হস্তিবর্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
Sharif uddin ব্যবহারকারী হস্তী যুদ্ধ পাতাটিকে হস্তিবর্ষ শিরোনামে স্থানান্তর করেছেন
Lazy-restless (আলোচনা | অবদান)
২ নং লাইন:
'''হস্তী বর্ষ বা হস্তিবর্ষ''' ({{lang-ar|The Year of the Elephant}}), ({{lang-ar|عام الفيل}}, ʿĀmu l-Fīl) হল আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ইসলামী ইতিহাসে সঙ্ঘটিত একটি ঘটনার সময়কাল। According to Islamic tradition, it was in this year that [[Muhammad]] was born.<ref name="Hajjah">Hajjah Adil, Amina, "''Prophet Muhammad''", ISCA, Jun 1, 2002, ISBN 1-930409-11-7</ref> The name is derived from an event said to have occurred at [[Mecca]]: [[Abraha]], the [[Christian]] ruler of [[Yemen]], which was subject to the [[Kingdom of Aksum]] of [[Ethiopia]],<ref name="DACB">[http://www.dacb.org/stories/ethiopia/_abraha.html "Abraha."] ''Dictionary of African Christian Biographies''. 2007. (last accessed 11 April 2007)</ref><ref name="Muller">[http://www.yemenweb.com/info/_disc/0000002c.htm Walter W. Müller, "Outline of the History of Ancient Southern Arabia," in Werner Daum (ed.), ''Yemen: 3000 Years of Art and Civilisation in Arabia Felix''. 1987.]</ref> marched upon the [[Kaaba]] with a large army, which included one or more [[war elephant]]s, intending to demolish it
==প্রেক্ষাপট==
আনুমানিক ৫২৫ খৃস্টাব্দ। বিস্তারিততৎকালীন মনেইয়েমেনের নাশাসক রেখেছিলেন তিনটিইয়াহুদী রাষ্ট্রশক্তির কথা মনে রাখলে বুঝতে সুবিধা হবে। ইয়েমেন; শাসক ইয়াহুদীসম্রাট যু -নাওয়াস।নাওয়াস, আবিসিনিয়া;আবিসিনিয়ার শাসক খৃস্ট ধর্মের অনুসারী। অপরদিকে রোম সাম্রাজ্য; শাসক খৃস্ট ধর্মের অনুসারী। ইয়েমেনের ইয়াহুদী শাসক যু -নাওয়াস খৃস্ট ধর্মের অনুসারীদের উপর চরম যুলুম নির্যাতন শুরু করে, এক পর্যায়ে খৃস্ট ধর্মের অনেক অনুসারীদের আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় খৃস্টান রোম সাম্রাজ্যের সহায়তায় আবিসিনিয়ার সরকার ইয়েমেনে আক্রমন চালায়। সেকালে আবিসিনিয়ার কোন প্রতিষ্ঠিত নৌ বাহিনী ছিলনা। রোমান নৌ বাহিনীর সহায়তায় আবিসিনিয়া নিজেদের ৭০ হাজার সৈন্য ইয়েমেনের উপকূলে নামিয়ে দিতে সক্ষম হয়। জেনে রাখা ভাল, এই সব কিছু শুধু মাত্র ধর্মীয় আবেগ উচ্ছ্বাসের কারণে করা হয়নি বরং এর পিছনে প্রবলভাবে নিহিত ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কারণ। আর খৃস্টান নির্যাতিতদের রক্তের প্রতিশোধ গ্রহন; উহা ছিল নিছক একটি বাহানা মাত্র। পূর্ব আফ্রিকা, ভারতবর্ষ, ইন্দোনেশিয়া সহ দূর প্রাচ্যের সাথে চলমান ব্যবসার উপর শত শত বছর ধরে আরবদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। আর এর জন্য ইয়েমেন ছিল কৌশলগত এবং ভূ রাজনৈতিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। আরবদের আধিপত্য ক্ষুণ্ণ করে এই ব্যবসায় নিজেদের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করাই ছিল এ যুদ্ধের মূল লক্ষ্য।
 
ইয়েমেনের উপর আবিসিনিয়ার যে সৈন্য বাহিনী যুদ্ধ পরিচালনা করে, আর-ইয়াত ছিল সেনাপ্রধান আর আবরাহা ছিল সেই বাহিনীর একজন যোদ্ধা। পরবর্তীকালে আর-ইয়াত এবং আবরাহার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায় এবং যুদ্ধে আর-ইয়াত নিহত হয়। শেষ পর্যন্ত আবরাহা গোটা ইয়েমেন দখল করে বসে। অতঃপর সে নিজেকে ইয়েমেনে নিযুক্ত আবিসিনিয়া সরকারের গভর্নর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে।
 
১৪ ⟶ ১৫ নং লাইন:
পরের দিন আবরাহা মক্কায় প্রবেশের জন্য অগ্রসর হল। কিন্তু তার নিজের হাতি সহসা বসে পরল। হাতিটিকে উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে চালানোর চেষ্টা করলে উহা দৌড়াতে শুরু করে কিন্তু মক্কার দিকে চালানোর চেষ্টা করলে তা সাথে সাথে বসে পড়ত। এই সময় হঠাৎ ঝাকে ঝাকে পাখি চঞ্চু ও পাঞ্জায় পাথরকুচি নিয়ে উড়ে আসে এবং কাবা আক্রমণকারী আবরাহা বাহিনীর উপর পাথরকুচির বৃষ্টি বর্ষণ করতে থাকে। এই পাথরকুচির আঘাতে আবরাহার বাহিনীর সৈন্যদের শরীরের মাংসপেশী খসে পড়তে শুরু করে এবং তারা চর্বিত ভুষির ন্যায় পরিণত হয়। এইরুপ অবস্থায় তারা নিরুপায় ও পাগলপারা হয়ে ইয়েমেনের দিকে পালাতে শুরু করে। এইভাবে পালিয়ে বাঁচতে গিয়ে তারা নানা জায়গায় পড়ে মরতে লাগলো অথবা মরে পড়তে লাগলো। এই ঘটনা সঙ্ঘটিত হয় মুযদালিফা ও মিনার মাঝখানে মুহাসসির নামক স্থানে।
 
ইহা ছিল একটি অসাধারণ বিস্ময়কর ঘটনা। মক্কার কোন কোন লোকের নিকট দীর্ঘদিন এই পাথরকুচির নমুনা সংরক্ষিত ছিল। ঘটনা শুধু এখানেই শেষ নয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, এই ঘটনা সঙ্ঘটিত হবার ৩/৪ বৎসরেরেবছরের মাঝেমধ্যে ইয়েমেন হতেথেকে আবিসিনিয়া সরকারের পতন ঘটে। যে বৎসরবছর এই ঘটনা সঙ্ঘটিত হয় সেই বছরটিকে আরবরা “হস্তী বর্ষ” নামে অভিহিত করে। নবীজিরমুহাম্মাদের জন্মও এই বছরেইবছরে সুসম্পন্নসম্পন্ন হয়। তারএ ঘটনার পর কুরাইশরা প্রায় ১০ বছর এক আল্লাহ ব্যতীত আর কারও ইবাদত করেনি।