সিলেটি ভাষা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৫ নং লাইন:
|iso2=inc|iso3=syl}}
 
'''সিলেটি ভাষা''' (''ছিলটি'') [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] উত্তর পূর্বাঞ্চলের [[সিলেট]] অঞ্চলে প্রচলিত [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষার]] একটি আঞ্চলিক রূপ। সিলেটি পূর্বাঞ্চলীয় আঞ্চলিক বাংলা হওয়ায় এবং বাংলা ভাষার মূল রীতির ভিত্তি নদীয়া তথা পশ্চিমাঞ্চলীয় আঞ্চলিক বাংলা হওয়ায়, বাংলা ভাষার মূল রীতির সাথে এর যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায় ।যায়।{{cn}} এছাড়া [[ভারত|ভারতের]] অন্তর্ভুক্ত [[অসম]] রাজ্যের দক্ষিণে [[শিলচর]] এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ এই ভাষায় কথা বলে।
{{ব্রিটিশ বাংলাদেশী}}
 
== বর্ণমালা ==
সিলেটে প্রচীনকাল হতে বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মত বাংলা লিপিতে লেখা হলেও মধ্যযুগে ইসলামের আগ্রমনের পর বাংলার পাশাপাশি সিলেটি [[নাগরী লিপি|নাগরী লিপি]] (ছিলটি নাম: ''ছিলটি নাগরী'') প্রচলিত হয় ।হয়। তবে বর্তমানে নাগরী লিপি তেমন চোখে পড়েনা, লেখার জন্য এখন শুধো [[বাংলা]] বর্ণমালাই ব্যবহৃত হয়। ভারতের [[বিহার]] রাজ্যের কৈথী লিপির সাথে সিলেটি নাগরী লিপির সম্পর্ক রয়েছে। যদিও এর প্রকৃত উৎপত্তি সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। তবে সর্বপ্রাচীণ খোঁজ পাওয়া পাণ্ডুলিপিটি হয় [[১৫৪৯]] অথবা [[১৭৭৪]] খ্রিস্টাব্দের (যদিও পাণ্ডুলিপিতে তারিখ লিপিবদ্ধ ছিল, কিন্তু লেখা থেকে তা পরিষ্কার নয়।)
 
নাগরী লিপিতে ৩২টি অক্ষর বা বর্ণ রয়েছে। এর মধ্যে স্বরবর্ণ রয়েছে ৫টি (অ ই ঈ উ ঊ)।
 
সিলেটিরা মূলত বাংলাভাষী ।বাংলাভাষী। বাংলার অনেকগুলো আঞ্চলিকরুপের একটি হল সিলেটি ।সিলেটি। বাংলার এই উপভাষার ইতিহাসও সুপ্রাচীন। ধারনা করা হয়, বাংলা ভাষার সর্বপ্রাচীন নিদর্শন চর্যাপদ সিলেটের আঞ্চলিক বাংলায় লিখিত ।লিখিত।
 
== ইতিহাস ==
সিলেটি ভাষার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এ ভাষার প্রচলন শুধু সিলেটেই সীমাবদ্ধ নয়, ভারতের আসাম, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের বহু সংখ্যক লোকের মূখের ভাষা সিলটী। এটি একটি প্রাচীন ভাষা তাতে কোন সন্দেহ নেই। ধারনা করা হয়, বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ সিলেটের আঞ্চলিক বাংলায় লিখিত ।লিখিত। ভাষা গবেষক সৈয়দ মোস্তফা কামাল ও অধ্যাপক মুহম্মদ আসাদ্দর আলীর মতে জটিল সংস্কৃত প্রধান বাংলা বর্ণমালার বিকল্প লিপি হিসেবে ‘সিলটী নাগরী’ লিপির উদ্ভাবন হয়েছিল খ্রিষ্টীয় চতুর্দশ শতাব্দির মাঝামাঝি সময়ে। গবেষকদের ধারণা, ইসলাম প্রচারক সুফী দরবেশ এবং স্থানীয় অধিবাসীদের মনের ভাব বিনিময়ের সুবিধার জন্যে নাগরী লিপির উদ্ভাবন হয়েছিল। এই নাগরী বা সিলেটী ভাষা শুধু ভারত বা বাংলাদেশেই সীমাবদ্ধ নয়, ক্রমে বিশের বিভিন্ন দেশে বিস্তৃতি লাভ করেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিলেট অঞ্চল এবং ভারত ছাড়াও বিশের অন্যান্য দেশে এ ভাষা ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাত লক্ষের ও বেশী। বৃহত্তর সিলেটের বর্তমান জনসংখ্যা এক কোটি। লন্ডনের সিলেটী রিসার্চ এন্ড ট্রেন্সলেশন সেন্টারের উদ্যোগে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, সিলেট অঞ্চল সহ সমগ্র বিশ্বে বর্তমানে এক কোটি ষাট লক্ষ মানুষের মুখের ভাষা হচ্ছে সিলেটী।
 
[[চিত্র:Siloti.png|thumb|left|500px|ছিলটি নাগরি এবং বাংলা লিপি]]