অর্জুন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
১৩ নং লাইন:
দ্যূতক্রীড়ায় পরাজিত হয়ে পাণ্ডবরা যখন বনবাসে গিয়েছিলেন, তখন যুধিষ্ঠিরের আদেশে দিব্যাস্ত্রলাভের জন্য [[অর্জুন]] ইন্দ্রলোকে যান। [[ইন্দ্র]] তাঁকে মহাদেবের আরাধনা করতে বলেন। আর তাই [[অর্জুন]] মহাদেবের কাছ থেকে তার পাশুপত অস্ত্র লাভ করেন। এরপর [[ইন্দ্র]] নিজেও অর্জুনকে নানাবিধ দিব্যাস্ত্রে শিক্ষা দেন। ইন্দ্রের নির্দেশে ইন্দ্রসখা চিত্রসেন অর্জুনকে গীত ও নৃত্যে পারদর্শী করেন। সেইখানে নৃত্যরতা অপ্সরাদের মধ্যে উর্বশীর দিকে অর্জুন বারংবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করছেন দেখে, ইন্দ্র উর্বশীকে অর্জুনের কাছে পাঠিয়ে দিলেন। অর্জুন কামনা বসে তার দিকে তাকান নি, উর্বশীকে পুরু বংশের জননী হিসেবে দেখছিলেন। কিন্তু অর্জুন তাকে প্রত্যাখ্যান করায় উর্বশী অপমানিত হয়ে অর্জুনকে অভিশাপ দিলেন যে, অর্জুনকে নর্তকরূপে স্ত্রীলোকদের মধ্যে নপুংশক হয়ে থাকবেন। উর্বশীর এই অভিশাপ পাণ্ডবরা যখন বিরাটরাজের সভায় অজ্ঞাতবাস করছিলেন,তখন খুব কাজে লেগেছিল। সেখানে অর্জুন বৃহন্নলা সেজে বিরাটরাজের কন্যাকে নৃত্য, গীত ইত্যাদি শিক্ষা দিয়েছেন। <ref>দ্যূতক্রীড়া</ref>
==কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ==
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে [[অর্জুন]] তার রথের সারথি নিয়োগ করেন তার মিত্র [[কৃষ্ণ]] কে। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে [[অর্জুন]] কৌরবদের অনেক সেনাকে হত্যা করেন। তার হাতে কৌরবদের সেনাপতি [[ভীষ্ম]] কে শরশয্যায় নিপাতিত করেছেন। অবশ্য তার জন্য তাকে [[শিখণ্ডী]]র সাহায্য নিতে হয়েছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয়ের অন্যতম কারণ হল অর্জুনের রণনৈপুণ্য। তাছাড়া [[অর্জুন]] ভগদত্ত, [[জয়দ্রথ]], [[কর্ণ]]কে তিনি বধ করেছেন। কিন্তু ভীষ্মকে শরশয্যায় নিপাতিত করতে তাঁকে শিখণ্ডীকে সামনে রাখতে হয়েছে। এই অন্যায় যুদ্ধের জন্য বসু দেবতাগণ অর্জুনকে নরকবাসের অভিশাপ দিয়েছিলেন।
 
==শেষ জীবন ও মৃত্যু==