মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পরিবর্ধন করা হলো
৩২ নং লাইন:
 
== জন্ম, শিক্ষা ==
জন্ম রাজবাড়ী জেলার পাংশার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে ১৮ কার্তিক ১২৯৫-এ ([[১৮৮৮]])। পিতা পুলিশ অফিসার এনায়েতুল্লাহ চৌধুরী। পাংশা হাইস্কুল থেকে এমই এবং রাজবাড়ী [[সূর্যকুমার ইনস্টিটিউশন]] থেকে [[এন্ট্রান্স]] পাস করেন। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি ভর্তি হলেও বিএ ক্লাসে পড়ার সময় দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে পড়ায় পড়ালেখা ছাড়তে বাধ্য হন।
 
== কর্মজীবন ==
প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার সময় স্বীয় অগ্রজ মাসিক সাহিত্য পত্রিকা [['''কোহিনূর]]''' ([[১৩০৫]]-[[১৩০৮]], [[১৩১১]]-[[১৩১৩]], [[১৩১৮]]-[[১৩১৯]] ও [[১৩২২]]) সম্পাদক রওশন আলী চৌধুরী রোগাক্রান্ত হয়ে অক্ষম হয়ে পড়লে তিনি ঐ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ।[[১৯১৪]]-[[১৯১৫|১৫]] খ্রিস্টাব্দে [[চট্টগ্রাম জেলা|চট্টগ্রাম জেলার]] মিরসরাই থানার জোরওয়ারগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর রাজবাড়ী সূর্যকুমার ইনস্টিটিউশনে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। [[১৯২০]]-[[১৯২১|২১]] খ্রিস্টাব্দে পাংশা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করার সময় [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ]] ও [[খেলাফত আন্দোলন|খেলাফত আন্দোলনে]] যোগদান করেন এবং ফলস্বরূপ ব্রিটিশ সরকারের হাতে কারাদণ্ড ভোগ করেন। কারামুক্তির পর শিক্ষকতায় ইস্তফা দিয়ে কলকাতায় যান এবং মেজো ভাই আওলাদ আলী চৌধুরীর সাথে সাংবাদিকতায় যোগ দেন। তিনি [[বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির]] (৪ সেপ্টেম্বর, [[১৯১১]]) প্রতিষ্ঠাতাদের একজন ছিলেন। এ সমিতির সম্পাদক হিসেবেও কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। সমিতির মাসিক পত্র [[''সাহিত্যিক]]''-এর (১৯২৬) যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। এয়াকুব আলী চৌধুরী ও কবি গোলাম মোস্তফার যুগ্ম সম্পাদনায় এটি এক বছর যাবৎ প্রকাশিত হয়েছিল। রওশন আলী চৌধুরী ও আওলাদ আলী চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে তাঁদের পরিবারের দায়িত্ব নেন এয়াকুব আলী। শোক-দুঃখ-দারিদ্র্যে নিপতিত হয়ে মাত্র ৪৭-৪৮ বছর বয়সে ক্ষয়রোগে আক্রান্ত হন। শেষ জীবনের চার-পাঁচ বছর জীবনমৃত অবস্থায় গ্রামের বাড়িতে বাস করেন। মৃত্যুর দুই বছর আগে বঙ্গীয় সরকার মাসিক ২৫ টাকা হিসেবে সাহিত্যিক বৃত্তি মঞ্জুর করেন তাঁর জন্য।<ref>[''এয়াকুব আলী চৌধুরী অপ্রকাশিত রচনা'', সম্পাদক আমীনুর রহমান, প্রকাশক বাংলা একাডেমী, ঢাকা।</ref>
 
== সাহিত্যকৃতি ==
[[File:Eyakub Ali Chowdhury Biddapith.JPG|thumb|[[পাংশা উপজেলা|পাংশা উপজেলায়]] এয়াকুব আলী চৌধুরীর নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুল]]
বাংলা গদ্যের একজন শক্তিশালী শিল্পী ছিলেন। ইসলামি দর্শন ও সংস্কৃতি তাঁর রচনার মূল উপজীব্য। বক্তব্যের বলিষ্ঠতায়, ভাষার মাধুর্যে ও ভাবের গাম্ভীর্যে তার রচনাবলি বিশেষ মর্যাদার দাবিদার। হিন্দু-মুসলমানের সমপ্রীতিতে বিশ্বাসী। বিশ শতকের প্রথম দিকে বাঙালি মুসলমানের মাতৃভাষা বাংলা না উর্দু- এ বিতর্কে তিনি বাংলা ভাষার পক্ষাবলম্বন করেন। সুবক্তা হিসেবেও খ্যাত।
=== প্রকাশিত গ্রন্থ ===
তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩টি। ''নূরনবী'' গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের প্রশংসাবাণী সংযোজিত হয়েছে।
* ''ধর্মের কাহিনী'' ([[১৯১৪]]),
* ''নূরনবী'' ([[১৯১৮]]),
* ''শান্তিধারা'' ([[১৯১৯]]),
* ''মানব মুকুট'' ([[১৯২২]])।
এছাড়া বাংলা একাডেমী প্রকাশ করেছে ''এয়াকুব আলী চৌধুরী অপ্রকাশিত রচনা'' নামীয় একটি গ্রন্থ। সম্পাদক আমীনুর রহমান।