২০১২ দিল্লি গণধর্ষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ইনাম (আলোচনা | অবদান)
প্রথম অর্ধেক প্যারা অনুবাদ
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে, সমস্যা? এখানে জানান
১৬ নং লাইন:
}}
 
দক্ষিণ দিল্লির মুনিরকা এলাকায় ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরে এই গনধর্ষণ এবং মারাত্মক হামলার ঘটনাটি ঘটেছিল।<ref> m.timesofindia.com/city/delhi/Nirbhaya-gang-rape-case-Supreme-Court-stays-hanging-of-2-convicts/articleshow/38378336.cms</ref> যার ধর্ষকদের এখনো পর্যন্ত বিচারের আওতায় আনা হয়নি। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিলো একজন ২৩ বছর বয়সী মেয়ের ফিজিওথেরাপি ইন্টার্নশিপ চলাকালীন, যার নাম জয়তী সিং পান্ডে; তিনি যখন তার ছেলেবন্ধু অন্দ্র প্রতাপ পান্ডের সাথে একটি বেসরকারি বাসে ভ্রমণ করছিলেন তখন তাকে পিটুনি দেওয়া হয় এবং গনধর্ষণ করা হয়। ঐ বাসে ড্রাইভারসহ আরো ৬ জন ছিলেন যাদের প্রত্যেকেই পান্ডেকে ধর্ষণ করে এবং তার বন্ধুকে পিটুনি দেয়। হামলার তের দিন পর, তাকে জরুরী চিকিৎসার জন্য সিংগাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু দুই দিন পর তিনি তার আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় মারা যান। এই ঘটনাটি ভারত এবং ভারতের বাইরে ব্যাপক সারা জাগায় এবং ধর্ষণের প্রতিবাদেও ধর্ষকদের শাস্তি দাবি করে প্রচুর সভা সমাবেশ ও প্রতিবাদ করতে দেখা যায়।
 
==ঘটনাটি ==
২৫ নং লাইন:
তিনি খেয়াল করেন বাসের যাত্রীরা তাদের দিকে সরে এসে বসছে। তখন তিনি যখন জানতে চান যে বাসটি কোথায় যাচ্ছে এবং অন্য যাত্রীদের আচরণের প্রতিবাদ জানান তখন তাদেরকে বলা হয় তারা এতো রাতে কোথায় কি করতে গিয়েছিল। তারপর তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়।
 
জয়তীকে তারপর বাসের এক কোনায় নিয়ে গিয়ে পিটানো হয় এবং তাকে একে একে ড্রাইভার ছাড়া প্রত্যেকে ধর্ষণ করে। এই সময়ে ড্রাইভার গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে হেল্পার গাড়ি চালান এবং ড্রাইভার ধর্ষণ করেন।
 
দিল্লী পুলিশ আনুমানিক রাত ১১ টার সময় জয়তী এবং তার ছেলেবন্ধুকে রাস্তা থেকে অর্ধউলঙ্গ এবং আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
 
সাফদারজাং হাসপাতালে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।পরবর্তীতে কৃত্রিম ভাবে শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যাবস্থা করা হয়।
 
== ভিকটিম ==
উত্তর প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম বালিয়াতে কৃষক পরিবারের মেয়ে জয়ত্রী। তার বাবা তার খরচ মেটাতে সকল ফসলি জমি বিক্রি করে দেন। দুই শিফট্ কাজ করে মেয়ের পড়ালেখার খরচ মেটান।
 
ভারতীয় আইন অনুসারে প্রথমে তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। পরবর্তীতে তার নাম প্রকাশ করা হয়(প্রথমে নাম প্রকাশ করে ট্যাবলয়েড পত্রিকা দিল্লিমেইল উ ।
৩৮ নং লাইন:
অন্য ভিকটিম, যিনি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার বাড়িও উত্তরপ্রদেশে। গোরাখপুরে।
 
দিল্লি মেইল নামক ট্যাবলয়েড পত্রিকার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ জয়তী এর নাম প্রকাশের জন্য মামলা করে। কিন্তু তার পরিবারের কোন আপত্তি না থাকায় পরবর্তীতে মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
 
==চিকিৎসা ও মৃত্যু ==
১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচবার অস্ত্রোপচার করা হয়। ২১ ডিসেম্বর ভারত সরকার একটি মেডিকেল কমিটি করে জয়তী এর সর্বোচ্চ চিকিৎসা এর ব্যাবস্থা করেন।
 
তার আভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ, জ্বর ও বিভিন্ন অঙ্গ এর ইনফেকশনজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।
 
২৬ শে ডিসেম্বর তাকে সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ২৭শে ডিসেম্বরে তাকে সিংগাপুরে পাঠানো হয়।
 
২৯ শে ডিসেম্বর সকাল ৪ টা ৪৫ এ তিনি মারা যান।
মৃত্যুর কারণ হিসেবে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, নিউমোনিয়া এবং তলপেটে ইনফেকশনকে দায়ী করা হয়।
 
== গ্রেফতার ==