মৌলবাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
117.58.242.163-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে Anup Sadi-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
২ নং লাইন:
{{অসম্পূর্ণ}}
 
মৌল ও বাদ শব্দ দুটির সন্ধি হচ্ছে মৌলবাদ। সংসদ বাংলা অভিধানে মৌল শব্দের অর্থ হচ্ছে, মূল সম্বন্ধীয়, মূল হতে উৎপন্ন, আদিম। আর ‘বাদ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে, মত (মতবাদ), তত্ত্ব ইত্যাদি। আভিধানিক অর্থে মৌলবাদ হচ্ছে, প্রাচীন ধর্মীয় শাস্ত্রবিধির প্রতি অন্ধ বিশ্বাস।
 
মৌলবাদী কারা? প্রধানত মৌলবাদী হচ্ছে ইহুদী এবং মুশরিক (হিন্দু) জাতি। এরপরে খ্রিষ্টানদের মধ্যে যারা প্রোটেস্ট্যান্ট রয়েছে তারা। এরা তাদের কথিত ধর্মের মৌলিক চেতনায় উজ্জীবিত ও অন্যান্য সকল ধর্মের প্রতি চরমভাবে বিদ্বেষ পোষণ করে। যেমন হিন্দুরা নিজেরাই দাবি করে তাদের ধর্ম সনাতন ধর্ম। অর্থাৎ এরা সনাতনবাদী বা মৌলবাদী। ইহুদীরাও তাদের মৌলিক বিশ্বাসগুলো খুব দৃঢ়ভাবে আকড়ে থাকে বিধায় তারা খৃষ্টানদের সাথে মেলামেশা করলেও কখনোই খৃষ্টানদের কোন তর্জ-তরীক্বা পালন করে না। এমনকি খৃষ্টানদের ক্রুশের প্রতীক টাই-ও পোশাক হিসেবে গ্রহণ করেনা। মৌলবাদীরা তাদের ধর্মে কোন প্রকার সংস্কার বা আধুনিকায়নে বিশ্বাস করেনা।
 
উইকিপিডিয়ার ভাষ্য মতে, ইউরোপ ও আমেরিকায় খৃষ্টান মৌলবাদীদের গোড়াপত্তন ঘটে উনিশ শতকে এবং বিশ শতকের শুরুর দিকে। তখন খৃষ্টানদের মধ্যে সংস্কারপন্থীদের বিরুদ্ধে খৃষ্টধর্মের মূলতত্ত্বসমূহকে সংরক্ষণের জন্য ‘ফান্ডামেন্টাল মুভমেন্ট’ নামে আন্দোলন গড়ে উঠেছিলো।
 
পক্ষান্তরে পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্পূর্ণরূপে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ মোতাবেক পরিচালিত। কোন ব্যাক্তি বা গোষ্ঠীর মনগড়া মত, বাদ (মতবাদ), তত্ত্ব, আইন ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত নয় কিংবা এসবের কোন মিশ্রণ নেই। পবিত্র দ্বীন ইসলাম আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়কালেই পরিপূর্ণ এবং পূর্ণাঙ্গ হয়ে গেছে।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “সে আমাদের দলভূক্ত নয় অর্থাৎ মুসলমান নয়, যে বানানো মতবাদের দিকে আহ্বান করে।”
 
সূতরাং পবিত্র দ্বীন ইসলামে নতুন কোন মতবাদ সম্পৃক্ত করার কোন সুযোগ নেই। এইজন্য পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে মৌলবাদের কোন স্থান নেই।
তথাপি কোন মুসলমান নামধারী যদি কেউ নিজেকে মৌলবাদী দাবী করে, কিংবা কোন মুসলিম নামধারী সংগঠন যদি ইসলামে মৌলবাদ আছে বলে দাবি করে তাহলে বুঝতে হবে ওই ব্যক্তি বা সংগঠন পথভ্রষ্ট, বিভ্রান্ত ও গোমড়া। তারা বাতিল বাহাত্তুর ফিরক্বার অন্তর্ভূক্ত।
==তথ্যসূত্র==
{{Reflist}}