নে উইন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ প্রদান
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ করা হয়েছে
৩৭ নং লাইন:
|occupation =
|profession =
|religion = [[Theravada Buddhism|থেরবাদ]]
|signature = Ne Win Signature.svg
|website =
৫১ নং লাইন:
|awards =
}}
'''নে উইন''' ([[জন্ম]]: [[১৪ মে]], [[১৯১০]] - [[মৃত্যু]]: [[৫ ডিসেম্বর]], [[২০০২]]) পেগু প্রদেশের পংদেল এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বার্মার (বর্তমান - [[মায়ানমার]]) বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সামরিক কমান্ডার ছিলেন। দুই মেয়াদে বার্মার প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, বার্মা সোশ্যালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন ও দলের সভাপতি ছিলেন। সুদীর্ঘ ২৬ বছর বার্মার নেতৃত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
নে উইনের জন্ম তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। ১৯৬১ সালে র‌্যাঙ্গুনের পিপলস লিটারেচার হাউস থেকে ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত হু’জ হু-তে তাঁর জন্ম ১৪ মে, ১৯১১ লেখা হয়। বর্মী ও ইংরেজি ভাষায় ড. মং মং তাঁর ‘বার্মা এন্ড জেনারেল নে উইন’ শীর্ষক পুস্তকেও একই তারিখ তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে, কিয় নেইন তাঁর ‘থার্টি কমরেডস’ গ্রন্থে ১০ জুলাই, ১৯১০ লিখেন।
 
‘শু মং’ নামে তাঁর জন্ম হয়। র‌্যাঙ্গুনের প্রায় ২০০ মাইল দূরবর্তী পংডেল এলাকার কাছাকছি ছোট্ট একটি গ্রামে মধ্যবিত্ত বর্মী চীনা পরিবারের সন্তান তিনি।<ref name="obitgu">{{cite news|url=http://www.guardian.co.uk/news/2002/dec/06/guardianobituaries|title=General Ne Win|last=Smith|first=Martin|date=6 December 2002|publisher=The Guardian|accessdate=8 April 2012}}</ref> ১৯২৯ সালে র‌্যাঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। দুই বছর জীববিদ্যা বিষয়ে পড়াশোনা করলেও ১৯৩১ সালে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হন।<ref>{{cite book |last= Shaw |first= Karl |title= Power Mad! |trans_title= Šílenství mocných |edition= |year= 2005 |origyear= 2004 |publisher=Metafora |location= Praha |language= Czech |isbn= 80-7359-002-6 |pages= 44 }}</ref> এরপর দোবামা‘দোবামা এশিয়াওয়ানএশিয়াওয়ান’ নামের জাতীয়তাবাদী সংগঠনে যোগ দেন। ঐ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে [[অং সান সু কিচি|অং সান সু কি’রচি’র]] বাবা [[অং সান]] এবং [[ইউ নু]] ছিলেন।
 
== রাজনৈতিক জীবন ==
২ মার্চ, ১৯৬২ তারিখে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেন। পরবর্তীকালে বার্মার রাষ্ট্রপ্রধানসহ প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন। বিশ্বের গণমাধ্যমে এ অভ্যুত্থানকে রক্তপাতহীন হিসেবে চিত্রিত করা হয়। তিনি ঘোষণা করা হয় যে, সংসদীয় গণতন্ত্র বার্মার জন্য উপযুক্ত নয়। নতুন সরকার সাংবিধানিক কার্যক্রম স্থগিত করে ও আইনসভা ভেঙ্গে দেয়।
 
জুলাই, ১৯৬২ সালে র‌্যাঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঙ্গা শুরুর পরিপ্রেক্ষিতে সেনা মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। প্রতিবাদকারীদের প্রতি নির্বিচারে গোলাবর্ষিত হয় ও ছাত্র সংগঠনের ভবন গুড়িয়ে দেয়া হয়।<ref name="Boudreau">Boudreau, Vincent (2004) ''Resisting Dictatorship: Repression and Protest in Southeast Asia'' Cambridge University Press, Cambridge, U.K., [http://books.google.com/books?id=ZpoCNHhUe7QC&pg=PA37 pp. 37–39, 50-51], ISBN 0-521-83989-0</ref> পাঁচ মিনিটের বেতার ভাষণে নে উইন বলেন যে, ‘যদি প্রতিবাদকারীরা আমাদেরকে মুখোমুখি হতে বলে, তাহলে আমরা তরবারীর বিপরীতে তরবারী দিয়ে মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।’<ref>The [[Burmese language|Burmese]] phrase is "dah go dah gyin, hlan go hlan gyin". Two different English translations of the speech can be read on the front page of the Rangoon ''Nation'' and the Rangoon ''Guardian'' of 9 July 1962. Part of ''The Nation''<nowiki>'</nowiki>s headline of 9 July 1962 read 'General Ne Win States Give Us Time to Work: Obstructionists are Warned: Will Fight Sword with Sword').</ref> ঐ ভাষণের এক সপ্তাহের মধ্যে ১৩ জুলাই, ১৯৬২ তারিখে নিজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য [[অস্ট্রিয়া]], [[সুইজারল্যান্ড]] ও [[যুক্তরাজ্য]] সফরে যান।<ref>News items of Ne Win's trip to these countries for 'medical check up' can be found in ''[[The Guardian]]'' and ''[[The Nation]]'' of 14 July 1962</ref> সেপ্টেম্বর, ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত দুই বছরেরও অধিক সময় দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখা হয়েছিল।
৬৫ নং লাইন:
ক্ষমতায় আরোহণের পর বেশকিছু পুণর্গঠনে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৪ সালে বার্মা সোশ্যালিস্ট প্রোগ্রাম পার্টি (বিএসপিপি) প্রতিষ্ঠা করেন ও একমাত্র বৈধ দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। ২ মার্চ, ১৯৭৪ তারিখে বিপ্লবী কাউন্সিল বিলুপ্ত করাসহ বার্মাকে বার্মা সমাজতন্ত্রী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেন। নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সিন উইনকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। ৯ নভেম্বর, ১৯৮১ তাহলে নে উইন পদত্যাগ করেন ও তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল [[San Yu|সান ইউ]]। কিন্তু দলীয় প্রধান হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রভাববিস্তার করেন ও ২৩ জুলাই, ১৯৮৮ তারিখে দল থেকে বের হন।
 
== প্রভাব বিস্তার ==
== প্রভাববিস্তার ==
বিএসপিপি দলীয় কংগ্রেসে বিদায়ী ভাষণে বলেন, ‘যদি নৈরাজ্য চলতে থাকে তাহলে সেনাবাহিনীকে ডাকা হবে এবং আমি এখান থেকে ঘোষণা করছি যে, সেনাদের শূন্যে গুলি ছোড়ার নিয়ম নেই। তাঁরা সরাসরি আঘাত করেন।’<ref>The English translation of Ne Win's speech can be found in 24 July 1988 issues of the Rangoon ''Guardian'' and ''The Working People's Daily''.</ref> ৮ থেকে ১২ আগস্ট ও ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ চলতে থাকে। ফলশ্রুতিতে ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৮ তারিখে জেনারেল [[Saw Maung|স মংয়ের]] নেতৃত্বে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে, অবসরে থাকলেও পর্দার অন্তরালে থেকে এ অভ্যুত্থানে তাঁর ব্যাপক ভূমিকা ছিল।<ref>{{cite book | last=Stewart | first=Whitney | year=1997 | title=Aung San Suu Kyi: Fearless Voice of Burma | isbn=0-8225-4931-X }}</ref>
 
৮২ নং লাইন:
* [[রোহিঙ্গা]]
* [[থান শি]]
* [[অং সান স চি]]
* [[ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসি]]
 
৯৫ ⟶ ৯৬ নং লাইন:
|-
{{s-bef|before=[[ইউ নু]]}}
{{s-ttl|title=[[Pবার্মারবার্মার প্রধানমন্ত্রী]]|years=১৯৬২-১৯৬৪}}
{{s-aft|after=[[Sein Win (Brigadier General)|শিন উইন]]}}
|-
{{s-bef|before=স্বয়ং রিভল্যুশনারী কাউন্সিলের স্বয়ং সভাপতি}}
{{s-ttl|title=[[President of Burma|বার্মার রাষ্ট্রপতি]]|years=১৯৭৪-১৯৮১}}
{{s-aft|after=[[সান উ]]}}