সূরা ক্বদর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, কোন সমস্যা?
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
পরিমার্জন
৩ নং লাইন:
কদরের এক অর্থ মাহাত্ন্য ও সম্মান। এর মাহাত্ন্য ও সম্মানের কারণে একে "লায়লাতুল-কদর" তথা মহিম্মান্বিত রাত বলা হয়। আবু বকর ওয়াররাক বলেনঃ এ রাত্রিকে লায়লাতুল-কদর বলার কারণ এই যে, আমল না করার কারণে এর পূর্বে যার কোন সম্মান ও মূল্য মহিমান্বিত থাকে না, সে এ রাত্রিতে তওবা-এস্তেগফার ও এবাদতের মাধ্যমে সম্মানিতও হয়ে যায়।
 
== ঐতিহাসিক পটভূমি ==
== শানে-নুযূল ==
ইবনে আবী হাতেম (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে আছে, [[মুহাম্মাদ|রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)]] একবার বনী-ইসরাঈলের জনৈক মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। সে এক [[হাজার]] [[মাস]] পর্যন্ত অবিরাম [[হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি|জেহাদে]]<ref name="জ়িহাদ">[http://en.wikipedia.org/wiki/Jihad জ়িহাদ], ইংরেজি উইকিপেডিয়াতে।</ref> মশগুল থাকে এবং কখনও অস্ত্র সংবরণ করেনি। মুসলমানগণ একথা শুনে বিস্মিত হলে এ সূরা কদর অবতীর্ণ হয়। এতে এ উম্মতের জন্যে শুধু এক রাত্রির ইবাদতই সে মুজাহিদের এক হাজার মাসের এবাদত অপেহ্মা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ইবনে জরীর (রহঃ) অপর একটি ঘটনা এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বনী-ইসরাঈলের জনৈক এবাদতকারী ব্যক্তি সমস্ত রাত্রি এবাদতের মশগুল থাকত ও সকাল হতেই জেহাদের জন্যে বের হয়ে যেত এবং সারাদিন জেহাদে লিপ্ত থাকত। সে এক হাজার মাস এভাবে কাটিয়ে দেয়। এর পরিপ্রেহ্মিতেই [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌ তাআলা]] সূরা-কদর নাযিল করে এ উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। এ থেকে আরও প্রতীয়মান হয় যে, শবে-কদর উম্মতে মুহাম্মদীরই বৈশিষ্ট্য।<ref name="মাযহারী.">ইবনে আবী হাতেম (রাঃ) এবং ইবনে জরীর (রহঃ), মাযহারী</ref>
 
== সমস্ত ঐশী কিতাব রমযানেই অবতীর্ণ ==
 
হযরত আবু যর গেফারী (রাঃ) বর্ণিত রেওয়ায়েতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ [[ইব্রাহিম|ইবরাহীম (আঃ)]]-এর সহীফাসমূহ ৩রা [[রমজান|রমযানে]], [[তৌরাত|তওরাতে]] ৬ই রমযানে, ইঞ্জিল ১৩ই রমযানে এবং [[যাবুর]] ১৮ই রমযানে অবতীর্ণ হয়েছে। কোরআন পাক ২০শে রমযানুল-মোয়ারকে নাযিল হয়েছে।<ref name="মাযহারী">মাযহারী</ref> [[হাদিস|হাদীসে]] আছে, শবে-কদরে [[জিবরাঈল]] [[ফেরেশতা|ফেরেশতাদের]] বিরাট এক দল নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন এবং যত নারী-পুরুষ [[নামাজ|নামায]] অথবা যিকরে মশগুল থাকে, তাদের জন্যে রহমতের দোয়া করেন। ফেরেশতাগণ শবে-কদরে সারা বছরের অবধারিত ঘটনাবলী নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে। কোন কোন তফসীরবিদ একে "সালাম্মুন" এর সাথে সম্পর্কযুক্ত করে এ অর্থ করেছেন যে, এ রাত্রিটি যাবতীয় অনিষ্ট ও বিপদাপদ থেকে শান্তিস্বরূপ।<ref name="ইবনে-কাসীর">ইবনে-কাসীর, মাযহারী</ref> শবে-কদরের এই বরকত রাত্রির কোন বিশেষ অংশে সীমিত নয়; বরং ফজরের উদয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
 
== নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান ==
== আয়াতসমূহ ==
{{কুরআন}}
 
== শানে- নুযূল ==
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
ইবনে আবী হাতেম (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে আছে, [[মুহাম্মাদ|রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)]] একবার বনী-ইসরাঈলের জনৈক মুজাহিদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। সে এক [[হাজার]] [[মাস]] পর্যন্ত অবিরাম [[হারকাত-উল-জিহাদ-আল-ইসলামি|জেহাদে]]<ref name="জ়িহাদ">[http://en.wikipedia.org/wiki/Jihad জ়িহাদ], ইংরেজি উইকিপেডিয়াতে।</ref> মশগুল থাকে এবং কখনও অস্ত্র সংবরণ করেনি। মুসলমানগণ একথা শুনে বিস্মিত হলে এ সূরা কদর অবতীর্ণ হয়। এতে এ উম্মতের জন্যে শুধু এক রাত্রির ইবাদতই সে মুজাহিদের এক হাজার মাসের এবাদত অপেহ্মা শ্রেষ্ঠ প্রতিপন্ন করা হয়েছে। ইবনে জরীর (রহঃ) অপর একটি ঘটনা এভাবে উল্লেখ করেছেন যে, বনী-ইসরাঈলের জনৈক এবাদতকারী ব্যক্তি সমস্ত রাত্রি এবাদতের মশগুল থাকত ও সকাল হতেই জেহাদের জন্যে বের হয়ে যেত এবং সারাদিন জেহাদে লিপ্ত থাকত। সে এক হাজার মাস এভাবে কাটিয়ে দেয়। এর পরিপ্রেহ্মিতেই [[আল্লাহ|আল্লাহ্‌ তাআলা]] সূরা-কদর নাযিল করে এ উম্মতের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন। এ থেকে আরও প্রতীয়মান হয় যে, শবে-কদর উম্মতে মুহাম্মদীরই বৈশিষ্ট্য।<ref name="মাযহারী.">ইবনে আবী হাতেম (রাঃ) এবং ইবনে জরীর (রহঃ), মাযহারী</ref>
: (১) আমি একে নাযিল করেছি শবে-কদরে।
: (২) শবে-কদর সম্বন্ধে আপনি কি জানেন?
: (৩) শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
: (৪) এতে প্রত্যেক কাজের জন্যে ফেরেশতাগণ ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশক্রমে।
: (৫) এটা নিরাপত্তা যা ফজরের উদয় পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
 
== ব্যাখ্যা ==
 
== বিষয়বস্তুর বিবরণ ==
'''(১)''' এখানে বলা হয়েছে, আমি কদরের রাতে কোরআন নাযিল করেছি আবার [[আল বাকারা|সূরা বাকারায়]] বলা হয়েছে, {{cquote|রমযান মাসে কোরআন নাযিল করা হয়েছে। ---- (১৮৫ আয়াত)}} এ থেকে জানা যায়, [[মুহাম্মাদ|রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)]] কাছে হেরা গূহায় যে রাতে আল্লাহর ফেরেশতা অহী নিয়ে এসেছিলেন সেটি রমযান মাসের একটি রাত। এই রাতকে এখানে কদরের রাত বলা হয়েছে। [[আদ দুখান|সূরা দুখানে]] একে মুবারক রাত বলা হয়েছে। বলা হয়েছেঃ {{cquote|অবশ্যি আমি একে একটি বরকতপূর্ণ রাতে নাযিল করেছি। ---- (৩ আয়াত)}} এই রাতে কোরআন নাযিল করার দুটি অর্থ হতে পারে। প্রথম অর্থ হচ্ছে, এই রাতে সমগ্র কোরআন অহীর ধারক ফেরেশতাদেরকে দিয়ে দেয়া হয়। অতপর অবস্থা ও ঘটনাবলী অনুযায়ী তেইশ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহর হুকুমে তার আয়াত ও সূরাগুলি রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর ওপর নাযিল করতে থাকেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) এ অর্থটি বর্ণনা করেছেন। দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে, এই রাত থেকেই কোরআন নাযিলের সূচনা হয়। এটি ইমাম শা'বীর উক্তি। এটি একটি অভ্রান্ত সত্য, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-এর এবং তঁর ইসলামী দাওয়াতের জন্য কোনো ঘটনা বা ব্যাপারে সঠিক নির্দেশ লাভের প্রয়োজন দেখা দিলে তখনই আল্লাহ কোরআনের সূরা ও আয়াতগুলি রচনা করতেন না। বরং সমগ্র বিশ্ব জাহানের সৃষ্টির পূর্বে অনাদিকালে মহান আল্লাহ পৃথিবতে মানব জাতির সৃষ্টি, তাদের মধ্যে নবী প্রেরণ, নবীদের ওপর কিতাব নাযিল, সব নবীর পরে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ)-কে পাঠানো এবং তাঁর প্রতি কোরআন নাযিল করার সমস্ত পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছিলেন। কদরের রাতে কেবলমাত্র এই পরিকল্পনার শেষ অংশের বাস্তবায়ন শুরু হয়।
 
৩৪ ⟶ ২৬ নং লাইন:
 
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
 
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.quran.gov.bd/ ডিজিটাল 'আল কোরআন'] - ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ।
* [http://www.sacred-texts.com/isl/pick/097.htm সূরা আল কদর‌], ইংরেজিতে অনুবাদ।
* [http://quraanshareef.org/index.php কোরআন শরীফ.অর্গ।]
* [http://altafsir.com/Quran.asp?SoraNo=97&Ayah=1&NewPage=0&Tajweed=1 সূরা আল কদর] at Altafsir.com
{{wikisource|The Holy Qur'an (Maulana Muhammad Ali)/97. The Majesty|আল কদর}}
* [http://www.quranexplorer.com/quran সূরা আল কদর‌] at QuranExplorer.com
 
{{প্রবেশদ্বার|কুরআন}}
{{সূরা|ক্বদর|[[আলাক্ব]]|[[বাইয়্যিনাহ]]}}
{{সূরা}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:সূরা]]