আসফাকউল্লা খান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩০ নং লাইন:
 
==ষড়যন্ত্র মামলা শুরু==
ব্রিটিশ সরকার বিপ্লবীদের সাহস দেখে আশ্চর্য হয়েছিলো। ভাইসরয় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে নিয়োগ করে মামলাটি তদন্ত করবার জন্যে। এক মাসের মধ্যে সি.আই.ডি সূত্র বের করে ফেলে এবং প্রায় সব বিপ্লবীদের একরাতেই গ্রেপ্তার করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯২৫ তারিখ সকালবেলা পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল এবং অন্যান্য বিপ্লবীদের পুলিস গ্রেপ্তার করে কিন্তু আসফাক ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যার খোঁজ পুলিস পায় না। আসফাক লুকিয়ে পড়েন এবং [[Banarasবারাণসী]] যাত্রা করেন, সেখান থেকে [[বিহার]] গমন করেন এবং সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানিতে দশ মাস কাজ করেন। তিনি বিদেশ যেতে চেয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে মূর্ত সহায়তার জন্য [[Lala Har Dayal|লালা হর দয়ালের]] সাথে সাক্ষাত করতে চেয়েছিলেন। তিনি কীভাবে দেশ ত্যাগ করবেন তা বের করতে দিল্লি যান, সেখানে তিনি তার একজন পাঠান বন্ধুর সহায়তা নেন এবং সেই বন্ধুটিই বিশ্বাসঘাতকতা করে পুলিসকে জানিয়ে দেয় এবং আসফাককে পুলিস গ্রেপ্তার করে।
 
তাসাদ্দুক হোসেন, তৎকালীন পুলিস সুপার বিসমিল এবং আসফাকের মধ্যে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ভূমিকা দেখাতে চেষ্টা করে। সে আরো "বিসমিলের" বিরুদ্ধে আসফাককে উত্তেজিত করতে চেষ্টা করে কিন্তু আসফাক ছিলেন দৃঢ়চেতা ভারতীয় যিনি এস.পি. তাসাদ্দুক হোসেনকে এই বলে বিস্মিত করে, "Khan Sahib!, I know Pandit Ram Prasad better than you, he is not such a person as you say but even if you are right then I am also quite sure that as a Hindu, he will be much better than [[British India]] to whom you are serving like a servant."<ref>[http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2004-08-02/lucknow/27154421_1_kakori-rajendra-nath-lahiri-train] Times of India - "Daredevilry of sons of the soil"</ref>
 
আসফাকউল্লা খানকে [[Faizabad]]ফৈজাবাদ জেলে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়। তাঁর ভাই রিয়াসাত উল্লা খান কৃপা শঙ্কর হাজেলা নামে একজন সিনিয়র উকিল নিয়োগ করেন। মি. হাজেলা শেষ পর্যন্ত মামলাটি পরিচালনা করেন কিন্তু তাঁর জীবন বাঁচাতে ব্যর্থ হন। জেলে থাকাকালীন, আসফাক প্রতিদিন [[কুরআন]] থেকে তেলাওয়াত করে পাঁচ ওয়াক্ত [[নামাজ]] আদায় করতেন। কাকোরী মামলাটি চারজন সাহসীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে শেষ হয়, তাঁরা হলেন, পণ্ডিত রামপ্রসাদ বিসমিল, আসফাকউল্লা খান, রাজেন্দ্র লাহিড়ী এবং ঠাকুর রোশন সিং। বাকি ১৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে চার বছর থেকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
 
একজন প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যমতে, বুধবার, ফাঁসির চারদিন আগে, দুজন [[ইংল্যান্ড|ব্রিটিশ]] কর্মকর্তা যেখানে আসফাক থাকতেন সেই নিঃসঙ্গ সেল দেখতে আসেন। তিনি তখন নামাজের মধ্যে ছিলেন। একজন কর্মকর্তা বিড়বিড় করে বলল যে "আমি দেখতে চাই যখন এই ইঁদুরটিকে ঝোলানো হবে তখন তাঁর কতটুকু বিশ্বাস থাকে"। কিন্তু আসফাক তাঁর নামাজ নিয়মমাফিক চালিয়ে গেলেন এবং দুজনই বাতাসের মতো মর্মর শব্দ করতে করতে বেরিয়ে গেল।
 
১৯ ডিসেম্বর ১৯২৭ সোমবার, আসফাকউল্লা খানকে দুই স্তর উপরে বেদিতে নেয়া হয়। যখন তাঁকে শিকল থেকে মুক্ত করা হয়, তিনি ফাঁসির দড়ির কাছে যান এবং সেটিকে চুমু খেয়ে বলেন : "আমার হাত কোনো মানুষ হত্যা করেনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট। আল্লাহ্‌ আমাকে ন্যায়বিচার দেবেন।" এবং অবশেষে তিনি আরবি [[শাহাদাহ্‌]] আবৃত্তি করেন। তাঁকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় এবং আন্দোলন একটি উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হারায়।
 
==আশফাকের শেষ রাত==