজাদ]]{{efn|name=Azad|Earlier, Abul Kalam Azad had refused the Bharat Ratna while he was Education Minister of India (1947–58) citing that the selection committee members should not themselves be recipients.<ref>{{cite news|url=http://timesofindia.indiatimes.com/home/specials/Those-who-said-no-to-top-awards/articleshow/2714615.cms|title=