গোয়াংজু অভ্যুত্থান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎ইতিহাস: অনুবাদ
→‎ইতিহাস: পরিমার্জন
৮ নং লাইন:
 
এর প্রতিক্রিয়ায় চুন দু-হোয়ান বেশ কিছু দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৭ই মে, চুন দু-হোয়ান মন্ত্রীসভাকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে সম্পূর্ণ রাষ্ট্রের উপর সামরিক আইন বলবৎ করেন। এর আগে, [[জেজু দ্বীপ]] সামরিক আইনের বাইরে ছিল। বর্ধিত সামরিক আইনে সকল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, সব ধরণের রাজনৈতিক কর্মকালাপ নিষিদ্ধ এবং গণমাধ্যমকে কব্জা করা হয়। সামরিক আইনকে কার্যকর করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সৈন্য পাঠানো হয়। একই দিনে ৫৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ইউনিয়নের ছাত্রনেতারা ১৫ইমে গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করার সময় নিরাপত্তা কমান্ড ধ্বংসমূলক কার্যকালাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে ২৬ জন রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দক্ষিণ জল্লা প্রদেশের কিম দে-জুংও ছিলেন।
 
রাজনৈতিক এবং ভৌগলিক বিবিধ কারণে দক্ষিণ জল্লা প্রদেশের,বিশেষ করে প্রদেশটির রাজধানী গোয়াংজুর খন্ডযুদ্ধ আসন্ন ছিল। জল্লা বা হোনামকে বলা হয় কোরিয়ার শস্যাগার। প্রতুল পরিমান প্রাকৃতিক সম্পদের জন্য সুপ্রাচীন কাল থেকেই এই এলাকা দেশী ও বিদেশী শক্তির প্রধান লক্ষ্য ছিল। <ref>Documentary ''518''. Produced by May 18 Memorial Foundation. See also Ahn Jean. "The socio-economic background of the Gwangju Uprising," in ''South Korean Democracy: Legacy of the Gwangju Uprising''. Ed. Georgy Katsiaficas and Na Kahn-chae. London and New York: Routledge, 2006.</ref>
ঐতিহাসিকভাবেই বিভিন্ন সময় এই প্রদেশ থেকেই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে উঠে। দোংহাক চাষী অভ্যুত্থান, গোয়াংজু শিক্ষার্থী আন্দোলন, ইয়োসু-সুনচন বিদ্রোহ, কোরিয়াতে জাপানীদের আক্রমণ (১৫৯২-৯৮) এবং আরো অনেক আন্দোলেনের সূচনা এই জল্লা প্রদেশ থেকেই হয়। সাম্প্রতিক '''তৃতীয় দক্ষিণ কোরিয়া প্রজাতন্ত্র''' এবং '''চতুর্থ দক্ষিণ কোরিয়া প্রজাতন্ত্র''' আমলে ঘটে যাওয়া আন্দোলনের হেতু হিসেবে নিচের তিনটি কারণ উল্লেখ করা যায়।
 
পার্ক চুং-হির আমলে দক্ষিণাঞ্চলে বিবিধ উন্নতি সাধিত হয় তার নিজ এলাকা , গিয়ংসাং অঞ্চলে। আর এই উন্নতি সাধনের খরচ আসে মূলতঃ জল্লা প্রদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে। ফলে একনায়কতন্ত্র বিরোধী আন্দোলনের সূচনা মূলতঃ এই অঞ্চল থেকেই শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে ১৯৮০ সালের মে মাসে গোয়াংজু শহরে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গণজাগরণ ঘটে। এই গণজাগরণ ছিল প্রধানত জেনারেল চুন দু-হোয়ানের বিরুদ্ধে। চুন দু-হোয়ান গোয়াংজুর সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিলেন। <ref>Armstrong, Charles. "Contesting the Peninsula". ''New Left Review'' 51. London: 2008. Page 118.</ref>
 
সামরিক আইন বলবৎ হওয়ার পর গোয়াংজু শহর ছিল সামরিক বাহিনীর অত্যাচার নিপীড়নের প্রধান স্থল। গোয়াংজুবাসীর আন্দোলের ফলেই গণতন্ত্র বিরোধী চুন দু-হোয়ানের গণতন্ত্র বিরোধী কার্যক্রমের বিপক্ষে সমগ্র কোরিয়াবাসী সচেতন হয়। তাই এই শহরের উপর তৎকালীন সামরিক শাসকের যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। <ref>Sallie Yea, "Rewriting Rebellion and Mapping Memory in South Korea: The (Re)presentation of the 1980 Kwangju Uprising through Mangwol-dong Cemetery," Urban Studies, Vol. 39, no. 9, (2002): 1557</ref>
 
সরকারের প্ররোচনায় '''গোয়াংজু অভ্যুত্থান'''কে সমাজতন্ত্রবাদীদের আন্দোলন বলে গণমাধ্যমসমূহে প্রচার করা হলেও সাধারন জনগণের ভাষ্যমতে, গোয়াংজু অভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতার আন্দোলন। এই সৎ আন্দোলন কোন বিদ্রোহী কিংবা সমাজতন্ত্রবাদীদের আন্দোলন নয় বরং গণতন্ত্রে বিশ্বাসী জন্নামের সাধারন মানুষের নিজ গণতান্ত্রিক অধিকারের আন্দোলন ছিল। <ref>Gi-Wook Shin and Kyung Moon Hwang, editors, "Contentious Kwangju: The MAy 18 Uprising in Korea's Past and Present," Maryland: Rowman and Littlefield Publishers, Inc. (2003): 125</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==