বুড়িগঙ্গা নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
+
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৪ নং লাইন:
}}
 
'''বুড়িগঙ্গা নদী''' [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] রাজধানী [[ঢাকা]] শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত একটি নদী।<br [[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র]] আর [[শীতলক্ষ্যা নদী|শীতলক্ষ্যার]] পানি এক স্রোতে মিশে নতুন একটি স্রোত বয়ে চলে। সেই স্রোতটির নাম হয় বুড়িগঙ্গা নদী। অনেকের মতে বুড়িগঙ্গা নদী আগে গঙ্গা নদীর মুলধারা ছিল। তবে বর্তমানে এটা [[ধলেশ্বরী নদী|ধলেশ্বরীর]] শাখাবিশেষ।/>
 
==ইতিহাস==
বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করেছিলেন বাংলার [[সুবাদার মুকাররম খাঁ]]। তার শাষণামলে শহরের যেসকল অংশ নদীর তীরে অবস্থিত ছিল, সেখানে প্রতি রাতে আলোক সজ্জা করা হতো। এছাড়া নদীর বুকে অংসখ্য নৌকাতে জ্বলতো [[বেলুন|ফানুস]] বাতি। তখন বুড়িগঙ্গার তীরে অপরুপ সৌন্দের্য্যের সৃষ্টি হতো।
[[ব্রহ্মপুত্র নদ|ব্রহ্মপুত্র]] আর [[শীতলক্ষ্যা নদী|শীতলক্ষ্যার]] পানি এক স্রোতে মিশে বুড়িগঙ্গা নদীর সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে এটা [[ধলেশ্বরী নদী|ধলেশ্বরীর]] শাখাবিশেষ। কথিত আছে, গঙ্গা নদীর একটি ধারা প্রাচীনকালে ধলেশ্বরী হয়ে সোজা দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মিশেছিল। পরে গঙ্গার সেই ধারাটির গতিপথ পরিবর্তন হলে গঙ্গার সাথে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে প্রাচীন গঙ্গা এই পথে প্রবাহিত হতো বলেই এমন নামকরণ। মূলত ধলেশ্বরী থেকে বুড়িগঙ্গার উৎপত্তি। কলাতিয়া এর উৎপত্তিস্থল। বর্তমানে উৎসমুখটি ভরাট হওয়ায় পুরানো কোন চিহ্ন খোঁজে পাওয়া যায় না।<br />
বুড়িগঙ্গার সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করেছিলেন বাংলার [[সুবাদার মুকাররম খাঁ]]। তার শাষণামলে শহরের যেসকল অংশ নদীর তীরে অবস্থিত ছিল, সেখানে প্রতি রাতে আলোক সজ্জা করা হতো। এছাড়া নদীর বুকে অংসখ্য নৌকাতে জ্বলতো [[বেলুন|ফানুস]] বাতি। তখন বুড়িগঙ্গার তীরে অপরুপ সৌন্দের্য্যের সৃষ্টি হতো। [[১৮০০]] সালে টেইলর বুড়িগঙ্গা নদী দেখে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন- [[বর্ষা|বর্ষাকালে]] যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দুর থেকে ঢাকাকে দেখায় ভেনিসের মতো। তবে বুড়িগঙ্গার আগের ঐতিহ্য এখন আর নেই। কালের বিবর্তনে দখল হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গার নদীতীর।<br />
 
==অন্যান্য তথ্য==
[[১৮০০]] সালে টেইলর বুড়িগঙ্গা নদী দেখে মুগ্ধ হয়ে লিখেছিলেন- [[বর্ষা|বর্ষাকালে]] যখন বুড়িগঙ্গা পানিতে ভরপুর থাকে তখন দুর থেকে ঢাকাকে দেখায় ভেনিসের মতো। তবে বুড়িগঙ্গার আগের ঐতিহ্য এখন আর নেই। কালের বিবর্তনে দখল হয়ে যাচ্ছে বুড়িগঙ্গার নদীতীর।
বুড়িগঙ্গা সাকল্যে ৩০ কিমি দীর্ঘ। গড়পড়তা ৪০০ মিটার প্রশস্ত। গভীরতা প্রায় ৪০ মিটার। ১৯৮৪ সালে এর পানিপ্রবাহের পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯০২ কিউসেক। তবে বর্তমানে বুড়িগঙ্গার পানিপ্রবাহের পরিমাণ প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।
 
==স্থিরচিত্র==
৪২ ⟶ ৪৫ নং লাইন:
* কিংবদন্তির ঢাকা, নাজির হোসেন, পৃষ্ঠা ৪২১ ও ৪২৭
* ঢাকা সমগ্র ৩, মুনতাসীর মামুন, পৃষ্ঠা ১৫০
* বাংলাদেশের নদীঃ মোকাররম হোসেন; পৃষ্ঠা ১০৩; কথাপ্রকাশ; দ্বিতীয় সংস্করণঃ আগস্ট ২০১৪
 
== বহিঃসংযোগ ==
{{commonscat|Buriganga River|{{PAGENAME}}}}