কাদম্বরী দেবী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Moheen (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন এবং কপিরাইট লঙ্ঘনকৃত টেক্সট বাদ দেয়া হল
২ নং লাইন:
| name = [[কাদম্বরী দেবী]]
| image = Kadamvari Devi photograph.jpg
| image_size = 220px
| alt =
| caption = [[কাদম্বরী দেবী]]
| birth_name = [[কাদম্বরীমাতঙ্গিনী, দেবী|কাদম্বরী গঙ্গোপাধ্যায় ]]
| birth_date = {{Birth date|mf=yes|1859|07|05}}
| birth_place = [[কলকাতা]] , [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি|পশ্চিমবাংলা]], [[ব্রিটিশ ভারত]] (বর্তমানে [[ভারত]])
| birth_name = [[কাদম্বরী দেবী|মাতঙ্গিনী]]
| death_date = {{Death date and age|mf=yes|1884|04|21|1859|07|05}}
| death_place = [[ঠাকুর পরিবার|ঠাকুরবাড়ি]], [[কলকাতা]]
| death_cause = [[আত্মহত্যা]]
| nationality = [[ভারত|ভারতীয়]]
| other_names =
| ethnicity = [[বাঙালি জাতি|বাঙালি]]
| citizenship = [[ভারতবাসী]]ভারতীয়
| education =
| known_for =
| home_town = কলকাতা
| religion = [[হিন্দুধর্ম]]
| spouse = {{marriage|[[জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর]]|১৮৬৮}}
| parents = [[{{unbulleted list
| শ্যাম গাঙ্গুলি]] (পিতা)
[[ | ত্রৈলোক্যসুন্দরী]] (মাতা)
 
}}
[[ত্রৈলোক্যসুন্দরী]] (মাতা)
| relatives = [[ঠাকুর পরিবার]]
}}
 
'''কাদম্বরী দেবী''' (জুলাই ৫, ১৮৫৯ – এপ্রিল ২১, ১৮৮৪ ) ছিলেন [[বাঙালি]] নাট্যকার, সঙ্গীতস্রষ্টা, সম্পাদক এবং চিত্রশিল্পী [[জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর|জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] স্ত্রী, [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] পুত্রবধু এবং বিশ্বকবি [[রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর|রবিন্দ্রনাথ ঠাকুরের]] নতুনবড় বৌঠান।ভাইয়ের স্ত্রী।
 
== জীবনী ==
১৮৫৯জুলাই সালে৫, ৫ই১৮৫৯ জুলাইসালে কলকাতায় কাদম্বরীর জন্ম। পৈতৃক নাম মাতঙ্গিনী।<ref name="কাদম্বরী উপাখ্যান">{{cite web |url=http://www.jugantor.com/literature-magazine/2013/05/09/150 |title=রবীন্দ্রনাথের কাদম্বরী উপাখ্যান |author=আহসানুল কবির |date=০৯ মে, ২০১৩ |website=jugantor.com |publisher=[[দৈনিক যুগান্তর]] |location=ঢাকা |language=বাংলা |accessdate=মে ২১, ২০১৫}}</ref> তিনি ছিলেন ঠাকুরবাড়ির বাজার সরকার শ্যাম গাঙ্গুলির তৃতীয় কণ্যা।<ref name="সুইসাইড-নোট">{{cite web |url=http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=10603&Itemid=53 |title=কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড-নোট |author=রোবায়েত ফেরদৌস |date=১২ জানুয়ারি ২০১৩ |website=news-bangla.com |publisher=নিউজ-বাংলা.কম |location=ঢাকা |language=বাংলা |accessdate=মে ২১, ২০১৫}}</ref> মাত্র নয় বছর বয়সে ১৯ বছর বয়সী জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে কাদম্বরীর বিয়ে হয়।<ref name="কাদম্বরী উপাখ্যান"/> বিয়ের পর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শিক্ষার বন্দোবস্ত করেছিলেন।<ref name = "Banglapedia">{{cite web| url = http://banglapedia.search.com.bd/HT/T_0019.htm |archiveurl= http://web.archive.org/web/20070427174551/http://banglapedia.search.com.bd/HT/T_0019.htm |title = Jyotirindranath Tagore | accessdate = 2013-06-14 | archivedate= 2007-04-27 | last = Dastider | first = Shipra | work = Banglapedia | publisher =Asiatic Society of Bangladesh | deadurl= yes}}</ref> তাঁর পিতামহ [[জগন্মোহন গঙ্গোপাধ্যায়]] ছিলেন একজন গুণী সংগীত শিল্পী। তার থেকেই কাদম্বরী এবং রবীন্দ্রনাথ বাল্যকালে গান শিখেছিলেন।
 
সমবয়সী হওয়ার সুবাদে কাদম্বরীর সাথে রবীন্দ্রনাথের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তিনি রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন গল্প, কবিতা, নাটক আর গান রচনায় উৎসাহ যুগিয়েছেন তার সৃষ্টিশীল মতমত প্রদানের মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথ এবং কাদম্বরী ছিলেন খুবই ভালো বন্ধু এবং সহপাঠী<ref>Mallika Sengupta, Kobir Bouthan & Tamal Ghosh ,Kadambari,432 pp., (A novel),Ujjwal Sahitya Mandir, College St. Kolkata</ref>যার কারণে এই দুজনের সম্পর্ক নিয়ে সেই সময়ে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন বিতর্ক এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
 
== মৃত্যু ==
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিবাহের (১৮৮৩ সালের ৯ ডিসেম্বর) চার মাস পরে এপ্রিল ১৯, ১৮৮৪ সালে কাদম্বরী দেবী আফিম খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, এবং তার দুই দিন পর এপ্রিল ২১ তারিখে মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।<ref name="সুইসাইড-নোট"/><ref name="কাদম্বরী উপাখ্যান"/> জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার এই আত্মহত্যার বিষয়ে নিরব ছিল।<ref name=4."Ghosh">{{Kadambari|author=Tamal Ghosh|title=Kadambari|pages= 432|accessdate=2014|publisher=Ujjwal Sahitya Mandir.}}</ref>
 
মারা যাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় কাদম্বরীর আফিম খাওয়ার দুই দিন তিনি অবচেতন ছিলেন। সেই সময়, তাঁর শেষ চিকিৎসার জন্য সাহেব ডাক্তার ডি বি স্মিথকে আনা হয়েছিল ৪০০ টাকা খরচ করে,ওষুধ কেনা হয়েছিল ২৫ টাকার। শোনা যায়, ডাক্তারকে টাকা দেওয়া হয়েছিল চেকে। সঙ্গে বাঙালি ডাক্তার নীলমাধব হালদার আর সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ও ছিলেন। তেতলার ঘরে রাখা হয়েছিল তাঁকে, যে ঘরে কেউ থাকতেন না। অন্ধকার সেই ঘরে দেড় টাকা খরচ করে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল; কিন্তু বাতির আলোয় নিসাড় পড়ে ছিলেন কাদম্বরী, তাঁর শরীর থেকে প্রাণের আলো ক্রমেই নিভে এসেছিল। সবার সমবেত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে ২১ এপ্রিল মারা গেলেন কাদম্বরী। লোপাট করা হলো সব প্রমাণ; কোথাও ছাপা হলো না তাঁর মৃত্যুর খবর।
<ref name="সুইসাইড-নোট"/><ref name="কাদম্বরী উপাখ্যান"/> জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার এই আত্মহত্যার বিষয়ে নিরব ছিল।<ref name=4."Ghosh">{{Kadambari|author=Tamal Ghosh|title=Kadambari|pages= 432|accessdate=2014|publisher=Ujjwal Sahitya Mandir.}}</ref>
 
মুলত পারিবারিক সমস্যার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে বিতর্ক রয়েছে। প্রয়াতহিন্দু কাদম্বরীরপ্রথা মরদেহঅনুযায়ী নিয়ম অনুযায়ীতাকে মর্গে পাঠানো হয় নি। " ৫১ টাকা ১২ আনা " খরচ করেনি, জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতেই বসানো হয়েছিল, করোনার কোর্ট। গবেষকরা মনে করেন, সয়ং [[দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর|মহর্ষির]] উদ্যোগেই করোনার রিপোর্ট লোপ করা হয়, সঙ্গে লোপাট করা হয় 'সুইসাইড নোট'ও। ৫২ টাকা ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয় সংবাদ মাধ্যমের। তাই [[কাদম্বরী দেবী]]রকাদম্বরীর মৃত্যু সংবাদ কোনোওতখন কাগজেইকোনো প্রত্রিকায় ছাপা হয়নি।
 
কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন এবং তার স্মৃতি নিয়ে মৃত্যুর দীর্ঘদিন পরেও একাধিক কবিতা, গান ও গল্প রচনা করেছেন।