লাইলাতুল মেরাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Masum470 (আলোচনা | অবদান)
Fixed typo; Fixed grammar; Added links
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে সম্পাদনা
১ নং লাইন:
{{Cleanup|reason=রচনা অগোছালো, অধারাবাহিক ও অসম্পূর্ণ; তথ্য খণ্ডিত এবং বিতর্কমূলক বক্তব্যসম্বলিত। তদুপরি উপযুক্ত/নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় নি।}}
{{ইসলামিক সংস্কৃতি}}
'''লাইলাতুল মেরাজ''' বা '''মেরাজের রজনী''', যা সচরাচর '''শবে মেরাজ''' হিসাবে আখ্যায়িত হয়, হচ্ছে ইসলাম ধর্মমতে সেযে রাতে ইসলামের নবী [[মুহাম্মদ|হযরত মুহাম্মদ (সা:)মুহাম্মদের]] অলৌকিকঐশ্বরিক উপায়ে উর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং [[আল্লাহ|স্রষ্টার]] সাথে সাক্ষাৎ করেন।করেন সেই রাত। মুসলমানরা এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদযাপন করেন। ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ [[নামায]] মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক অর্থাৎ ([[ফরজ]]) নির্ধারণ করা হয় এবং দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের বিধান নির্দিষ্ট করা হয়।
 
ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী মুহাম্মদ (স.) এরমুহাম্মদের নবুওয়াতের একাদশ বৎসরের (৬২০ খ্রিস্টাব্দে) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রথমে [[কাবা শরীফ]] থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত [[বায়তুল মুকাদ্দাস]] বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অত:পর তিনি [[বোরাক]] বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহ'র সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই সফরে ফেরেশতা হজরত জিবরাইল (আ.) তাঁরতার সফরসঙ্গী ছিলেন।<ref>[http://www.jugantor.com/last-page/2014/05/26/103557 পবিত্র শবে মেরাজ আজ]</ref> [[কুরআন|কুরআন শরীফের]] [[সূরা বাণী ইসরাঈল]] এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে:
{{cquote|سُبْحَانَ الَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِهِ لَيْلًا مِنْ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ إِلَى الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى الَّذِي بَارَكْنَا حَوْلَهُ لِنُرِيَهُ مِنْ آيَاتِنَا إِنَّه هُوَ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ<br />উচ্চারণ: সুবহানাল্লাজি আস্রা বিআবদিহি লাইলাম মিনাল মাসিজদিল হারামী ইলাল মাসিজদিল আকসা <br />বঙ্গার্থ: "পবিত্র সেই মহান সত্তা, যিনি তাঁহারতাহার এক বান্দা (মুহাম্মদ স.) -কে মসজিদে হারাম (কাবাঘর) হইতে মসজিদে আকসা (বাইতুল মোকাদ্দাস) পর্যন্ত পরিভ্রমণ করাইয়াছেন। ইহার মধ্যে তাঁহাকেতাহাকে অসংখ্য নিদর্শনাবলী দেখান হইয়াছে।}}<ref>[http://www.ittefaq.com.bd/index.php?ref=MjBfMDVfMjZfMTRfMV8zXzFfMTMzMzY4 পবিত্র শবে মেরাজ]</ref>
 
== শব্দগত ব্যুৎপত্তি ==
যদিও ইসলাম ধর্মের ধর্মগ্রন্থেমূল ধর্মগ্রন্থ [[কুরআন]]-এ "মেরাজ" শব্দটির উল্লেখ দেখা যায় না, কিন্তু যখন অবিশ্বাসীগণ মুহাম্মদের নবুয়্যতের বা ঐশ্বিক বাণীর প্রমাণস্বরূপ স্বর্গে আরোহণকরত প্রমাণ আনতে বলে, তখন সেখানে উল্লিখিত শব্দ ছিল ''তারকা ফিস সামা-য়ী'': স্বর্গে আরোহণ করো। যেখানে ''তারকা'' মানে আরোহণ করো, আর শব্দটি ''রাকিয়া'' থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ "সে আরোহণ করেছিল"। আরবি ''মেরাজ'' শব্দটি ''আরাজা'' থেকে গৃহীত, যার অর্থ সে আরোহণ করেছিল। কিন্তু এতদুভয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো ''রাকিয়া'' দ্বারা দৈহিক আরোহণ বোঝায়, অথচ ''আরাজা'' দ্বারা আত্মিক আরোহণ বোঝায়। তাই ক্বোরআন কর্তৃক মুহাম্মদের "আত্মিক আরোহণ" প্রমাণিত।<ref name="book-mhd"/><br /> এপ্রসঙ্গে ক্বোরআনের বক্তব্য হলো: {{cquote|এমন একদিন ফেরেশতা এবং রুহ আল্লাহর দিকে উর্ধ্বগামী হয় যা পার্থিব পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।<ref>আল ক্বোরআন ৭০:৪</ref>}}
 
এপ্রসঙ্গে ক্বোরআনের বক্তব্য হলো: {{cquote|এমন একদিন ফেরেশতা এবং রুহ আল্লাহর দিকে উর্ধ্বগামী হয় যা পার্থিব পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।<ref>আল ক্বোরআন ৭০:৪</ref>}}
== বিবরণ ==
মেরাজ ঘটেছিল মুহাম্মদ(সঃ)-এর নবুয়্যত বা ঐশ্বিক বাণী প্রাপ্তির দশম বছরে। মেরাজের ঘটনায় দুটো অংশ ছিল: ১. ''আল-ইসরা'' বা [[জেরুজালেম|জেরুজালেমে]] রাত্রভ্রমণরাত্র-ভ্রমণ, এবং ২. ''মেরাজ'' বা উর্ধ্বারোহণ বা স্বর্গারোহণ।<ref name="book-mhd"/>
 
একটি বর্ণনায় পাওয়া যায়: নবুয়্যতের দশম বছর, সাত মাস; ২৭ রজব তারিখে মুহাম্মদ, [[আবু তালিব|আবু তালিবের]] মেয়ে হিন্দার বাড়িতে ছিলেন। আবার অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ঐ রাতে মুহাম্মদ [[কাবা|কাবাতে]] ঘুমান, এবং তিনি কাবা'র ঐ অংশে ঘুমান, যেখানে কোনো ছাদ ছিল না ([[হাতিম]])।<ref name="book-mhd"/>
৩১ নং লাইন:
 
=== স্বর্গারোহণ ===
স্বর্গারোহণের পরে আল্লাহর সাথে মুহাম্মদের (সা:) যে কথোপকথন হয়, তা সকল মুসলমান দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে, বসা অবস্থায় পাঠ করেন, যাকে বলা হয় "তাশাহ্‌হুদ"।{{cn}}
 
=== মেরাজের ঘটনা প্রকাশ ===
৩৯ নং লাইন:
 
== ইব্রাহিমীয় মেরাজ ==
ইসলাম ধর্মমতে, মেরাজের (এখানে ঐশ্বিক সান্নিধ্য অর্থে) ঘটনা ঘটেছিল [[ইব্রাহিম|ইব্রাহিমের]] [আ.] ক্ষেত্রেও। হয়েছিলএবং [[মুসা|মুসার]]র [আ.] ক্ষেত্রেও<ref>ক্বোরআন ৭:১৪৩</ref>।<ref name="book-mhd"/>
 
== ভিন্ন মত ==
ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ [[নামায]], মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক ([[ফরজ]]) করা হয়, এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন মুহাম্মদ(সঃ)।নবী মুহাম্মদ। তবে কোনো কোনো ইসলামী চিন্তাবিদের মতে, এটা দৈহিক নয়, বরং ছিল আত্মিক আরোহণ&mdash; মুহাম্মদের স্ত্রী [[আয়েশা]], এবং [[আবু সুফিয়ান(রাঃ)]] এই মতে বিশ্বাসী ছিলেন।<ref name="book-mhd">ইসলামের ধারাবাহিক ইতিহাস: প্রথম খন্ড: ''মহানবী (স:)'', ডক্টর ওসমান গনী, মল্লিক ব্রাদার্স, কলকাতা থেকে ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত। সংগ্রহের তারিখ: ১৭ জুন ২০১২ খ্রিস্টাব্দ।</ref>
কিন্তু,যদিও মেরাজের ঘটনা ইসলামে যথেষ্ট অর্থবহ হলেও,তবুও মেরাজ উপলক্ষে বিশেষ রাত পালনের নিয়মকে ইসলামী চিন্তাবিদগণ গ্রহণ করেন না,; কেননা ঠিক কত তারিখে মেরাজ ঘটেছিল, তার কোনো নির্ধারিত বিবরণ পাওয়া যায় না, এব্যাপারে সাহাবাদের মধ্যেই মতভেদ ছিল। শুধুমাত্র এতটুকু সঠিক করে বলা যায়: যে, নবুয়্যতের দশম থেকে ত্রয়োদশ বছরের মধ্যে কোনো এক রাতে ঘটেছে মেরাজের ঘটনা।<ref name="book-mhd"/>
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist}}
 
{{অসম্পূর্ণ}}
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.al-mawrid.org/pages/articles_english_detail.php?rid=421&cid=246&search=journey#_ftnref3 The Essence of Prophethood ]
৫৫ নং লাইন:
 
{{Muslimholidays}}
{{অসম্পূর্ণ}}
 
{{DEFAULTSORT:মেরাজ}}
[[বিষয়শ্রেণী:ইসলামের ইতিহাস]]