গোবিন্দচরণ কর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পৃষ্ঠা তৈরি করা হলও
 
পরিবর্ধন ও তথ্যসূত্র যোগ করা হলও
৩ নং লাইন:
==সিরাজগঞ্জ খণ্ডযুদ্ধ==
[[পাবনা জেলা|পাবনা জেলার]] [[আটঘরিয়া উপজেলা|আটঘরিয়া উপজেলার]] তেলিজনা গ্রামে পলাতক বিপ্লবীদের একটি আশ্রয়-কেন্দ্রের সংবাদ পেয়ে তিনজন শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসার সেই বাড়ি ঘেরাও করে। সেই বাড়িতে [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন সমিতির]] নিকুঞ্জ পাল এবং গোবিন্দচরণ কর ছিলেন। উভয় পক্ষে গুলি চলিতে থাকে এবং উভয় পক্ষেই আহত হয়। গোবিন্দচরণ করের দেহে সাতটি গুলিবিদ্ধ হয় এবং নিকুঞ্জ পাল আহত হয়েছিলেন। গোবিন্দচরণ কর পুলিসের কাছে ধরা পড়েন এবং নিকুঞ্জ পাল পাট ক্ষেতের ভিতর দিয়ে পালাতে সক্ষম হন।<ref name="ত্রৈলোক্যনাথ">[[ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী]], ''জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম'', ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৭৩।</ref>
 
==সিরাজগঞ্জ খণ্ডযুদ্ধের মামলায় সাজা ও মুক্তি==
সিরাজগঞ্জ খণ্ডযুদ্ধের মামলায় গোবিন্দচরণ করের ৮ বছর দ্বীপান্তর দণ্ড হয়। তাঁর বুকের ও হাতের মধ্যে প্রবিষ্ট গুলি বের না করেই তাঁকে [[আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ|আন্দামান]] [[সেলুলার জেল|সেলুলার জেলে]] পাঠানো হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৯২০ সনে মুক্তি পান এবং পুনরায় বিপ্লবী কর্মে লিপ্ত হন। যোগেষ চ্যাটার্জি গ্রেপ্তার হবার পর ১৯২৫ সনে বাংলা ও [[উত্তরপ্রদেশ|উত্তরপ্রদেশে]] যোগাযোগ রাখার জন্য দলের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশে আসেন। [[কাকোরি বিপ্লব|কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলায়]] তিনি ধরা পড়েন এবং বিচারে ১০ বছরের দ্বীপান্তরিত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। মুক্তিলাভের পর কলকাতায় বাস করছিলেন। এসময় ঢাকায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আরম্ভ হলে বিমানযোগে ঢাকা যাত্রা করেন। বিমানটি সেখানে অবতরণমাত্র তিনি আক্রান্ত হন। মোট ২২টি ছুরিকাঘাত হলেও কোনোরকমে তখনকার মতো প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ হননি। কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।<ref name="সংসদ"/>
 
==তথ্যসূত্র==