জৈন ধর্ম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
৫১ নং লাইন:
[[File:Photo of lord adinath bhagwan at kundalpur.JPG|thumb|প্রথম [[তীর্থঙ্কর]] [[ঋষভ (জৈন তীর্থঙ্কর)|ঋষভের]] মূর্তি। ইনি জৈন কালচক্রের অবসরপনি যুগে বর্তমান ছিলেন বলে জৈনদের ধারণা।]]
জৈনধর্ম কোনো সৃষ্টিকর্তা বা ধ্বংসকর্তা ঈশ্বরের ধারণা গ্রহণ করে না। এই ধর্মমতে জগৎ নিত্য। জৈনধর্ম মনে করে, প্রত্যেক আত্মার মধ্যেই মোক্ষলাভ ও ঈশ্বর হওয়ার উপযুক্ত উপাদান রয়েছে। এই ধর্মমতে পূর্ণাত্মা দেহধারীদের বলা হয় ‘[[অরিহন্ত (জৈনধর্ম)|অরিহন্ত]]’ (বিজয়ী) এবং দেহহীন পূর্ণাত্মাদের বলা হয় [[সিদ্ধ]] (মুক্তাত্মা)। যে সকল অরিহন্ত অন্যদের মোক্ষলাভে সাহায্য করেন তাঁদের বলা হয় ‘[[তীর্থঙ্কর]]’। জৈনধর্মে [[উত্তর-অস্তিবাদ|উত্তর-অস্তিবাদী]] ধর্মমত মনে করা হয়।{{sfn|Zimmer|1952|p=182}} কারণ, এই ধর্ম মোক্ষলাভের জন্য কোনো সর্বোচ্চ সত্তার উপর নির্ভর করার কথা বলে না। তীর্থঙ্করেরা হলেন সহায় ও শিক্ষক, যিনি মোক্ষলাভের পথে সাহায্য করেন মাত্র। কিন্তু মোক্ষলাভের জন্য সংগ্রাম মোক্ষলাভে ইচ্ছুক ব্যক্তিকেই করতে হয়।
 
*''অরিহন্ত'' (''জিন''): একজন মানুষ যিনি সব ধ্রনের আন্তরিক আবেগকে জয় করেছেন এবং [[কেবল জ্ঞান]] লাভ করেছেন। এঁদের ‘কেবলী’ও (সর্বজ্ঞ সত্ত্বা) বলা হয়। দুই ধরনের অরিহন্ত হন:{{sfn|Sangave|2006|p = 16}}
#''সামান্য'' (সাধারণ বিজয়ী) – যে কেবলীরা শুধুমাত্র নিজের মোক্ষের কথাই ভাবেন।
#''[[তীর্থঙ্কর]]'' – ‘তীর্থঙ্কর’ শব্দের অর্থ যিনি পার করেন বা মোক্ষ শিক্ষার এক গুরু।{{sfn|Balcerowicz|2009|p = 16}} তাঁর জৈন ধর্মমত প্রচার ও পুনরুজ্জীবিত করেন। এঁরাই আধ্যাত্মিক জীবনের আদর্শ। তাঁরা ‘চতুর্বিধ সংঘ’ (শ্রমণ বা সন্ন্যাসী, শ্রমণী বা সন্ন্যাসিনী, শ্রাবক বা পুরুষ অনুগামী ও শ্রাবৈকা বা নারী অনুগামী) পুনর্গঠন করেন।{{sfn|Balcerowicz|2009|p = 17}}<ref>{{harvnb|Shah|1998a|pp=2–3}}</ref> জৈনরা বিশ্বাস করেন [[জৈন বিশ্বতত্ত্ব|জৈন কালচক্রের]] প্রত্যেক অর্ধে ২৪ জন করে তীর্থঙ্কর জন্মগ্রহণ করেন। সর্বশেষ তীর্থঙ্করের নাম [[মহাবীর]]। তাঁর পূর্ববর্তী তীর্থঙ্কর [[পার্শ্বনাথ]] ও মহাবীর – এই দুই তীর্থঙ্করের অস্তিত্বই ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত।<ref>{{harvnb|Shah|1998a|pp=21–28}}</ref> {{sfn|Zimmer|1952|p = 182-183}}
 
== পাদটীকা ==