বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রিমিয়াম প্রদানের মাধ্যমে বীমাকৃত ব্যাক্তিব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সব ধরনের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে মুক্ত থাকে আরএবং অসংখ্য বীমাকৃত ব্যাক্তিব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম সংগ্রহ করে বীমা কোম্পানিগুলো মূলধন বৃদ্ধি করে। বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়াও ব্যাক্তিগতভাবে অর্থ সঞ্চয় করে সম্ভাব্য ঝুকিরঝুঁকির দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়।<ref>Gollier C. (2003). [http://dhenriet.perso.egim-mrs.fr/gollier.pdf To Insure or Not to Insure?: An Insurance Puzzle]. ''The Geneva Papers on Risk and Insurance Theory'';).</ref> বীমা প্রক্রিয়া, ক্ষয়ক্ষতির ধরনধরণ এবং ক্ষতিপূরনক্ষতিপূরণ নির্ধারনেরনির্ধারণের ক্ষেত্রে কিছু মূলনীতি মেনে চলতে হয়।
=== বীমা যোগ্যতা ===
বেসরকারী কোম্পানী কর্তৃক বীমা করানোর জন্য সাতটি বীমাযোগ্যতার মূলনীতি মেনে চলতে হয়ঃ
: ১ '''একই ধরনের ক্ষতির সম্মুখিনসম্মুখীন হতে পারে এমন অনেক উপাদানের অস্তিত্বঃ''' যেহেতু একটি বীমা কোম্পানি ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে তাই বাস্তবে সেই ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখিনসম্মুখীন হতে পারে এমন উপাদান প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান থাকতে হবে। যেমনঃ 'লয়েডস অফ লন্ডন' জনপ্রিয় শিল্পী এবং খেলোয়াড়দের জীবন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের বীমা করানোর জন্য বিখ্যাত। এখানে লয়েডলয়েডস অফ লন্ডন যেসব উপাদানের বীমা করায় সেগুলো বাস্তব জীবনে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান এবং এই উপাদানগুলো একই ধরনের না হলেও এগুলোকে একই শ্রেণিতে ফেলা যায়।
: ২ '''নির্দিষ্ট ক্ষয়ক্ষতিঃ''' বোঝাতে বীমা কোম্পানি শুধুমাত্র একটি বা একাধিক নির্দিষ্ট ক্ষতির জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ থাকবে। যেমনঃ একটি গাড়ির যদি শুধু অগ্নি বীমা করা থাকে তাহলে বীমা কোম্পানি গাড়িটি হারিয়ে গেলে কোনো ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে না।