নীলনদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
প্রকৃত ইতিহাস এটি। নীল নদ যা হযরত মুসা (আ) এর যুগ থেকে প্রসিদ্ধ লাভ করে।
182.48.71.154-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে দীপংকর চক্রবর্ত্তী-এর সম্প...
১৪ নং লাইন:
'''নীল নদ''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]: النيل ''আন-নীল'', মিশরীয় আরবি উপভাষায় ''el neil''; [[প্রাচীন মিশরীয় ভাষা]] ''ইতেরু''), [[আফ্রিকা]] মহাদেশের একটি নদী। এটি বিশ্বের দীর্ঘতম নদী। এর দুইটি উপনদী রয়েছে, [[শ্বেত নীল নদ]] ও [[নীলাভ নীল নদ]]। এর মধ্যে শ্বেত নীল নদ দীর্ঘতর। শ্বেত নীল নদ আফ্রিকার মধ্যভাগের হ্রদ অঞ্চল হতে উৎপন্ন হয়েছে। এর সর্বদক্ষিণের উৎস হল দক্ষিণ [[রুয়ান্ডা|রুয়ান্ডাতে]] {{coor dms|2|16|55.92|S|29|19|52.32|E|}}, এবং এটি এখান থেকে উত্তর দিকে [[তাঞ্জানিয়া]], [[লেক ভিক্টোরিয়া]], [[উগান্ডা]], ও দক্ষিণ [[সুদান|সুদানের]] মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। নীলাভ নীল নদ [[ইথিওপিয়া|ইথিওপিয়ার]] [[তানা হ্রদ]] হতে উৎপন্ন হয়ে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে সুদানে প্রবেশ করেছে। দুইটি উপনদী সুদানের রাজধানী [[খার্তুম|খার্তুমের]] নিকটে মিলিত হয়েছে।
 
নীলের উত্তরাংশ সুদানে শুরু হয়ে মিশরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত, প্রায় পুরোটাই মরুভূমির মধ্য দিয়ে। মিশরের সভ্যতা প্রাচীন কাল থেকেই নীলের উপর নির্ভরশীল। মিশরের জন্সংখার অধিকাংশ এবং বেশিরভাগ শহরের অবস্থান আসওয়ানের উত্তরে নীল নদের উপত্যকায়। প্রাচীন মিশরের প্রায় সমস্ত সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও এর তীরেই অবস্থিত। বিশাল ব-দ্বীপ সৃষ্টি করে নীল নদ [[ভূমধ্যসাগর|ভূমধ্যসাগরে]] গিয়ে মিশেছে।
নীল নদের নিকট ওমর (রাঃ) এর চিঠি ..
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন তার প্রেরিত পুরুষ নবী-রাসূলদের অনেক মোজেজা দান করেছিলেন। তারা আল্লাহর রহমতে অনেক অসম্ভব কাজকে সম্ভব করতে পারতেন তাদের মোজেজা শক্তির দ্বারা। এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা তার অনেক নেক বান্দার দ্বারা অনেক আশ্চর্য শক্তি প্রদর্শন করিয়েছেন। তিনি তার নেক বান্দার দোয়াকে কবুল করেছেন চুম্বকের মতো। এমন অনেক ঘটনা হয়তো আমরা অনেকেই জানি। আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় তেমনই একটি সত্য ঘটনা।
মিশরকে বলা হয় নীল নদের দান। এই নীল নদের তীর ঘেঁষেই গড়ে উঠেছে আজকের আধুনিক মিশর এবং মুসলিম সভ্যতা। আজকে আমরা বছরের বারটি মাসেই নীল নদে পরিষ্কার ঝকঝকে পানি দেখতে পায়, কিন্তু শান্ত নিবিড় নীল নদ এক সময় এমন ছিল না। একসময় নীল নদে বছরের সব সময় পানি থাকতো না বরং বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে পানি থাকতো আবার নির্দিষ্ট সময়ে শুকিয়ে যেত। তাহলে এখন প্রশ্ন, নীল নদে পানি এখন বার মাসই থাকে কেন? এই নদীতে কি তাহলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে?
 
হিজরি ২০ সনে ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রাঃ) এর শাসনামলে বিখ্যাত সাহাবী হযরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) এর নেতৃত্বে সর্ব প্রথম মুসলমানরা মিশর বিজয় করেন। মিশরে তখন চলছিল প্রবল খরা। কারণ নিয়ম অনুযায়ী সেই সময়টি ছিল নীল নদের পানি শূন্য হয়ে পড়ার সময়। পানি শূন্য নীল নদ দেখে সেনাপতি আমর ইবনুল আস (রাঃ) সেখানকার অধিবাসীদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলেন নীল নদের এমন অবস্থা কেন? তারা প্রতি উত্তরে বলেছিল হে আমীর ! নীল নদে বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ম অনুসারে পানি প্রবাহিত হয় এবং বাকি সময় নীল নদ পানি শূন্য থাকে, তবে নদীকে যুবতী কন্যা উৎসর্গ করলে নদী আবার পানিতে ভরে উঠবে। তিনি বলেছিলেন সেটা কি? তারা উত্তর দিয়েছিল, নীল নদ এখন পানি শূন্য, কিন্তু এই মাসের ১৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমরা কোন এক কুমারী সুন্দরী যুবতীকে নির্বাচন করব। অতঃপর তার পিতা-মাতাকে রাজি করিয়ে তাকে সুন্দরতম অলংকারাদি ও উত্তম পোশাক পরিধান করিয়ে নীলনদে নিক্ষেপ করব। এর ফলে দেবতার আশীর্বাদে নীল নদ আবার পানিতে ভরে উঠবে। আমর ইবনুল আস (রাঃ) তাদের কথা শুনে বললেন, ইসলামে এই কাজের কোন অনুমোদন নেই। কেননা ইসলাম প্রাচীন সব জাহেলী রীতি-নীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
অতঃপর আমরের কথা মতো তারা সুন্দরী যুবতী উৎসর্গ করা থেকে বিরত থেকে পর পর তিন মাস পানির অপেক্ষায় বসে থাকলো। কিন্তু নীলনদে কোনও প্রকার পানি বৃদ্ধি পেল না। উপায় না দেখে সেখানকার অধিবাসীরা দেশত্যাগের কথা চিন্তা করতে শুরু করলো। নীল নদের এই অবস্থা দেখে আমর খলিফা ওমর (রাঃ) কে সব কিছু জানানোর সিদ্ধান্ত নিলেন এবং সকল ঘটনা লিখে তিনি খলিফাকে পত্র প্রেরণ করলেন।
আমরের পত্র পেয়ে খলিফা ওমর (রাঃ) নীল নদকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লিখে আমরের কাছে প্রেরণ করলেন এবং পত্রটি তিনি নীল নদের কাছে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দিলেন।
 
নীল নদের প্রতি লেখা ওমর (রাঃ) এর পত্রটি তার নির্দেশ মোতাবেক আমর ইবনুল আস নীল নদের তীরে গিয়ে পত্রটি নদীতে নিক্ষেপ করেন। পরদিন শনিবার সকালে মিশর বাসী অতি আশ্চর্যের সাথে লক্ষ করলো, আল্লাহ তায়ালা এক রাত্রে নীলনদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। তারপর নীল নদ চকচকে ঝকঝকে পানিতে ভরে উঠেছিল এবং আজ পর্যন্ত এক মিনিটের জন্যও নীল নদের পানি আর শুকিয়ে যায়নি।
 
খলিফা ওমর (রাঃ) নীল নদের কাছে লেখা তার পত্রে লিখেছিলেন:
 
من عبد الله عمر أمير المؤمنين إلى نيل مصر أما بعد: فان كنت تجري من قبلك ومن أمرك فلا تجر فلا حاجة لنا فيك وإن كان الله الواحد القهار هو الذي يجريك فنسأل الله أن يجريك فألقى عمرو البطاقة في النيل فجرى أفضل مما كان
 
“আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমর (রাঃ) এর পক্ষ হতে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। অতঃপর হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ হতে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ হতে আর প্রবাহিত হয়ো না। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”।
 
 
{{অসম্পূর্ণ}}