ছোট সোনা মসজিদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ferdous (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২ নং লাইন:
 
{{Infobox religious building
|building_name = ছোট সোনা মসজিদ <br> Choto Sona Mosque
|image = Sona Mosque.jpg
|image_size = 250px
১১ নং লাইন:
{{এশিয়ার মসজিদ}}
 
'''ছোট সোনা মসজিদ''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] অন্যতম প্রাচীন মসজিদ। [[বঙ্গ|প্রাচীন বাংলার]] রাজধানী [[গৌড়]] নগরীর উপকন্ঠে ফিরোজপুর গ্রামে এ স্থাপনাটি নির্মিত হয়েছিলো, যা বর্তমান বাংলাদেশের [[রাজশাহী]] বিভাগের [[চাঁপাইনবাবগঞ্জ]] জেলার শিবগঞ্জ থানার অধীনে পড়েছে। সুলতান আলা-উদ-দীন শাহ এর শাসনামলে (১৪৯৩-১৫১৯ খ্রিস্টাব্দ) ওয়ালী মোহাম্মদ নামে এক ব্যক্তি এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদের মাঝের দরজার উপর প্রাপ্ত এক শিলালিপি থেকে এ তথ্য জানা যায়। তবে লিপির তারিখের অংশটুকু ভেঙ্গে যাওয়ায় নির্মাণকাল জানা যায়নি। এটি [[কোতোয়ালী দরজা]] থেকে মাত্র ৩ কি.মি. দক্ষিণে। মসজিদটি মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন। এটি হোসেন-শাহ স্থাপত্য রীতিতে তৈরী।
 
== নামকরণ ==
[[চিত্র:Sona2.jpg|right|thumb|Sona2]]
এই মসজিদটিকে বলা হতো 'গৌড়ের রত্ন'।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}} এর বাইরের দিকে সোনালী রঙ এর আস্তরণ ছিলো, সূর্যের আলো পড়লে এ রঙ সোনার মত ঝলমল করত। প্রাচীন গৌড়ে আরেকটি মসজিদ ছিলো যা [[বড় সোনা মসজিদ]] নামে পরিচিত। এটি তৈরি করেছিলেন সুলতান নুসরত শাহ। সেটি ছিলো আরও বড়। তাই স্থানীয় লোকজন এটিকে ছোটোছোট সোনা মসজিদ বলে অবহিত করতো, আর গৌড় নগরীর মসজিদটিকে বলতো [[বড় সোনা মসজিদ]]{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}}।
 
== বহির্ভাগ ==
২৮ নং লাইন:
মসজিদটির অভ্যন্তরভাগ কালো ব্যাসাল্টের ৮টি স্তম্ভ দ্বারা উত্তর দক্ষিণে তিনটি [[আইল]] ও পূর্ব-পশ্চিমে পাঁচটি সারিতে (bay) বিভক্ত। এই পাঁচটি সারির মাঝের সারিটি ১৪'৫" চওড়া, বাকি সারিগুলো ১১'৪" চওড়া। পূব দেয়ালের পাঁচটি দরজা বরাবর মসজিদের অভ্যন্তরে রয়েছে পাঁচটি মিহরাব। এদের মধ্যে মাঝেরটি আকারে বড়। প্রতিটির [[নকশা]]ই অর্ধ-বৃত্তাকার। মিহরাবগুলোতে পাথরের উপর অলংকরণ রয়েছে। সর্ব উত্তরের মিহরাবটির উপরে দোতলার কামরাটিতেও একটি মিহরাব রয়েছে।
 
মসজিদের অভ্যন্তরের ৮টি স্তম্ভ ও চারপাশের দেয়ালের উপর তৈরি হয়েছে মসজিদের ১৫টি [[গম্বুজ]]।গম্বুজ। মাঝের মিহরাব ও পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজার মধ্যবর্তী অংশে ছাদের ওপর যে গম্বুজগুলো রয়েছে সেগুলো বাংলা [[চৌচালা গম্বুজ]]। এদের দুপাশে দুসারিতে তিনটি করে মোট ১২টি গম্বুজ রয়েছে। এরা অর্ধ-বৃত্তাকার গম্বুজ। এ মসজিদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, বাইরের যে কোনো পাশ থেকে তাকালে কেবল পাঁচটি গম্বুজ দেখা যায়, পেছনের গম্বুজগুলো দৃষ্টিগোচর হয় না।
 
== অলংকরণ ==