আন্দীয় সভ্যতার সমুদ্রনির্ভরতা (সম্পাদনা)
১১:০২, ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
, ৮ বছর পূর্বেবানান শুদ্ধি।
সম্পাদনা |
সন্দীপ সরকার (আলোচনা | অবদান) বানান শুদ্ধি। ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১ নং লাইন:
[[চিত্র:Peru site locations.png|thumb|300px|পেরুর মানচিত্রে [[কারাল সভ্যতা|কারাল সভ্যতার]] তিনটি বড় বড় কেন্দ্র আসপেরো, কারাল ও এল পারাইসো'র অবস্থান সূচীত হয়েছে।]]
'''আন্দীয় সভ্যতার সমুদ্রনির্ভরতা''' বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে প্রত্নতত্ত্ববিদ ও ঐতিহাসিকদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা একটি বিতর্কিত তত্ত্ব। এই তত্ত্বর মূল উপজীব্য বিষয় হল, [[দক্ষিণ আমেরিকা|দক্ষিণ আমেরিকার]] [[পেরু|পেরুতে]] সুউচ্চ [[আন্দিজ পর্বতমালা|আন্দিজ পর্বতমালার]] পশ্চিমে [[প্রশান্ত মহাসাগর|প্রশান্ত মহাসাগরের]] উপকূল বরাবর যে সুপ্রাচীন সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
মধ্য পেরুর সমুদ্রোপকূলবর্তী বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক খননস্থলে বিংশ শতাব্দীর বিভিন্ন সময়ে ব্যাপক খননকার্য চালানো হয়। এর মধ্যে সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য ছিল ১৯৭০'এর দশকে [[আসপেরো]] নামক স্থানে চালানো খননকার্য। এই খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে ''মাইকেল এডওয়ার্ড মোজলি'' প্রমুখ প্রত্নতত্ত্ববিদ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে,এই সভ্যতার মূল ভিত্তি ছিল সমুদ্রজাত খাদ্য। শস্যজাতীয় খাদ্য সিদ্ধ করার উপযোগী কোনওরকম মৃৎপাত্রের অনুপস্থিতি তাঁদের এই সিদ্ধান্তকেই আরও জোরদার করে। খনন অঞ্চলে উঁচু প্ল্যাটফর্মের উপর পাওয়া ছোট ছোট ঢিবি বা স্তূপ থেকে তাঁরা আন্দাজ করেন এগুলি আসলে প্রাণীজ খাদ্য প্রক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত উনুনজাতীয় বস্তুরই অবশেষ মাত্র।<ref name="Moseley73">Moseley, Michael E.; Gordon R. Willey (1973). "Aspero, Peru: A Reexamination of the Site and Its Implications". ''American Antiquity'' (Society for American Archaeology) 38 (4): 452–468. [http://www.jstor.org/stable/279151?origin=crossref DOI: 10.2307/279151]</ref> এর উপর ভিত্তি করেই এরপর থেকে ''আন্দীয় সভ্যতার সমুদ্রনির্ভরতা''র তত্ত্ব ঐতিহাসিক মহলে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।<ref>Moseley, Michael (1975). The Maritime Foundations of Andean Civilization. Menlo Park: Cummings. ISBN 0-8465-4800-3.</ref>
৬ নং লাইন:
তবে এই তত্ত্ব তাঁদের মধ্যে যথেষ্ট বিতর্কেরও জন্ম দেয়। কারণ সাধারণভাবে স্বীকৃত তত্ত্ব অনুযায়ী, কোনও জায়গায় সভ্যতার উত্থানের পিছনে সেখানকার মানুষের কৃষিনির্ভরতা, বিশেষ করে অন্তত একটি শস্যের ব্যাপক চাষের ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ উদ্বৃত্ত খাদ্য ব্যতীত জনঘনত্ব বৃদ্ধি ও কিছু সংখ্যক মানুষের সরাসরি খাদ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়ার বাইরে থাকার সুযোগ তৈরি হওয়া সম্ভব নয়। ফলে অপেক্ষাকৃত জটিল সমাজব্যবস্থার উদ্ভবের জন্য অন্তত একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত কৃষির উন্নতি খুবই প্রয়োজন। পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে যেখানেই স্বতন্ত্রভাবে সুপ্রাচীন সভ্যতাগুলির বিকাশ ঘটেছে, সেখানেই এই বিষয়টির সত্যতা লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু ''আন্দীয় সভ্যতার সমুদ্রনির্ভরতা''র তত্ত্ব এই স্বীকৃত তত্ত্বটিকেই একরকম চ্যালেঞ্জ করে বসে। ফলে তা ঐতিহাসিক মহলে তুমুল বিতর্কের জন্ম দেয়।
পরবর্তীকালে ঐ অঞ্চলের কাছাকাছি আরও বিভিন্ন স্থলে আরও অনেকগুলি খননস্থলে ঐ একই সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
==বিতর্ক==
|