হার্বার্ট সাটক্লিফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
প্রারম্ভিক জীবন - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি করা হয়েছে
Suvray (আলোচনা | অবদান)
সম্মাননা - নতুন অনুচ্ছেদ সৃষ্টি
১৯ নং লাইন:
| testdebutdate = ১৪ জুন
| testdebutyear = ১৯২৪
| testdebutagainst = দক্ষিনদক্ষিণ আফ্রিকা
| testcap = ২১৫
| lasttestdate = ২৯ জুন
| lasttestyear = ১৯৩৫
| lasttestagainst = দক্ষিনদক্ষিণ আফ্রিকা
| club1 = [[Yorkshire County Cricket Club|ইয়র্কশায়ার]]
| year1 = ১৯১৯-১৯৪৫
৬২ নং লাইন:
 
== প্রারম্ভিক জীবন ==
গ্যাবলগেটের সামারব্রিজএ হার্বার্ট সাটক্লিফের জন্ম হয়। উইলি ও জেন সাটক্লিফ তাঁর বাবা-মা। তাঁদের তিন পুত্র সন্তানের মধ্যে সাটক্লিফ ছিলেন দ্বিতীয়। অন্য দুই ভাই হচ্ছেন আর্থারও বব। উইলি সাটক্লিফ ড্যাক্রে ব্যাংকের কাছে এক কড়াতকলে কাজ করতেন। তিনি ক্লাব ক্রিকেটার ছিলেন।<ref name="Hill14">Hill, p.14.</ref>
 
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণের শুরুর দিকে তিনি সফলতম ব্যবসায়ী ছিলেন। পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে অর্থ উপার্জনের দিকে ধাবিত হন ও লিডসে একটি ক্রীড়াসামগ্রী বিক্রয়ের লক্ষ্যে দোকান প্রতিষ্ঠা করেন।
৭১ নং লাইন:
 
== খেলোয়াড়ী জীবন ==
১৪ জুন, ১৯২৪ তারিখ শনিবার তাঁর টেস্ট অভিষেক ঘটে। এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জ্যাক হবসকে সাথে নিয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করে। খেলায় তাঁরা প্রথম শতরানের জুটি (১৩৬) গড়েন যাতে সাটক্লিফের অংশগ্রহণ ছিল ৬৪ রান।<ref>{{cite web |url=http://www.cricketarchive.com/Archive/Scorecards/11/11156.html |publisher=CricketArchive |title=First Test 1924 |accessdate=12 June 2010}}</ref> লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁরা ২৬৮ রান তোলেন। ১২২ রান করে সাটক্লিফ তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। হবস করেন ২১১ রান। খেলায় ইংল্যান্ড পুণরায় ইনিংস ব্যবধানে জয়ী হয়।<ref>{{cite web |url=http://www.cricketarchive.com/Archive/Scorecards/11/11198.html |publisher=CricketArchive |title=Second Test 1924 |accessdate=12 June 2010}}</ref> সিরিজে তিনি ৭৫.৭৫ গড়ে ৩০৩ রান তোলেন।<ref>{{cite web |url=http://www.cricketarchive.com/Archive/Events/ENG/South_Africa_in_British_Isles_1924/t_England_Batting.html |publisher=CricketArchive |title=England Test batting records 1924 |accessdate=11 June 2010}}</ref> জুলাইয়ের প্রথমার্ধ্বে আর্থার জিলিগ্যানের নেতৃত্বে ১৯২৪-২৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন। শুরুতে সফরে যেতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তাঁর স্ত্রীও সাথে যাবেন এ শর্তে মন পরিবর্তন করেন। সাটক্লিফের জন্য এ সফরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ক্রিকেটের উঁচু স্তর হিসেবে টেস্টে হবসের সাথে অবশ্যম্ভাবী জুটি গড়ে নিজেকে বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে তৈরি করেন।
১৯২৪ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে জ্যাক হবসের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে স্মরণীয় সাফল্য লাভ করেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৫৪টি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি তিনবার অস্ট্রেলিয়া সফর করেন ও প্রভূতঃ সফলতা পান। তন্মধ্যে, ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে বিতর্কিত বডিলাইন সিরিজে তিনি সর্বশেষ সফর করেন। ডগলাস জার্দিনের বোলিংয়ে তিনি ব্যাপক সমর্থন যোগান। কিন্তু তাঁর নিকটতম বন্ধুরা তা অস্বীকার করেন ও সাটক্লিফ বডিলাইনকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যয়িত করেছেন বলে জানান।
 
১৯২৪ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে জ্যাক হবসের সাথে উদ্বোধনী জুটিতে স্মরণীয় সাফল্য লাভ করেন।<ref>Birley, p.226.</ref> এ সময়কালে তাঁদের জুটি ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা সফলতম জুটি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। তাঁদের মধ্যকার প্রথম দুই টেস্টে যথাক্রমে ১৩৬ ও ২৬৮ এর পর থেকে শুরু হয়। এ দু’জন ইংল্যান্ডের পক্ষে ১৫টি শতরানের জুটি গড়েন। তন্মধ্যে ১১টিই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এছাড়াও তাঁরা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে আরও ১১টি শতরানের জুটি গড়েছিলেন।<ref>Hill, pp.211–214.</ref> সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি ৫৪টি টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি তিনবার অস্ট্রেলিয়া সফর করেন ও প্রভূতঃ সফলতা পান। তন্মধ্যে, ১৯৩২-৩৩ মৌসুমে বিতর্কিত বডিলাইন সিরিজে তিনি সর্বশেষ সফর করেন। ডগলাস জার্দিনের বোলিংয়ে তিনি ব্যাপক সমর্থন যোগান। কিন্তু তাঁর নিকটতম বন্ধুরা তা অস্বীকার করেন ও সাটক্লিফ বডিলাইনকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যয়িত করেছেন বলে জানান।
 
দলীয় অধিনায়কের সাথে চমৎকার সম্পর্ক বজায় রাখেন ও দলের ফলাফলে তিনিও সম্পৃক্ত ছিলেন। পরিসংখ্যানগতভাবে টেস্ট ক্রিকেটে অন্যতম সফলতম ব্যাটসম্যান ছিলেন। এপ্রিল, ২০১৫ সাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ ইনিংস সম্পন্নকারী টেস্ট ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ব্যাটিং গড়ে যে-কোন ইংরেজ ক্রিকেটারের তুলনায় শীর্ষস্থানে অবস্থান করছেন ও বৈশ্বিকভাবে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছেন।
 
== অবসর ==
১৯৫৯ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে টেস্ট দল নির্বাচক ছিলেন। এ সময়ে ইংল্যান্ড দল ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজদেশে খেলে।<ref>Hill, pp.187–188.</ref> অবসর পরবর্তীকালে ক্রিকেটের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ ছিল তাঁর। ১৯৭৭ সালে সর্বশেষ জনসমক্ষে হুইলচেয়ারে তাঁকে দেখা যায়। সাটক্লিফ ও হাটনের পর তৃতীয় ইয়র্কশায়ার ব্যাটসম্যান হিসেবে জিওফ বয়কট প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শততম সেঞ্চুরি করার পর তাঁদেরকে ছবি নেয়া হয়।<ref>Hill, p.192.</ref> এর কয়েকমাস পরই তাঁর দেহাবসান ঘটে।
 
== অর্জসমূহ ==
টেস্ট ক্রিকেটে সাটক্লিফের রেকর্ড অত্যন্ত চমৎকার। তাঁর পরিসংখ্যানগত রেকর্ড কেবলমাত্র [[ডন ব্রাডম্যান|ডন ব্রাডম্যানের]] সাথেই তুলনা করা যায়। পুরো টেস্ট জীবনে তাঁর ব্যাটিং গড় কখনো ৬০-এর নীচে যায়নি। [[জাভেদ মিয়াঁদাদ|জাভেদ মিয়াঁদাদের]] ক্ষেত্রেও ৫০-এর নীচে যায়নি।<ref>{{cite web |url=http://www.howstat.com.au/cricket/Statistics/Batting/BattingAverages2.asp |publisher=Howstat |title=Players Batting 30 Innings with Average Never Less Than 40.00 |accessdate=7 June 2008}}</ref> টেস্টে নিজস্ব দ্বাদশ ইনিংসে দ্রুততম সহস্র রান করেন। পরবর্তীতে [[এভারটন উইকস]] তাঁর সমকক্ষ হন।<ref>http://stats.espncricinfo.com/ci/content/records/283173.html</ref>
 
== সম্মাননা ==
খেলোয়াড়ী জীবন শেষে ২১ বছর ইয়র্কশায়ারের ক্লাব কমিটিতে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও ইংল্যান্ডের টেস্ট দল নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যরূপে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। ইয়র্কশায়ারের অনুশীলনী মাঠ হিসেবে হেডিংলিতে তাঁর স্মরণে কয়েকটি ফটকের নামকরণ হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০০৯ তারিখে আইসিসি হল অব ফেমে তাঁকেও অন্তর্ভূক্ত করা হয়।<ref>{{cite web |url=http://icc-cricket.yahoo.net/events_and_awards/hall_of_fame/bio.php?code=HOF_HERBERT_SUTCLIFFE |publisher=ICC |title=Hall of Fame – Herbert Sutcliffe |accessdate=5 June 2010}}</ref> ১৯১৯ সালের কাউন্টি ক্রিকেটে চমকপ্রদ সাফল্য লাভের প্রেক্ষিতে পার্সি হোমস ও হার্বার্ট সাটক্লিফকে ১৯২০ সালে উইজডেন কর্তৃক [[উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটার|বর্ষসেরা ক্রিকেটার]] হিসেবে মনোনীত হন।<ref>{{cite web |url=http://cricketarchive.com/Archive/Players/Overall/Wisden_Cricketers_of_the_Year.html |publisher=CricketArchive |title=Wisden Cricketers of the Year |accessdate=12 June 2010}}</ref> ১৯৪৯ সালে এমসিসি’র সম্মানসূচক সদস্যরূপে মনোনীত হন তিনি। ইংরেজ পেশাদারদের সংগঠনে জর্জ হার্স্ট, উইলফ্রেড রোডস ও [[জ্যাক হবস|জ্যাক হবসের]] সাথে তিনিও নির্বাচক মনোনীত হন।<ref name="Hill186">Hill, p.186.</ref> ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৩ সালে ইয়র্কশায়ার কর্তৃপক্ষ তাঁকে ক্লাবের আজীবন সদস্যরূপে মনোনীত করে। জুলাই, ১৯৬৫ সালে হেডিংলি মাঠে ক্লাবের সভাপতি ও তাঁর সাবেক অধিনায়ক স্যার উইলিয়াম ওরস্লে আনুষ্ঠানিকভাবে সাটক্লিফ গেট উদ্বোধন করেন।<ref>Hill, p.190.</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==