পাথুরিয়াঘাটা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox settlement <!-- Basic info ----------------> |name =পাথুরিয়াঘাটা<!-- at least one of the first two fields...
 
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে
১০৩ নং লাইন:
[[File:Pathuriaghata Map2.jpg|right|150px]]
[[File:Kolkata Metroploitan Institution.jpg|thumb|right|150px|মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন, বড়বাজার শাখা]]
'''পাথুরিয়াঘাটা''' হল [[ভারত|ভারতের]] [[পশ্চিমবঙ্গ]] রাজ্যের রাজধানী [[কলকাতা]] শহরের উত্তরাংশের একটি অঞ্চল। এটি প্রাচীন [[সুতানুটি|সুতানুটির]] একটি জনবসতি এলাকা ছিল। এক সময় ধনী বাঙালিরা এই অঞ্চলে বাস করতেন। বর্তমানে এটি মূলত [[মাড়োয়ারি]] অধ্যুষিত অঞ্চল। এই অঞ্চলে ব্রিটিশ আমলের অনেক বাড়ি দেখা যায়।
 
==ঠাকুর পরিবার==
পাথুরিয়াঘাটা অঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন ও প্রভাবশালী বাসিন্দা ছিলেন [[ঠাকুর পরিবার|ঠাকুর পরিবারের]] সদস্যরা। ১৮শ শতাব্দীতে ইংরেজরা [[গোবিন্দপুর, কলকাতা|গোবিন্দপুর]] অঞ্চলে [[ফোর্ট উইলিয়াম, কলকাতা|ফোর্ট উইলিয়াম]] দূর্গ নির্মাণের কাজ শুরু করলে জয়রাম ঠাকুর সেখান থেকে পাথুরিয়াঘাটায় চলে আসেন। তিনি ব্যবসা ও [[চন্দননগর|চন্দনগরের]] ফরাসি সরকারের দেওয়ানের কাজ করে প্রভূত অর্থ উপার্জন করেছিলেন। তাঁর পুত্র দর্পনারায়ণ ঠাকুরকে (১৭৩১-১৭৯৩) অনেকে ঠাকুর পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মনে করেন। কলকাতা পৌরসংস্থার ২১ নং ওয়ার্ডে মহর্ষি দেবেন্দ্র রোড ও যদুলাল মল্লিক রোডের মধ্যবর্তী এলাকায় তাঁর নামে একটি রাস্তা আছে। এটি [[জোড়াবাগান]] থানার অধীনে পড়ে।<ref>[[H.E.A.Cotton|Cotton, H.E.A.]], ''Calcutta Old and New'', 1909/1980, p. 293, General Printers and Publishers Pvt. Ltd.</ref><ref>Map no. 13, Detail Maps of 141 Wards of Kolkata, D.R.Publication and Sales Concern, 66 College Street, Kolkata – 700073</ref> ঠাকুর পরিবারের সদস্যরা পাথুরিয়াঘাটা, [[জোড়াসাঁকো]], কয়লাহাটা ও চোরবাগানে বাড়ি করেছিলেন। এই সবকটিই উত্তর কলকাতায় অবস্থিত।<ref> Deb, Chitra, ''Jorasanko and the Thakur Family'', in ''Calcutta, the Living City'', Vol I, edited by Sukanta Chaudhuri, p 65, Oxford University Press, ISBN 0-19-563696-1</ref>
পাথুরিয়াঘাটা ঠাকুর পরিবারের কয়েক জন বিশিষ্ট সদস্য হলেন [[হরকুমার ঠাকুর]] (১৭৯৮-১৮৫৮), [[প্রসন্নকুমার ঠাকুর]] (১৮০১-১৮৮৬), [[যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর]] (১৮৩১-১৯০৮) ও [[প্রদ্যোৎকুমার ঠাকুর]] (১৯৭৩-১৯৪২)। নাপেহাটায় প্রসন্নকুমার ঠাকুর একটি বিরাট বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। এই বাড়িটি লোকমুখে ‘টেগোল প্যালেস’ নামে পরিচিত ছিল। বর্তমানে এই বাড়িটির ঠিকানা ১৩, ১৩এ ও ১৩বি প্রসন্নকুমার ঠাকুর স্ট্রিট। ২৬ নং প্রসন্নকুমার স্ট্রিটের ‘টেগোর কাসল’ বাড়িটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যতীন্দ্রমোহন ঠাকুর এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। তিনি ভারতীয় শৈলীর পরিবর্তে ইংরেজ দূর্গের আকারে এই বাড়িটি নির্মাণ করেন। বাড়িটিতে ইংল্যান্ডের [[উইন্ডসর কাসল|উইন্ডসর কাসলের]] আদলে {{convert|100|ft|m}} উঁচু একটি কেন্দ্রীয় মিনার রয়েছে। ইংল্যান্ডের [[বিগ বেন]] টাওয়ারের ঘড়ির মতো একটি ঘড়িও তিনি আমদানি করেছিলেন। এমনকি এই দূর্গে [[ইউনিয়ন ফ্ল্যাগ|ইউনিয়ন জ্যাক]] ওড়ানোর অনুমতিও তিনি আদায় করেছিলেন। ১৯৫৪ সালে এস. বি. হাউস অ্যান্ড ল্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডের হরিদাস মুন্ধ্রা এই বাড়িটি অধিগ্রহণ করেন। তারপর থেকে এই বাড়িটিতে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে।<ref>Bandopadhyay, Debashis, ''Bonedi Kolkatar Gharbari'', {{Bn icon}}, Second impression 2002, pp. 113-6, Ananda Publishers, ISBN 81-7756-158-8</ref>
 
===বঙ্গ নাট্যালয়===
১১৯ নং লাইন:
==মল্লিক পরিবার==
প্রসন্নকুমার ঠাকুর স্ট্রিটে টেগোর কাসলের কাছেই ছিল মল্লিক পরিবারের বাড়ি। এই বাড়ির কাছেই ১৮৮৭ সালে স্থাপিত হয়েছিল মেট্রোপলিটান স্কুলের বড়বাজার শাখা।<ref>{{cite web | url = http://www.telegraphindia.com/1070408/asp/calcutta/story_7578552.asp
|title = ''Character Assassination'' | accessdate = 2007-07-15 | last = Das | first = Soumitra | work = | publisher = The Telegraph, 8 April 2007}}</ref> মল্লিক পরিবারের যদুলাল মল্লিক (১৮৪৪-১৮৯৪) সমাজ ও আইন ক্ষেত্রে বহু অবদান রেখেছিলেন। তিনি [[ওরিয়েন্টাল সেমিনারি]] থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এই স্কুলার উন্নতিকল্পে তিনি প্রভূত অর্থ দান করেছিলেন।<ref> Sengupta, Subodh Chandra and Bose, Anjali (editors), 1976/1998, ''Sansad Bangali Charitabhidhan'' (Biographical dictionary) Vol I, {{Bn icon}}, p. 437, ISBN 81-85626-65-0</ref> পাথুরিয়াঘাটায় যদুলাল মল্লিকের নামে একটি রাস্তাও আছে। তাঁর পুত্র মন্মথনাথ মল্লিক [[আলিপুর পশুশালা]] থেকে দুটি [[জেব্রা]] এনেছিলেন কলকাতার রাস্তায় তাঁর গাড়ি টানার জন্য। তাঁর নয়টি গাড়ি ও প্রচুর ঘোড়া ছিল। যদুলাল মল্লিকের পৌত্র প্রদ্যুম্নকুমার মল্লিকের ৩৫টি গাড়ি ছিল। এর মধ্যে ১০টি ছিল রোলস রয়েস। মল্লিক পরিবার দাতব্য ক্ষেত্রেও প্রচুর দানধ্যান করেছিল।<ref>Bandopadhyay, Debashis, pp. 19-21, Ananda Publishers, ISBN 81-7756-158-8</ref>
 
==ঘোষ পরিবার==
পাথুরিয়াঘাটায় ঘোষ পরিবারের বাস [[ওয়ারেন হেস্টিংস|ওয়ারেন হেস্টিংসের]] সময় থেকে। কথিত আছে হেস্টিংস ও তাঁর পত্নী ঘোষ বাড়িতে এসেছিলেন।<ref>{{cite web
|url = http://www.clayimage.co.uk/3Nov.html | title = Clay Images of West Bengal | accessdate = 2007-07-15 | last = | first = | work = Calcutta Notes | publisher = clayimage.co.uk}}</ref> হেস্টিংসের করণিক রামলোচন ঘোষের নাতি খেলাতচন্দ্র ঘোষ (১৮২৯-১৮৭৮) ৪৬ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট থেকে পরিবারের বাস উঠিয়ে নিয়ে যান ৪৭ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের নতুন বাড়িতে। সংগীত ও দাতব্য ক্ষেত্রে এই পরিবারের বিশেষ অবদান আছে। ২৪ নং ওয়ার্ডে খেলাতচন্দ্র ঘোষের নামে একটি রাস্তাও আছে। ৪৭ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের ঘোষ পরিবারের উত্তরসূরিরা হলেন খেলাতচন্দ্র ঘোষ, রমানাথ ঘোষ, সিদ্ধেশ্বর ঘোষ (যিনি লেখক [[বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়|বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে]] অর্থসাহায্য করেন) ও তাঁর ভাই অক্ষয় ঘোষ। বর্তমানে এই বাড়িতে প্রদীপ ঘোষের পৃষ্ঠপোষকতায় সারা বাংলা সংগীত সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। <ref>Bandopadhyay, Debashis, pp. 30-1&nbsp;30–1, Ananda Publishers, ISBN 81-7756-158-8</ref
 
ঘোষ পরিবারের ৪৬ পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটের বাড়িতেও ১৯৩৭ সালে সারা বাংলা সংগীত সম্মেলন শুরু হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত সেই সময় বেশ জনপ্রিয় ছিল। শুধুমাত্র বাইজিরাই তখন প্রকাশ্যে গান গাইতেন। [[মন্মথনাথ ঘোষ]] (১৯০৮-১৯৮৩) প্রথম পৃষ্ঠপোষকতা করে হিরাবাই বারোদেকর নামে এক বিশিষ্ট সংগীতশিল্পীকে তাঁর বাড়িতে ডেকে আনেন। সেতার বাদক [[রবি শংকর]] ও তাঁর গুরু [[আলাউদ্দিন খান|আলাউদ্দিন খানও]] এখানে সংগীত সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই বাড়িতে এখনও মহাসমারোহে দুর্গাপূজা হয়ে থাকে।<ref>{{cite web
১৪১ নং লাইন:
{{Kolkata neighbourhoods}}
 
[[Categoryবিষয়শ্রেণী:কলকাতার অঞ্চল]]