আড়িয়াল খাঁ নদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৯ নং লাইন:
অতীতে নদটির নাম ছিল ভুবনেশ্বর। ১৮০১ সালে ঠগি দমনের জন্য আড়িয়াল খাঁ নামক একজন জমাদার গভর্ণমেন্ট কর্তৃক নিযুক্ত হয়। ভুবনেশ্বর নদ থেকে একটি খাল খনন করিয়ে তা প্রাচীন পদ্মার দক্ষিণাংশের সঙ্গে সংযুক্ত করিয়ে দেওয়া হয়। এই খালটিই কালক্রমে প্রবল রুপ ধারণ করে প্রাচীন পদ্মা ও ভুবনেশ্বরের কতকাংশ গ্রাস করে এবং সাধারণ জনগণের কাছে আড়িয়াল খাঁ নামে পরিচিত হয়।
 
==নদের গতিপ্রকৃতি ও অন্যান্য তথ্য==
বর্তমানে সমুদ্রগামী পদ্মার শাখাগুলোর মধ্যে মধুমতী ও আড়িয়াল খাঁ নদ দুটি প্রধান। পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ ঘাট থেকে প্রায় ৫১.৫ কিমি দক্ষিণ-পূর্বের পদ্মা থেকে এই শাখা নদ (আড়িয়াল খাঁ) প্রবাহিত হয়ে [[ফরিদপুর জেলা|ফরিদপুর]] ও [[মাদারীপুর জেলা|মাদারীপুর জেলার]] মধ্য দিয়ে [[বরিশাল জেলা|বরিশালের]] [[গৌরনদী উপজেলা|গৌরনদী উপজেলার]] পূর্বভাগ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে তেঁতুলিয়া চ্যানেলে ঢুকেছে। নদটিরআড়িয়াল মোটখাঁ দৈর্ঘ্যনদ ১৬৩চলার কিমি।পথে মাদারীপুরনড়িয়ার পর্যন্তখাল, স্বাভাবিকপালং জোয়ারখাল, ভুবনেশ্বর, ময়নাকাটা, কুমার, কাইলা, নয়াভাঙনী প্রভৃতি নদ-ভাটারনদীর পরিসরমাধ্যমে ০.৩২পদ্মা নদীর সাথে মিটার।সংযোগ প্রস্থরক্ষা ৩০০করে মিটার।চলেছে। নদের গভীরতাগতিপথ ১২প্রায়ই মিটারআঁকাবাঁকা। এবংনদটি অববাহিকারভাঙনপ্রবণ। আয়তনএর ১৪৩৮ফলে বর্গঅনেক কিমি।<ref>বাংলাদেশেরজনপদ নদীঃএর মোকাররমগর্ভে হোসেন;বিলীন পৃষ্ঠাহয়েছে। ১৩৮;মাদারীপুর কথাপ্রকাশ;শহরও দ্বিতীয়এই নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। এই নদীর তীরবর্তী উল্লেখযোগ্য স্থানগুলো হলো পিঁয়াজখালী, চৌধুরীহাট, উৎরাইল, দত্তপাড়া, কবিরাজপুর, লতিখোলা, ছবিপুর, মাদারীপুর সংস্করণঃপৌরসভা, আগস্টঘসেরহাট ২০১৪</ref>বন্দর।<br />
উনিশ শতকের শেষ দিকে আড়িয়াল খাঁ ছিল প্রধান ধারা। বর্তমানে এর শেষ প্রান্ত পলি ভরাট হয়ে মাদারীপুরের কাছে আড়িয়াল খাঁ দুটি শখায় বিভক্ত হয়েছে। বাঁ দিকের প্রবাহিত অংশ আড়িয়াল খাঁ। আর ডান দিকে টরকি নামে প্রবাহিত হচ্ছে।<br />
 
==অন্যান্য তথ্য==
আড়িয়াল খাঁ নদটি সারা বছর নাব্য। মার্চ-এপ্রিলে পানির প্রবাহ কম থকে। তবে বর্ষাকালে পানি প্রবাহ বেশি থাকে। তখন জুলাই-আগস্ট মাসে প্রবাহের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ঘনমিটার/সেকেন্ড। এ সময় নদে পানির গভীরতা ১২ মিটার পর্যন্ত থাকে। নদটির মোট দৈর্ঘ্য ১৬৩ কিমি। মাদারীপুর পর্যন্ত স্বাভাবিক জোয়ার-ভাটার পরিসর ০.৩২ মিটার। প্রস্থ ৩০০ মিটার। নদটির অববাহিকার আয়তন ১৪৩৮ বর্গ কিমি।<ref>বাংলাদেশের নদীঃ মোকাররম হোসেন; পৃষ্ঠা ১৩৮ ও ১৩৯; কথাপ্রকাশ; দ্বিতীয় সংস্করণঃ আগস্ট ২০১৪</ref><br />
 
==তথ্যসূত্র==