সৈয়দ মুহাম্মদ ইসহাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
বিশ্বকোষীয় তথ্যই কেবল অন্তর্ভূক্ত করা হবে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
মান-সম্মত অবয়বে আনয়ন এবং অপ্রয়োজনীয় অংশ অপসারন
২২ নং লাইন:
}}
 
মাওলানা '''মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক''' ([[১৯১৫]] - [[১৯৭৭]]) ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত পীর ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব। তিনি [[পীর সাহেব চরমোনাই]] নামে পরিচিত এবং বর্তমানে বহুল পরিচিত চরমোনাইয়ের চিশতিয়া সাবিরিয়া ইমদাদিয়া রশিদিয়া তরিকার প্রবর্তক ও প্রথম পীর। এ তরিকার দ্বিতীয় পীর ও তাঁরইতার সন্তান [[ফজলুল করীম|মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম রহ.করীমের]]-এর মৃত্যুর পর তিনি অনুসারীদের মাঝে 'দাদা হুজুর' নামে অভিহিত হন।
 
== জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি ==
সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক ১৯১৫ সালে ( হিজরী ১৩৩৩; বঙ্গাব্দ ১৩১২ বা) বরিশাল শহরের নিকটস্থ, [[কীর্তনখোলা নদী|কীর্তনখোলা নদীর]] পূর্বপাড়ে অবস্থিত পশুরীকাঠি গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন।<ref name="মাই">মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০</ref><ref name="হার">হাফেজ মাওলানা হাবীবুর রহমান, '''''আমরা যাদের উত্তরসূরী (তাযকেরায়ে মাশায়েখে দেওবন্দ)''''', আল-কাওসার প্রকাশনী, ঢাকা, বাংলাদেশ (সংশোধিত সংস্করণ: ২০০৬ খ্রি.), খ. ১, পৃ. ২৩৪.</ref> তার পিতার নাম সাইয়েদ আমজাদ আলী।<ref name="মাই" />
 
== শিক্ষা জীবন ==
পীর সাহেব চরমোনাই (রহ.)তিনি কুরআন-হাদীসের প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন তাঁরইতার চাচাত মামা মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ আবদুল জাব্বার ওরফে আহসানুল্লাহ (রহ.)-এরজাব্বারের কাছে, যাঁরযার নামানুসারে চরমোনাইয়ের অপর নাম আহসানাবাদ রাখা হয়েছে। এরপর তিনি উজানীর সুবিখ্যাত বুযুর্গ আলেমে দীন [[কারীক্বারী মুহাম্মদ ইবরাহীম]] (রহ.)-এরইবরাহীমের কাছে কিরাআত শাস্ত্রসহক্বিরআত-সহ কুরআন শরীফ শিক্ষা লাভ করেন। তাঁরতার কাছে সাত কিরাআতক্বিরআত সমাপ্ত করে তিনি ভোলা দারুল হাদীস আলিয়া মাদরাসা থেকে জামাআতে উলা পাশ করেন।<ref name="মাই" /> অতঃপর তিনি ভারতের বিখ্যাত ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন।{{cn}}
 
অতঃপর তিনি ভারতের বিখ্যাত ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র [[দারুল উলুম দেওবন্দ]] থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন।{{cn}}
 
== আধ্যাত্মিক দীক্ষা ও খিলাফত লাভ ==
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করে পীর সাহেব (রহ.) সুবিখ্যাততিনি [[কারীক্বারী মুহাম্মদ ইবরাহীম]] (রহ.)-এরইবরাহীমের কাছে আধ্যাত্মিক শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন,করে তিনি তাঁরতার কাছ থেকে তরিকার খিলাফত লাভ করেন।<<ref>১. মাওলানাname="মাই" মুহাম্মদ/><ref ইউসুফname="হার" আলী খান, '''''চরমোনাইর মরহুম পীর সৈয়দ মোঃ এছহাক সাহেব কেবলার (রঃ) সংক্ষিপ্ত জীবনী''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ১২-১৩3 ও ২. হাফেজ মাওলানা হাবীবুর রহমান, '''''আমরা যাদের উত্তরসূরী (তাযকেরায়ে মাশায়েখে দেওবন্দ)''''', আল-কাওসার প্রকাশনী, ঢাকা, বাংলাদেশ (সংশোধিত সংক্ষরণ: ২০০৬খ্রি.), খ. ১, পৃ. ২৩৪.</ref>
 
== পারিবারিক জীবন ==
ইসহাকের তিন স্ত্রী ছিলো; তারা হলেন: সাইয়েদা রাবেয়া খাতুন (২ পুত্র ৩ কন্যা; [[ফজলুল করীম|মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ফজলুল করীম]] তাদের মধ্যে অন্যতম), সাইয়েদা (১ পুত্র ৩ কন্যা) এবং আমেনা বেগম ৩ পুত্র ১ কন্যা)<ref name="মাই" />
 
== অনুসারীবৃন্দ ==
তার অসংখ্য ানুসারীঅনুসারী রয়েছে; তাদের মধ্যে: সাইয়েদ মুহাম্মদমাওলানা ফজলুল করীম, মুহাম্মদ আবুল বাশার (শাহতলীর পীর), মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম সিদ্দিকী (মানিকগঞ্জের পীর) প্রমুখ প্রধান।<ref name="মাই" />
 
== রচনাবলি ==
সাইয়েদ ইসহাক বিভিন্ন বিষয়ে ২৭টি পুস্তক রচনা করেছেন; এগুলো হলোঃ<ref>ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রহ.-এর রচনাবলী (৩ খণ্ড), আল-এছহাক পাবলিকেশন্স, ঢাকা, বাংলাদেশ (প্রকাশকাল: ২০০৭ খ্রি.)</ref>
* আমপারার তাফসির; * ঊনত্রিশ পারার তাফসির; * সুরা ইয়াসিন শরিফের তাফসির; * সুরা আর-রহমান শরিফের তাফসির; * বেহেস্তের সুখ; * দোযখের দুঃখ; * আশেকে মাশুক; * ভেদে মারিফত; * মারিফতে হক বা তালিমে জিকর; * হজরত বড় কারী ইবরাহিম সাহেবের জীবনী; * খাস পর্দা বা স্বামীর খেদমত; * নামাজ শিক্ষা; * ধূম বিনাশ বা দিল পাক; * তাবিজের কিতাব; * জিহাদে ইসলাম; * পীর হইয়া আবার কাফির হয় কেন?; * হাদিয়াতুল ইসলামিয়া (ক্যালেন্ডার); * ফরিদপুরে বিরাট বহস; * নোয়াখালীর বিরাট বহস; * নুজহাতুল কারীর সরল ব্যাখ্যা; * এশকে দেওয়ান বা প্রেমের গজল; * রাহে জান্নাত বা ১১৬ প্রকার দোয়া; * শর্ষিনার সওয়াল চরমোনাইয়ের জওয়াব; * কবরের আজাব - মস্তবড় আজাব দেখি না কেন?; * জুমার নামাজ; * জিকরে জলি বা ওয়াজ হালের অকাট্য দলিল এবং * যুক্তিপূর্ণ ওয়াজ বা মাওলাপাকের অনুসন্ধান।
 
* আমপারার তাফসির
* ঊনত্রিশ পারার তাফসির
* সুরা ইয়াসিন শরিফের তাফসির
* সুরা আর-রহমান শরিফের তাফসির
* বেহেস্তের সুখ
* দোযখের দুঃখ
* আশেকে মাশুক
* ভেদে মারিফত
* মারিফতে হক বা তালিমে জিকর
* হজরত বড় কারী ইবরাহিম সাহেবের জীবনী
* খাস পর্দা বা স্বামীর খেদমত
* নামাজ শিক্ষা
* ধূম বিনাশ বা দিল পাক
* তাবিজের কিতাব
* জিহাদে ইসলাম
* পীর হইয়া আবার কাফির হয় কেন?
* হাদিয়াতুল ইসলামিয়া (ক্যালেন্ডার)
* ফরিদপুরে বিরাট বহস
* নোয়াখালীর বিরাট বহস
* নুজহাতুল কারীর সরল ব্যাখ্যা
* এশকে দেওয়ান বা প্রেমের গজল
* রাহে জান্নাত বা ১১৬ প্রকার দোয়া
* শর্ষিনার সওয়াল চরমোনাইয়ের জওয়াব
* কবরের আজাব - মস্তবড় আজাব দেখি না কেন?
* জুমার নামাজ
* জিকরে জলি বা ওয়াজ হালের অকাট্য দলিল
* যুক্তিপূর্ণ ওয়াজ বা মাওলাপাকের অনুসন্ধান।<ref>ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ এছহাক রহ.-এর রচনাবলী (৩ খণ্ড), আল-এছহাক পাবলিকেশন্স, ঢাকা, বাংলাদেশ (প্রকাশকাল: ২০০৭ খ্রি.)</ref>
 
== মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা ==
মাওলানা সাইয়েদ মুহাম্মদ ইসহাক (রহ.) [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতার]] সপক্ষে ছিলেন। তিনি স্থানীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ৯ নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিল ও ক্যাপ্টেন আবদুল লতীফেরলতীফ রীতিমতোএবং যাতায়াত ছিল মরহুম পীর সাহেব মাওলানা সাইয়েদ ইসহাক (রহ.)-এর দরবারে। এ ছাড়াওআরও অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা তাঁরতার কাছে আসতেন, কথা বলতেন, পরামর্শ ও যুদ্ধে সাফল্য লাভের জন্যে দুআ নিতেন।{{cn }}
 
তাঁরতার প্রতিষ্ঠিত চরমোনাই জামিয়া রশিদিয়া আহসনাবাদ আলিয়ায়েই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ছিল।ছিল; এ [[মাদ্রাসা|মাদরাসায়]] তাঁরাতারা থাকতেন, যুদ্ধ থেকে ফিরে মাদরাসায় অবস্থান নিতেন।{{cn}} মাদরাসার পক্ষ থেকে অন্তত দুইটি বড় বড় রুম মুক্তিযুদ্ধাদেরমুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।হয়েছিল এবং মাদরাসার পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধাদেরমুক্তিযোদ্ধাদের আপ্যায়নে ব্যবস্থা ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধেরমুক্তিযুদ্ধের প্রায় নয় মাস বরিশালের বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তারা এই মাসরাসায় সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছিলেন।<ref>শাকের হোসাইন শিবলি, '''''আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে''''', আল-এছহাক প্রকাশনী, বাংলাবাজার, ঢাকা-১০০০, পৃ. ৩৩৩-৩৩৪.</ref>
 
== মৃত্যু ==