ঘোড়াঘাট উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা
২৬ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
দিনাজপুর জেলা সদর থেকে দক্ষিণ পূর্ব দিকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে করতোয়া নদীর তীরে ঘোড়াঘাট উপজেলা অবস্থিত। ২০.১৪ থেকে ২৬.৩৮ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮.৮৬ থেকে ৮৯.১৯ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এর ভৌগলিক অবস্থান। ত্রিভুজাকার আকৃতরি মতো এই উপজেলার মোট ভূমির পরিমাণ ৩৬,৭৩৮ একর। আয়তস ৫৭.৩৭ বর্গমাইল। প্রাচীনকালে ঘোড়াঘাট কোন রাজার অধীনের শাসিত হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। জানা যায়, মহাভারতীয় যুগ ( ৫ হাজার বছর আগে) এই ক্ষুদ্র জনপদ মৎস দেশের অধীনে ছিল। তাছাড়া এ উপজেলায় মৌর্য যুগ, গুপ্ত শাসন, পাল শাসন, সেন আমল, তুর্কী শাসন, সুলতানী আমল, পাঠান আমল, মোগল শাসন, নবাবী আমল, ইংরেজ শাসনাধীনে ছিল। ত্রয়োদশ শতাব্দী থেকে এ অঞ্চল মুসলিম শাসনাধীনে আসে। বহুপীর, দরবেশ, আলেম, ধর্মপ্রচারক, যোদ্ধা, জ্ঞানীগুণী ও নানা পেশার মানুষের আগমণে সমৃদ্ধ হয়ে পড়ে এ ঘোড়াঘাট উপজেলা। উল্লেখ্য মধ্যযুগে এখানকার দূর্গে অনেক ঘোড়া ছিল। ঘোড়াগুলোকে নিয়মিত গোসল করানো হতো ঘাটে। তা থেকে এ স্থানের নাম ঘোড়াঘাট হয়েছে বলে সময়ের ধারণা। ঘোড়াঘাট প্রাচীন জনপদ হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে পুরাকীর্তি থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার। এ উপজেলায় ঐতিহাসকি স্থান ও প্রত্নতত্ত্বেরমধ্যে ঘোড়াঘাট দূর্গ, বারপাইকের গড়, বেলোয়া, দামোদরপর, সুরা মসজিদ ওবিভিন্ন পীর আওলিয়ার মাজার উল্লেখ যোগ্য।
 
এ উপজেলায় ১১৫টি মৌজা, ১৪৩ টি গ্রাম আছে। আছে বুলাকীপুর, সিংড়া, পালশা, ঘোড়াঘাট নামে ৪টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ঘেড়াঘাট নামে একটি পৌরসভা। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৫ ভাগ মুসলমান, ১৫ ভাগ উপজাতি আর আদিবাসী এবং অবশিষ্ঠ ১০ ভাগ হিন্দু ও খ্রিষ্টান। বসবাসকারীদের মধ্য আছে কীছু নৃ তাত্ত্বিক জনগোষ্টি। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই ঘোড়াঘাটে তংকালীন সরকার ওপাকিস্থানী সেনবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথমে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে ও এ উপজেলায়। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের। পদচারনায় মুখর এই উপজেলা।
 
বর্তমানে অত্র উপজেলায় গড়ে উঠেছে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। দিনে দিনে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে এ উপেজলা।
 
পালাবদলে অতীত সভ্যতার পরিচয় বাহী অধিকাংশ স্থাপনা আজ নিশ্চিহ্নের পথে। আর এ উপজেলার অতীত ইতিহাস বর্তমান সময়ের উপজেলার সাবির্ক কাঠামো তুলে ধরার প্রেক্ষাপটে ওয়েবসাইটিতে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি তুলে ধরা হয়েছে ঘোড়াঘাট উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য। বিেশ্বর যে কোন প্রান্ত থেকে মানুষ ওয়েবের মাধ্যমে দেখতে পাবে এই ঘোড়াঘাট উপজেলাকে। উন্নত যোগাযোগের উপরে নির্ভর করে উন্নয়ন। আর যোগাযোগ ব্যবস্তাকে উন্নত করতে বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস আপনাদের তথা দেশের উন্নয়নে যদি ক্ষুদ্রতম অবদান রাখে তাহলে আমাদের এ ওয়েবে পোর্টাল সার্থক বলে বিবেচিত হবে।
 
মোঃ ফরিদুল ইসলাম
এম,এস,এস ( শেষ পর্ব)
রাজশাহী কলেজ।
মোবাইল ঃ ০১৭২৩৮৩৮৯৩৩
 
== জনসংখ্যার উপাত্ত ==