বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox school | name = বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | native_name... |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৮:২৬, ২৭ জুলাই ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ভারতীয় উপমহাদেশে নারী শিক্ষার উন্নয়নে যে কয়টি বিদ্যালয় অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় তারমধ্যে অন্যতম। ব্রিটিশ স্থাপত্য রীতিতে স্থাপিত নয়নাভিরাম দোতলা লাল বিল্ডিংটি তার আপন মহিমায় আভিজাত্যের স্মারক নিয়ে এখনও দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে সুপরিচিত। ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এই বিদ্যালয়।
বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
ময়মনসিংহ , , ঢাকা | |
তথ্য | |
ধরন | সরকারী মাধ্যমিক স্কুল |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৭৩ |
ইআইআইএন | ১১১৮৪২ |
ওয়েবসাইট | http://www.vidyamayee.com |
প্রতিষ্ঠা ও নামকরণ
বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৭৩ সালে আলেকজান্ডার উচ্চ ইংরেজী বিদ্যালয় নামে নারী শিক্ষা প্রসারে ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে স্থাপিত হয়। মুক্তাগাছা,গৌরীপুর এবং কৃষ্ণনগর জমিদারগণের অর্থানুকূল্যে পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়টির নবরুপায়ন ঘটে। এদের মধ্যে মুক্তাগাছার জমিদার রাজা জগৎ কিশোর আচার্য্য চৌধুরীর বিপুল অর্থদান এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিদ্যালয়টির সম্পুর্ণ নতুন পটভূমি রচিত হয়। তার পূণ্যময়ী জননী বিদ্যাময়ী দেব্যার নামে আলেকজান্ডার বিদ্যালয়টি বিদ্যাময়ী নাম ধারণ করে এখন পর্যন্ত স্বমহিমায় উদ্ভাসিত।[১]
ইতিহাস
সুদীর্ঘ একষট্টি বছর পথ পরিক্রমার পর বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হয় ১৯১২ সালে।বিদ্যালয়ের প্রাথমিক পর্বে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন নবকুমার সমাদ্দার। বিদ্যালয়টি বিদ্যাময়ী নামকরণ করার সময় দায়িত্বে ছিলেন শ্রীমতি ঘোষ।
১৯২৬ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদধূলিতে ধন্য হয় বিদ্যালয়টি। তখন মিস ভেরুলকার নামে একজন বিদেশী এ বিদ্যালয়টির প্রধান ছিলেন। বিদ্যালয়টি ৩.৫৩২১ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের লোহার প্রবেশদ্বারটি পেরোলেই চোখ এড়াবেনা পাকা গোল চত্বর দ্বারা ঘেরা বিশাল রাধাচূড়া বৃক্ষ ও বামপাশের পাকাঘাট নির্মিত বিশাল পুকুর। ১৯১২ সালে এখানে একটি দ্বিতল ছাত্রীবাস নির্মিত হয়।[২]
প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাবস্থা
১৯৯১ সাল থেকে বিদ্যালয়টিতে ডাবল শিফট চালু হলে প্রধান শিক্ষিক,সহকারী প্রধান শিক্ষকাসহ শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৩ জন। প্রভাতী শাখা আরম্ভ হয় সকাল ৭.০০ মিনিটে এবং শেষ হয় ১২.০০ মিনিটে। দিবা শাখা শুরু হয় ১২.১৫ মিনিটে এবং ৫.২৫ মিনিটে।
শিক্ষা সুবিধা সমূহ
দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থসহ একটি গ্রন্থাগার,আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি বিজ্ঞানাগার,কম্পিউটার ল্যাব,নামাজঘর রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রমিক কার্য্যক্রম যেমন বার্ষিক মিলাদ মাহফিল,বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগিতা,বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা,বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।